ছবি দেখতে দেখতে মজা করে অনেকেই ভুট্টার খই বা পপকর্ন চিবায়। কিন্তু সাদামাটা শস্যদানা থেকে পপকর্ন হয়ে ওঠার রহস্য অনেকেরই অজানা। ভুট্টা ভেজে খই তৈরি করার সময় ফটফট করে ফাটে বলে তো এটা পপকর্ন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফ্রান্সের দুজন গবেষক পপকর্নের বায়োমেকানিক্যাল রহস্য উন্মোচন করার দাবি করেছেন। তাঁরা হলেন প্রকৌশলী এমানুয়েল বিরো ও আলেকসান্দ্রে পোনোমারেনকো। গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধটি আজ বুধবার যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি ইন্টারফেস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
ফটফট শব্দ করে পপকর্ন কীভাবে তৈরি হয়—তা বের করতে গবেষণা করেছেন বিরো ও পোনোমারেনকো। রহস্য উন্মোচনে প্রতি সেকেন্ডে দুই হাজার ৯০০ ফ্রেম রেকর্ড করতে সক্ষম ক্যামেরার সাহায্য নেন তাঁরা।
গবেষকদ্বয়ের দাবি, পপকর্ন তৈরির সময় তাপমাত্রা যখন ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, তখন শস্যের ভেতরে থাকা আর্দ্রতা ধীরে ধীরে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। তাপমাত্রা যখন ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, তখন ওই শস্যের ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠের চাপের প্রায় ১০ গুণ চাপ সৃষ্টি হয়। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে শস্যের বাইরের আবরণ ফেটে যায় ফট করে। এভাবে ভুট্টা খইয়ে পরিণত হয়।
ইকোল পলিটেকনিকের অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিরো বলেন, শস্যদানার আকার-আকৃতি ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তা ফুটতে শুরু করে। শস্যদানার বাইরের আবরণ ফেটে যাওয়ার পর প্রথমেই পাসদৃশ একটি কাঠামো বেরিয়ে আসে। এটি পপকর্ন তৈরির পাত্রের সংস্পর্শে এলে তা তাপে গুটিয়ে যেতে শুরু করে।
গবেষকেরা বলছেন, পা তৈরির কারণেই পপকর্ন লাফিয়ে ওঠে। পপকর্ন কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত লাফিয়ে ওঠে। শস্যদানার ভেতরে থাকা বাষ্প বের হওয়ার সময় তা ফটফট শব্দ তৈরি করে।
Source : prothom alo
আমি ইসতিয়াক আহমেদ নাঈম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 115 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মজার জিনিস তো 🙂
চমৎকার তথ্য শেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আশা করি সুন্দর টিউনের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।