বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? এটা আমার জীবনের প্রথম পোষ্ট। ভাল/খারাপ দুটোই কমেন্ট করবেন। থ্রী ডি কথাটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলাগুলো টিভিতে অনেকে এমনভাবে দেখতে পেরেছেন, যেন তিনি গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেছেন। ত্রিমাত্রিক (থ্রি-ডি) সম্প্রচারের ব্যবস্থা ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। থ্রি-ডি বা থ্রি ডাইমেনশনাল ছবিতে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ্য ও গভীরতা বোঝা যায়, অর্থাৎ কোনো দৃশ্যে পাশাপশি অনেক বস্তু থাকলে তাদের কোনটা সামনে, কোনটা পেছনে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সাধারণ ছবি দ্বিমাত্রিক, অর্থাৎ শুধু দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ্য দেখা যায়। কারণ ক্যামেরা এক চোখে দেখে, কিন্তু আমরা দুই চোখে দেখি। দুই চোখে দুই কোণ থেকে তাকিয়ে দেখলে কোনো বস্তু বা দৃশ্যের গভীরতা অনুভব করা যায়। এই কৌশলটি থ্রি-ডি প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়। আমাদের চোখের মতো বাঁয়ে ও ডানে সামান্য দূরত্বে দুটি ক্যামেরা রেখে একই সঙ্গে একই দৃশ্য ধারণ করা হয়। তারপর একসঙ্গে পর্দায় দেখানো হয়। আর চোখে বিশেষ ধরনের চশমা পরে সেই ছবি দেখতে হয়। চশমার বাঁ ও ডান কাচে লাল ও নীল ফিল্টার থাকে। আর বাঁ ও ডান পাশের ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিও লাল ও নীল রঙে রঞ্জিত থাকে। ফলে বাঁ চেখে শুধু বাঁ দিকের ক্যামেরায় ধারণ করা ও ডান চোখে শুধু ডান পাশের ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি দেখা যায়। এর পরের কাজটি সহজ। আমরা যেভাবে দুই চোখে দেখা একই দৃশ্য সমন্বিত রূপে দেখি, এখানেও তা-ই হয়। দুটি কোণ থেকে ধারণ করা দুই ছবির সংকেত মস্তিষ্কে যায় এবং সেখানে সমন্বিত হয়ে ত্রিমাত্রিক ছবি হিসেবে আমরা তা দেখি। আধুনিক ব্যবস্থায় দুই ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি দুই চোখে আলাদাভাবে দেখার জন্য ‘পোলারাইজড লাইট’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। থ্রি-ডি টিভিতে ব্যাপারটা ঘটে আরও চমকপ্রদ রূপে। এতে বাঁ ও ডান চোখের জন্য ছবি পরপর সেকেন্ডে ১২০ বার হারে টিভির পর্দায় দেখানো হয়। আর চোখে পরা হয় ইলেকট্রনিক শাটার গ্লাস লাগানো চশমা। এর কাচ দুটি এমনভাবে তরল ‘ক্রিস্টাল শাটার’ ব্যবহার করে যে একবার শুধু বাঁ চোখে, পরক্ষণেই শুধু ডান চোখে দেখা যায়। টিভি সেটের ওপরে বসানো একটি যন্ত্র ইলেকট্রনিক সংকেত পাঠিয়ে চশমার কাচ দুটিকে জানিয়ে দেয়, পর্যায়ক্রমে কখন কোন চোখে দেখা যাবে। আমাদের সৌভাগ্য যে ঘরে বসে টিভিতে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছি। যদি ও বাংলাদেশে থ্রী ডি টিভি এভেইলেভেল নয়। কারণ এক একটি টিভির দাম প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। তবে চায়না প্রযুক্তির কল্যাণে অচিরেই এটি সবার ঘরে ঘরে পৌছে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি SM Nahid Rahman। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 55 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জোস্ তবে লাস্ট লাইনে আমার আপত্তি আছে। তো আপনি কোন দেশে থাকেন? আর আপনার লেখা সুন্দর,সাজানো ও তথ্য বহুল।স্বাগতম, অভিনন্দন, ধন্যবাদ, প্রত্যশা।