দারুন কিছু সুবিধা যা এ্যান্ড্রয়েড থেকে পাবেন আইফোন থেকে নয়…….

শুধু পশ্চিমে নয়, বাংলাদেশ-ভারতের বাজারেও হিট মোবাইল ফোনের অন্যতমটি আইফোন। আইফোনের ভক্তের অভাব নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন অনেক দিক থেকেই অ্যাপলের আইওএস-কে অ্যান্ড্রয়েডের মতোই মনে হয়। বিশেষ করে থার্ড পার্টি কিবোর্ড একে হুবহু অ্যান্ড্রয়েডের চেহারা দিয়েছে। আবার অ্যান্ড্রয়েডও তাদের নতুন মেটেরিয়াল ডিজাইন দিয়ে আইওএস-এর মতোই মনে হচ্ছে।

তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসলে এই দুটো সিস্টেম একে অপরের মতোই হয়ে উঠতে চাইছে। তারপরও অ্যান্ড্রয়েড এক অনন্য ওএস। এখানে জেনে নিন এমনই ৯টি বিষয় যা একমাত্র অ্যান্ড্রয়েডেই পাবেন।

১. হোমস্ক্রিন :
একটি মনের মতো লঞ্চার ইনস্টল করে নিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনটাকে মনের মতো রূপ দিতে পারেন। গো লঞ্চার, নোভা লঞ্চার বা ইয়াহু অ্যাবিয়েট লঞ্চার দিয়ে নিমিষেই গোটা ফোনকে হোমস্ক্রিন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

২. স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি :
কিছু কাজকে স্বয়ংক্রিয় করতে আইওএস-এ আইএফটিটিটি ইনস্টল করে নিতে পারবেন। কিন্তু এই সার্ভিসের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে অনেক শক্তিশালী অ্যাপ পাবেন যার দ্বারা বহু কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারবেন।

৩. সহজ কল পদ্ধতি :
মোবাইলে কল করা বিরক্তিকর মনে হতে পারে যদি কেউ অ্যান্ড্রয়েডে সহজে কল করার মজা পেয়ে থাকেন। এখনও আইফোনে ফোনবুক বা মেমোরি কার্ড থেকে ফোন নম্বর খুঁজে বের করতে হয়। কিন্তু চটজলদি কল করতে ডায়ালার প্লাস এবং রেডি কন্টাক্ট লিস্ট এর মতো অ্যাপ কল করার কাজটিকে পানির মতো সহজ করে দেবে।

৪. স্মার্ট মেসেজ :
কল করার সঙ্গে সঙ্গে এসএমএস-কেও স্মার্ট ও সহজ করেছে অ্যান্ড্রয়েড। যেমন- হেলো এসএমএস অ্যাপে এমন ফিচার রয়েছে যা ঘুটঘুটে অন্ধকারে লিখাগুলোকে সাদা রংয়ের করে দেখাবে। কিন্তু আইওএস-এ এসব সুবিধা নেই।

৫. টরেন্ট ডাউনলোড :
বৈধ টরেন্টের বহু অ্যাপ রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে আপনি সহজেই টরেন্ট থেকে আস্ত সিনেমা ডাউনলোড করতে পারবেন। কিন্তু আইফোনে এ কাজটি করা অসম্ভব। এ কাজের জন্য আইফোনে ওয়েবঅ্যাপ অথবা ড্রপবক্স নিয়ে কাজ করতে হবে যা ডেস্কটপ থেকে টরেন্ট সফটওয়্যারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। এর আবার মাধ্যম হবে ‘ওয়াচ’ ফোল্ডার। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডে সরাসরি গুগল প্লে থেকে বিটটরেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে সিনেমা নামানো যাবে।

৬. মিডিয়া সেন্টার :
গোটা মিডিয়া সেন্টার পেয়ে যাবেন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট যাই থাক না কেন, অ্যান্ড্রয়েড-এর জন্য শক্তিশালী মিডিয়া প্লেয়ার রয়েছে। এদের মাধ্যমে গানের কথা-গীতিকারের ছবি-গায়কসহ গান শুনতে পারবেন। আবার সাবটাইটেল দিয়ে সিনেমাও দেখতে পারবেন। কিন্তু আইফোনে জেলব্রেকিং ছাড়া এ কাজটি করতে পারছেন না আপনি।

৭. গুগল নাও এর মজা :
অসংখ্য অ্যাপ রয়েছে এখানে যা একমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাই উপভোগ করতে পারছেন। এতে হেন কাজ নেই যা অ্যাপ আকারে পাবেন না। আইওএস প্লাটফর্মে এ সুবিধা পাচ্ছেন না।

৮. ফাইল ম্যানেজিং :
আইওএস ৮-এর সঙ্গে অ্যাপল পরিচয় করিয়ে দেয় আইক্লাউড ড্রাইভকে। এরা একে অপরের সঙ্গে অ্যাপ শেয়ার করে। কিন্তু এর মাধ্যমে নিজের যন্ত্রের ফাইলগুলোকে খোঁজা যায় না। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে ইএস ফাইল এক্সপ্লোরার এর মাধ্যমে খুব সহজেই সব ফাইল ব্রাউজ করতে পারবেন।

৯. কম্পিউটারের মাধ্যমে ফোন নিয়ন্ত্রণ :
এয়ারড্রয়েড এবং পুশবুলেট এর মতো অ্যাপ দিয়ে আপনার কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনটির মধ্যে নিমিষেই সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। অ্যাপলের আইওএস ৮ এর মাধ্যমে এ কাজটি করতে পারবেন। তবে সব যন্ত্র অ্যাপলেরও হতে হবে।

Level 0

আমি ইসতিয়াক আহমেদ নাঈম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 115 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

valo laglo..

Level 0

Many many thanks for the post.

apple er cheye android onek valo

iOS is something else. iOS এর সাথে অন্য কিছুর তুলনা করা টা বোকামি। এন্ড্রয়েড OS 2,000 tk দামের সেটেও কাজ করে । এর মান এতো সস্তা । কিন্তু iOS Apple ছাড়া আর কোথাও কাজ করবে না । নেতা হিসাবে নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে কাজী জাফরের তুলনা করা আর গাব গাছের সাথে আম গাছের তুলনা করার মত ।