আসসালামুয়ালাইকুম, বেশ কয়েকদিন পর আজ টিটি তে লিখলাম।
কুরআন মাজীদ আল্লাহর বাণী। সমগ্র মানব জাতির হেদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট থেকে অবতীর্ণ আসমানী গ্রন্থসমূহের মধ্যে কুরআন মাজীদ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এটি আরবি ভাষায় নাজিল হয়। কারণ মহানবী (সঃ) এর নিজের ভাষা ছিল আরবি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন - "আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষা-ভাষী করে প্রেরণ করেছি, তাদের নিকট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য" (সূরা ইবরাহীমঃ৪)
কুরআন মাজীদ যখন নাজ়ীল হয় তখন আরবের মানুষ খুব একটা পড়ালেখা জানত না। পড়ালেখা জানা লোকের সঙ্খ্যা ছিল খুবই নগণ্য। লেখা পড়ার উপকরণও ছিল বিরল। কিন্তু তাদের স্বরণশক্তি ছিল অতিমাত্রায় তীক্ষ্ণ। কুরআনের যে অংশ যখন নাজীল হত নবী কারীম(সঃ) সাথে সাথে তা কণ্ঠস্থ করে নিতেন। এমনকি ওহী নাজীল হওয়ার সময় জিব্রাঈল(আঃ) এর সাথে সাথে ঠোঁট নেড়ে মুখস্থ করতে চেষ্টা করতেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, "তাড়াতাড়ি শিকে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত আবৃত্তি করবেন না। এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দ্বাইত্ব। (সূরা কিয়ামাঃ১৫-১৬)
তিঁনি রাত দিন কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করতেন। সাহাবীগণকেও মুখস্থ করার তাগীদ দিতেন। সাহাবীরা গভীর রাতেও তিলাওয়ারত করতেন, নবী (সঃ) তাদের তিলাওয়াত শুনতেন। তিঁনি বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য সাহাবী গণকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রেরণ করতে। হিজরতের পূর্বে তিনি মুসআব ইবনে উমাইর(রাঃ) এবং আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম(রাঃ) কে কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য মদীনায় প্রেরণ করেন।
কুরআন মাজীদকে মুখস্থ করা ছাড়াও রাসুলুল্লাহ(সঃ) এর যুগেই তা সুস্ঠ ভাবে লিপ্তবদ্ধ করা হয়। বিশিষ্ট সাহাবীগণের একটি দল ওহী লেখক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, যায়িদ ইবনে সাবিত(রা), আবূ বকর(রা), মুআবিয়া (রা), উমার ফারূক(রা) সহ আরো অনেকে।
তখনকার যুগে লেখার উপকরণ ছিল খুবই দূর্লভ। মদ্রণযন্ত্র তখনও আবিষ্কার হয়নি। তাই সাহাবীগণ কুরআনের আয়ার খেজুরের ডাল, প্রস্তর খণ্ড, অস্থি, চর্ম, বৃক্ষের পত্র, কাগজ, কাপড়ের টুকরা প্রভৃতি বস্তুর অপর লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করেন।
এভাবেই সংরক্ষিত হয় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। পরবরতীতে ইসলামী আরো বিভিন্ন বিষয়ে টিউন করবো, ঈনশাল্লাহ।
সকলের কাছে আমার একটা বিনিত অনুরোধ যারা যারা ইংরেজীতে দক্ষ তারা অনুগ্রহপূর্বক আমার নতুন ইসলামিক ওয়েবসাইটে লেখা জমা দিয়ে ওয়েবসাইটটিকে সমৃদ্ধ করতে আমার সহায়তা করুন। যদি সম্ভব হয় তবে আপনার নিকটস্থ কারো সাথে ওয়েবসাইটটি শেয়ার করুন।
*যদি সন্তোষজনক হারে লেখা পাই তবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। মাসের সেরা লেখককে পুরষ্কার দেয়া হবে।
লেখা জমা দেয়ার নিয়মঃ
১.কপি-পেস্ট লেখা দেয়া যাবে না।
২.অন্য কারো লেখা নিজের নামে প্রকাশ করা যাবে না।
৩.কারো উদ্দেশ্যে উষ্কানী মূলক লেখা দেয়া যাবে না।
৪.লেখার মান মোটামুটি ভালো হতে হবে।
৫.লেখা প্রকাশের সময় অবশ্যই আপনার ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করবেন, যাতে পরে লেখা যদি পুরষ্কারের জন্য সিলেক্ট করা হয় তখন যোগাযোগ করা যেতে পারে, অন্যথায় আপনার লেখা মনোনয়ন পেলেও আপনি টাকা পাবেন না।
৬.লেখা সঠিক হতে হবে, ভুল তথ্য দেয়া যাবে না, প্রয়োজনবোধে সুত্র উল্লেখ করতে হবে।
৭.http://islaminsidetheheart.com/ এই সাইটে প্রবেশ করতে হবে, তারপর ওপরে "SUBMIT YOUR WRITING HERE" বাটনে ক্লিক করে লেখা জমা দিতে হবে।
আশা করি ওয়েবসাইটটিকে সমৃদ্ধ করতে সকলে আমার সহায়তা করবেন। লেখার পাবলিশ হলে লেখকের নাম ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা সহ পাবলিশ হবে।
আমি ডিজে আরিফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 60 টি টিউন ও 1478 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি আরিফ, সাধারণ একজন আরিফ! চাই অসাধারণ কিছু করতে, সম্ভব কিনা জানিনা কিন্তু ইচ্ছাশক্তির বলে অনেক কিছুই করতে চাই। ব্লগিং - এর সাথে পরিচয় খুব বেশি দিনের না, তবুও বিষয়টাকে ব্যাপকভাবে উপভোগ করছি। ভালো মানের ব্লগার হওয়ার ইচ্ছা আছে। বর্তমানে আমি দশম শ্রেণীতে ঢাকার স্বনামধন্য বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছি।
আরিফ ভাই,
ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখার জন্য। মহান আল্লাহ তোমাকে বেহেস্ত দান করুন। প্রিয়তে নিলাম।
তোমার সাইটে আমার লেখা সাবমিট করার ইচ্ছা আছে। লেখা গুলো বাংলায় লেখার চেস্টা করো, সবাই সহজে বুঝবে।
হাসান ভাইকেও ধন্যবাদ ও স্মরণ করছি।