মানুষের চোখকে তার আত্মার প্রতিফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা বাইরের জগতের জন্য এক প্রকার জানালা হিসেবে কাজ করে। চোখ শুধুমাত্র যে সৌন্দর্যের প্রতীক তাই নয়, এটা একইসঙ্গে স্বাস্থগত বিষয়ও ইঙ্গিত করে। আমাদের চোখের স্বাস্থ্য কেমন সেটা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আমাদের জীবন যাপনের রীতিনীতির ব্যপক ভূমিকা রয়েছে। আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কম্পিউটার। আর অনেক মানুষ আছেন যাদেরেকে নিয়মিত কম্পিউটারে কাজ করতে হয় যাদের এটা থেকে বিরত থাকার কোন সুযোগ নেই। এজন্য চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে চোখের যতœ নেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি লম্বা সময় ধরে একটানা কম্পিউটার ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনার জন্য এ যতœ নেয়া বাঞ্চনীয়। সারা দিন কম্পিউটারে কাজ করার পর চোখে টান-টান অনুভূতি হওয়াটা সাধারণ একটা ব্যপার যেটা অস্বস্তিদায়ক। এটা অনেক কারণে হতে পারে যেমন, মনিটরের পর্দার খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করা, মনিটরের উজ্জলতা, অস্পষ্ট অক্ষর, পর্দার সঙ্গে চোখের উচ্চতার অসামঞ্জস্য অথবা দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে একভাবে চেয়ে থাকা। কম্পিউটার এখন বলতে গেলে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজেই আমাদের নজর দেয়া উচিত কিভাবে আমরা চোখের যতœ নিতে পারি। যেন কম্পিউটারে কাজ করার পর চোখের পেশীতে কোন প্রকার টান-টান বা অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি না হয়। বিরতি নিন: অপলক দৃষ্টিতে স্ক্রিনের দিকে চাকিয়ে থাকলে চোখের পানি শুকিয়ে যায়। চোখের অস্বস্তি অনুভূতি এড়াতে এই পরামর্শটা সবথেকে বেশি দেয়া হয়ে থাকে। তালুর পরশ: দু হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তুলুন। তারপর আপনার হাতের তালু চোখের উপর রাখুন কমপক্ষে ১ মিনিট। এটা আপনার ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে। দুই তিন বার এই প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি করুন যতক্ষণ না আরাম বোধ করেন। আইলেভেল সামঞ্জস্যতা: টেলিভিশন হোক আর কম্পিউটার হোক স্ক্রিনের সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতার বিষয়টি চোখের স্বাস্থের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারে কাজের ক্ষেত্রে এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ন একটি টিপস। ২০-২০-২০: এ অনুশীলনটি কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার সময় চোখে আরামদায়ক অনুভূতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে। প্রতি ২০ মিনিট পর পর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোন বস্তুর উপর দৃষ্টিপাত করুন অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য। কনট্রাস্ট বজায় রাখা: কম্পিউটারে কাজ করার সময় হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর গাড় রঙের অক্ষর বাছাই করুন। তীব্র আলো পরিহার করুন: যথাযথ আলোর মধ্যে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। চোখে অস্বস্তিকর অনুভূতি এড়ানোর জন্য কম্পিউটারটি এমন স্থানে স্থাপন করুন যেখান থেকে টিউবলাইট অথবা জানার আলোর তীব্র প্রতিফলন ঘটে না। উজ্জলতা কমিয়ে কাজ করুন: কম্পিউটারের উজ্জলতা একটি সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা। উজ্জলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি অনুভূত হয়। বেছে নিন সবুজ: আমাদের চোখে শীথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সবথেকে সেরা রং বিবেচনা করা হয় সবুজ রংকে। কাজের ফাকে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাতে পারেন। আপনার কর্মস্থল যদি চার দেয়ালে ঘেরা হয় সেক্ষেত্রে স্ক্রিনে সবুজ রংয়ের ওয়ালপেপার নির্বাচন করতে পারেন। বারবার পলক ফেলুন: কম্পিউটারে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা একটা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমান স্বাভাবিক থাকে এবং শুস্কতা সৃষ্টি হয় না; যা কিনা অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করে। কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করুন: কম্পিউটারে যারা কাজ করে থাকেন তাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এ গ্লাস। এটা চোখে অতিরিক্ত উজ্জল আলো, প্রতিফলন পড়া থেকে রক্ষা করবে আর আপনার চোখকে রাখবে শীথিল।
আমি ইসতিয়াক আহমেদ নাঈম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 115 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
থ্যাংকস ।