প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প সবার কাছে বিভিন্ন উদ্ভাবনী আইডিয়া চেয়ে থাকে এবং সেটি বাস্তবায়নে তারা ফান্ড দেয়। সাইটটি দেখে একদিন আমিও আমার একটি আইডিয়া দিলাম। অবশ্য বাল্য বিবাহ রোধে এসএমএস কিংবা মা ও শিশু এপসের অথবা এন্টি ভাইরাসের মত ইউনিক আইডিয়া না হওয়াতে কতৃপক্ষ সম্ভবত আমার আইডিয়াটি গ্রহন করেনি। যাইহোক তাদের বিবেচনাতে যেটা ভালো মনে হবে তারা সেটাকেই প্রাধান্য দেবেন। যেহেতু আমার আইডিয়াটি গ্রহন হয়নি তাই ভাবলাম আমি যে আইডিয়াটি দিয়েছিলাম সেটার কিছু অংশ টেকটিউনসের সবার সাথে শেয়ার করি। তবে মূল প্রস্তাবনায় কর্মকৌশল, পদ্ধতি, যৌক্তিকতা ও বাজেট সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য ছিল যা এখানে সংক্ষিপ্ত করে এনেছি।
রাষ্ট্রীয় ডোমেইন হোস্টিংয়ে একটি ওয়েব সাইট থাকবে যেখানে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ উদ্যেগে এখানে তথ্য দিবে এবং নিজেদের একটি পেজ খুলবে (পেজ খুলতে তাদের বিভিন্নভাবে উতসাহিত করা যেতে পারে আর প্রান্তিক পর্যায়ে সেচ্ছাসেবক তো থাকবেই), মূলত এখানে সাবডোমেইনের মাধ্যমে নিজের সাইট খোলার ব্যাবস্থা থাকবে, প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপারটি সেচ্ছাসেবকদের দ্বারা মানুষকে ভালো করে বিশেষভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কৃষকদের বোঝানো গেলে তারা অবশ্যই আকৃষ্ট হবে কারন তারা দেখবে বলতে গেলে কোন খরচ ছাড়াই সে তার পণ্য অনলাইনে অনেক দূরের মানুষের কাছে পৌছাতে পারছে, আর সেচ্ছাসেবকদের একটি স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণে শিখিয়ে দেয়া হবে কিভাবে এই সাইট খোলা হবে, (উভয় পক্ষকে উতসাহিত করতে এবং ভালো করতে সাইটে প্রতিদিনের সেরা সাইট বা ভোটিং বা বিভিন্ন ধরনের সেরা সাইটের তালিকা থাকতে পারে) তারা যাদের এই সাইট খুলে দিবে বা এই সাবডোমেইনের মাধ্যমে পেজ করে দিবে তারা তাদের ৫০ থেকে ১০০ টাকার মত একটা সম্মানী দিবে, এটার ফলে সেচ্ছাসেবকরা নিজেদের আয় বাড়াতে আরো অনেককে সাইট খুলতে এবং এর উপকারীতা বোঝাতে সহায়তা করবে, এর ফলে কয়েকটি কাজ একসাথে হবে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সকল উদ্যেগ কৃষি পণ্য ওয়েবে নিয়ে আসা যাবে, তারা অনলাইনের সুফল ভোগ করবে, আর শহরের/দেশের বাইরের মানুষ খুব সহজে সেই উদ্যোগ সম্পর্কে জেনে নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে, মাঝে প্রতি গ্রামে বেকার তরুনদের একটি বিশাল দলকে যদি সেচ্ছাসেবক হিসেবে ব্যাবহার করা যায় তবে তারা এই পেজ করে দিয়ে আয় করতে পারবে, আর নিজেদের আয় বাড়াতে তারা প্রান্তিক পর্যায়ে আরো বেশী এর সুফল তুলে ধরবে। এরপর একটি পর্যায়ে প্রান্তিক পর্যায়ে যারা এই সুফল ভোগ করবে তারা নিজ উদ্যেগে এরপর নিজের ডোমেইন হোস্টিংয়ে আরো পেশাদার সাইট করতে চাইবে, তাতে অনলাইনের পরীসীমা আরো বাড়বে, আর ঐ যে সেচ্ছাসেবকরা সাব ডোমেইনে সাইট খুলে দিত ততদিনে তারা আরো অভিজ্ঞ হয়ে যারা নিজ ডোমেইনে হোস্টিংয়ে সাইট খুলবে তাদের সাইট তৈরী করে দিবে, চাহিদা আরো বাড়তে থাকলে তারা অনেকে নিজেই ক্ষুদ্র পরিসরে আইটি ফার্ম খুলে এই সেবা দিবে, প্রান্তিক পর্যায়ে এসব আইটি ফার্মে আরো অনেকের কর্মসংস্থান হবে, তাদেরকে যদি মাঝে মাঝে কিছু প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তাহলে প্রান্তিক পর্যায়ে গড়ে উঠবে প্রশিক্ষিত আইটি এক্সপার্ট, দেশের বাইরে থেকেও তখন তাদের কাছে কাজ আসবে, কিংবা তারাও ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে ভালো আয় করবে।
(আমাদের শুধু শুরুটা করে দিতে হবে বাকীটা সুফল ভোগীরাই এগিয়ে নেবে)
এর ফলে যে সুফল গুলো হবে তা এমনঃ
এর সবকিছু সঠিক ভাবে বাস্তবায়ণ হলে সরকার বিশাল অংকের ভ্যাট পাবে, আর যাদের জন্য এই প্রকল্প তাদের আর্থিক সফলতায় প্রকল্পের সাফল্য এবং মূল উদ্দেশ্য, সম্মিলিত ভাবে যা কিনা সরকার ও দেশের সাফল্য
আমি প্রযুক্তি প্রেমী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 136 টি টিউন ও 2157 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিঃসন্দেহে একটা ভাল আইডিয়া। কিন্তু কেন গৃহীত হয়নি সেটাই চিন্তার বিষয়।