কেন বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে এত পিছিয়ে? আসুন জানি…

বিশ্বের অন্যান্য উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশে ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষ্ময়করহারে বৃদ্ধি ঘটেছে। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তিতে জনগণের প্রবেশাধিকার এবং ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে যার ফলশ্রুতিতে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২০১৩ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৩ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে এই উন্নয়ন বাংলাদেশে অনেক দিন আগেও হতে পারতো।

১৯৯২ সালের কথা। বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ‘তথ্য পাচার হয়ে যাবে’ এই ভয়ে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ নেয়নি বাংলাদেশ!এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম ভুল।যদিও ১২ বছর পর এসে সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমরা ইন্টারনেট বিপ্লব থেকে ১২ বছর পিছিয়ে গেছি।তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের কর্তাব্যক্তিদের অজ্ঞতার শেষ নেই। কারণ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পিটিসিকে (পেইড টু ক্লিক) ফ্রিল্যান্সিং বোঝানো হয়। আবার একজন টেলিকমমন্ত্রী যখন হ্যাকারকে হকার ঘোষণা দেন, তখন এসব বুঝতে আর বাকি থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ আর কত সরকারের অজ্ঞতার বলি হবে? আর ডিজিটাল নামের বর্তমানের সরকার ব্যবস্থাপনায় অনেকেই জানতে চায়, প্রযুক্তিতে সরকার এত কাঁচা কেন?

উত্তরটা হয়তো সরকারও জানে না! এ প্রসঙ্গে একজন প্রযুক্তিবিদ বলেন, ইন্টারনেট বা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার সিকিউরিটি, ই-কমার্স—এগুলো সম্পর্কে বিটিআরসির লোকজনের ন্যূনতম ধারণাটাও নেই। তারা এখনও পড়ে আছে ডাইনোসরের আমলেই।বাংলাদেশের মিডিয়া কখনই তথ্য-প্রযুক্তিকে উৎসাহ দেয় না। আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, তারা রাস্তার ফকির থেকে শুরু করে গার্মেন্টস কর্মী পর্যন্ত সবাইকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গায়ক, নায়ক বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু আপনি কি বলতে পারবেন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন টিভি চ্যানেল তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে? অথবা কোন তথ্য-প্রযুক্তি বা বিজ্ঞানে অবদানের জন্য পুরস্কার প্রবর্তন করেছে? তাহলে আপনিই বলুন তরুণরা গান বাজনা শিখবে, নাকি তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে পড়ে থেকে সেলেব্রেটি হওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবে? তথ্য-প্রযুক্তির দিকে তরুণরা কিসের আকর্ষণে উৎসাহিত হবে?

শুধু এতেই যে শেষ তা নয়, "দেশের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম মূল্যে বাংলাদেশ ভারতে ইন্টারনেট রপ্তানী করছে" বলেও গুজব শোনাগেছে।কীভাবে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধ করা দরকার, সেইটা তারা জিজ্ঞেস করেছে কোনোদিন কাউকে? ইউটিউবে কী করে কান্ট্রি স্পেসিফিক ভিডিও ব্লক রিকোয়েস্ট দিতে হয়, যাতে গুগল কোনো পার্টিকুলার ভিডিওকে ব্লক করে রাখে তাও কখনও বিটিআরসি কারও কাছ থেকে জানতে চায়নি। বরং এক ইনোসেন্স ভিডিওর কারণে পুরো ইউটিউবসহ গুগলের অনেক দরকারি সব সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

 

আজ এই পর্যন্তই, আগামিতে দেখা হবে আরও নতুন সব টিউনের সাথে।ভাল লাগলে সেয়ার করতে ভুলবেন না...

Level New

আমি দূরন্ত দীপ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ঠিক কথাই বলেছেন। এদেশে কিছু হবে না !

U r 100% Right……