সিগারেট কতটা ভয়ংকর সেটা ইতিমধ্যে আমরা সবাই জানি। নতুন করে বলার কিছু নেই। সুধু একটা কথাই বলবো, যখন আপনি সিগারেট খাচ্ছেন তার মানে টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাচ্ছেন। একটু লক্ষ করলেই দেখবেন প্রতিটা সিগারেটের প্যাকে বেশ বড় করে লিখা থাকে “ধূমপান মৃত্যু ঘটায়”
সে যাইহোক নতুন করে আমি আর আপনাদের জ্ঞান দিবো না। তখন আবার বলে বসবেন হয়তো আমি বেশী বুঝি 😛
তো চলুন এখন শুনি এই মুহূর্তে যদি আপনি সিগারেট কে চিরতরে “না” বলেন তবে আগামী কিছু ঘণ্টার মধ্যে আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন আসবে-
পরবর্তী ২০ মিনিট-
সিগারেট বন্ধ করার পরবর্তী ২০ মিনিটের মধ্যে আপনার ব্লাড প্রেসার এবং হার্টবিট নরমাল হয়ে জাবে।
৮ ঘণ্টা-
এতদিনে আপনার রক্তে যতটুকু নিকোটিন এবং কার্বন মনোক্সাইড মিসেছিল সেগুলো প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে।
৪৮ ঘণ্টা-
নিকোটিনের কারনে আপনার মুখের যে স্বাদ ও গন্ধ গ্রহনের ক্ষমতা কমে গেছিলো সেটা প্রায় ফেরত চলে আসবে।
৩ মাস-
আপনার ফুসফুসের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে এবং খুশখুসে কাশির যে সমস্যা আছে সেটি প্রায় সেরে জাবে।
১-৯ মাস-
অল্প পরিশ্রমে যে শারীরিক দুর্বলতা কাজ করে সেটি প্রায় ঠিক হয়ে জাবে। এবং আপনার কর্মক্ষমতা অনেক বেড়ে জাবে।
১ বছর পর-
করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি প্রায় ৫০% কমে যাবে।
৫-১৫ বছর-
আপনার হার্টঅ্যাটাকের ঝুকি প্রায় অনেকটাই কমে জাবে যেমনটা একটি নন স্মকার মানুষের হয়ে থাকে।
১০ বছর-
ধূমপানের কারনে আপনার যে ক্যান্সার হবার ঝুকি ছিল সেটি প্রায় ৬০% কমে জাবে।
১৫ বছর-
আপনার শরীর পুরোপুরি ভুলে জাবে যে, সে কোন এক সময় ধূমপান করতো।
কথাগুলো শোনার পর হয়তো আপনার মনে হচ্ছে এখনি সিগারেট কে না বলি কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পারছেন না।
আমি সাধারণ টিউনার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
খুব ভাল লিখেছেন, অনেকটা ভরসা পেলাম আপনার টিউন থেকে, অনেক ধন্যবাদ