—(জিকা ভাইরাস – সতর্ক হন এখনি)—

আমি রাসেল মাহমুদ। আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নুতুন একটি টিউন নিয়ে।

----(জিকা ভাইরাস – সতর্ক হন এখনি)----

গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বজুড়ে একটি আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে জিকা ভাইরাস। এর
দ্বারা আক্রান্ত হলে তার কোনও চিকিৎসা নেই,
প্রতিষেধকও নেই। নতুন প্রজন্মকে পঙ্গু করে দিতে জুড়ি নেই এই ভাইরাসের। সারাবিশ্বের
কয়েকটি দেশের নীতিনির্ধারকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই জিকা। দেশে-দেশে গবেষণা চলছে এর প্রতিষেধক আবিষ্কারে। যদিও এটা এখনও বাংলাদেশের
সীমানায় আসতে পারেনি, তবু এই নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবনার শেষ নেই। গবেষকরা বলছেন, ব্যবহারের উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে ছাড়তে দশ বছর সময় লেগে
যেতে পারে।

‘জিকা’ নামটি নেওয়া হয়েছে উগান্ডার জিকা বন থেকে৷ ১৯৪৭ সালে বানরের দেহে এই
সংক্রামক এজেন্টের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। ১৯৫২ সালে এর নাম দেওয়া হয় জিকা ভাইরাস৷ বর্তমানে এটি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আমাদের দেশেও সতর্ক হওয়া দরকার

জিকা ভাইরাসে zika virus এ আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতোই লক্ষণ দেখা দেয়। দিনের বেলায় এডিস মশার কামড়ে এ রোগ ছড়ায়। তবে ডেঙ্গুর মতো এ রোগটি তীব্র ও প্রাণঘাতী নয়।
চিকিৎসা না করালেও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।।

### zika virus যেভাবে ছড়ায় ###

এডিস ইজিপ্টি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে৷ ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচার যে উপায়গুলো আছে, সেগুলো মেনে চললেই এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব৷

### zika virus এর লক্ষণ ###

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, র্যাশ (চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি), গোড়ালিতে
ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া—এসব লক্ষণ দেখা
দেয়৷ এ ছাড়া পেশি, মাথায়ও ব্যথা হতে পারে৷ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ গর্ভবতী নারীরা বেশি সাবধান! শিশুদের ‘মাইক্রোসেফালি’ Microcephaly রোগ হওয়ার কারণ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মা৷ কিন্তু তার কোনো উপসর্গ আগে থেকে দেখা যাবে না। এই রোগ হলে শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন ঠিকমতো হয় না। ফলে শিশুর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়া, শারীরিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বা বিলম্বিত হওয়া থেকে শুরু করে অকালে মারা যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়৷

zika virus এর প্রতিষেধক নেই এই রোগের চিকিৎসায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি৷ ফলে সতর্ক থাকাটাই হবে
সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ৷ অবশ্য এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল৷

zika virus এর প্রতিরোধ প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার (Aedes Mosquito) বিস্তার রোধ। এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। স্বচ্ছ-পরিষ্কার পানিতে এরা ডিম পাড়ে। ময়লা- দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি
এদের পছন্দসই নয়। তাই এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে। একই সঙ্গে মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। একমাত্র সচেতনতা ও
প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

### জিকা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ:###

 জ্বর
 ফুসকুড়ি
 হাড়ের জোড়ায় ব্যথা
 চোখের প্রদাহ

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি মায়ের কাছ থেকে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে সংক্রমণের আশঙ্কা আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশার কামড় আক্রান্ত মশা একজন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ানোর মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয় রক্তের মাধ্যমেও জিকা
ভাইরাস ছড়াতে পারে, তবে এমনটা কম ঘটে।

 

 

তথ্যসূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট

Level 0

আমি মোঃ রাসেল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 14 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Hi I Am Rasel. I love Technology.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস