লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্টে সাবধানবানী দিয়ে জানানো হয়েছে যে মানবসভ্যতা যে হারে এই পৃথিবীর সব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে চলেছে, তাতে করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আরেকটি পৃথিবীর প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে। এই রিপোর্ট পেশ করেছে একযোগে WWF, Zoological Society of London এবং Global Footprint Network। রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে যে বিগত ৫০ বছরে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে, পৃথিবীর উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় প্রায় ৫০% বৃদ্ধি হয়েছে ব্যবহার।
রিপোর্টে প্রকাশ, ব্রিটিশরা নাকি প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের দৌড়ে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। পৃথিবীর সব মানুষ যদি এইরকম জীবনধারায় চলতে থাকে তবে অদূর ভবিষ্যতেই ২.৭৫-টি পৃথিবীর প্রয়োজন পড়বে। একইসাথে বেড়ে চলেছে কার্বন দূষণের মাত্রা। জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে করে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাইওক্সাইড শোষণক্ষমতায় টান পড়তে বাধ্য।
এই রিপোর্ট তৈরী হয়েছে ২০০৭ সালের ডেটার উপরে ভিত্তি করে। ৭১-টি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ খুবই আশঙ্কাজনক হারে শেষ হচ্ছে; এইসব দেশে আগামী দিনে তীব্র জলকষ্ট দেখা দেবে বলে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।
যেসব দেশের চাপ সবচেয়ে বেশি করে পড়ছে পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদের উপরে, তাদের তালিকায় ডেনমার্ক, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার, বেলজিয়াম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি রয়েছে শীর্ষে। Ecological Footprint তালিকায় ব্রিটেন আছে ৩১ নম্বরে। The Copenhagen Post জানাচ্ছে যে সবচেয়ে সন্তোষজনক স্থানে বর্তমানে আছে ভারত, ১১৭ নম্বর স্থানে।
আগামী দিনে কী আসতে চলেছে? কী হবে আমাদের? টেকটিউনসে আপনারা ভেবে বলুন, কোন প্রযুক্তিতে আমরা আমাদের এই পৃথিবীকে রক্ষা করবো?
External References:
AFP & The Copenhagen Post
আমি রিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 362 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জীবনের সব ভুল, যদি ফুল হয়ে যায়... জীবনের সব কালো, যদি আলো হয়ে যায়...
সমস্য নাই মাটির নিচে বাড়ি করতে হবে আর বাড়ির উপরে চাষাবাদ। তবে বাংলাদেশ কত স্থানে আছে বললেন না তো!