হ্যালো গাইজ,
ব্যাক করলাম আমি শিমুল, সাথে আজকে একটা মেগা টিউন। চলেন শুরু করা যাক।
আমার আগের পোস্ট মোস্ট সিক্রেট যায়গা এরিয়া ৫১ কি জানছেন, আজকে আরো জানেন সাথে দেখেন
দেখার পড়ে ছোটখাট বেশ কটা যুক্তি বিতর্কর জন্ম হইছে, আজকে সেগুলোর সমাধান দিয়ে দেই।
আমরা মোটামুটি সবাই জানি ২০ জুলাই ১৯৬৯ তে চাদে প্রথম পা রাখে মানুষ, কে সেই মানুষ নাম টা মনে আছে ? নীল আরমষ্ট্রং । আমরা অবাক হয়ে গেছলাম, হতবাক হয়ে গেছলাম, আর নিজেদের নিয়ে গর্ব হচ্ছিলো আমাদের। বাট আমি আজকে বলবো না, তখন কেউ চাদে যায়নি, ব্যাপার টা ভুয়া, বা সাজানো নাটক। না আমি তখন জন্মায়নাই, তবু যারা তখন ছিলেন জ্ঞ্যানী গুণী তাদের অনেকেই কিন্তু অস্বিকার করেছেন, সন্দেহ করেছেন চাদে যাওয়া টা মিথ্যা ছিলো। পরে অনেক ভাবে খুজে, অনুসন্ধান করে আজকের বিজ্ঞান জানে আসলেই এ্যপোলো ১১ সেদিন চাদে যায়নি, চাদে কোন মানুষের পা ও পড়েনি তখন।
চাদে যেতে কি লাগে ? একটা রকেট, তো চলেন সে সময় থেকে ঘুরে আসি, বিল কেইসিং ছিলেন সে সময় । কাজ করতেন রকেটডাইন কম্পানীতে এর একজন পর্যবেক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। কি ভাবেন ? জী এ্যাপোলো সিরিজের ডীজাইন তার করা। যার ডিজাইন সে তার বইয়ে কি লিখছে একটূ শুনে যান, বই টার নাম "“উই নেভার ওয়েন্ট টু দি মুন” আর প্রকাশিত হয়ে নিষিদ্ধ হয় ১৯৭৪ সালেই। উনি লিখেছিলেন "অ্যাপোলো মিশন ছিল শুধু বড় একটা মিথ্যা। এই মিশন এর সম্পূর্ণটাই ছিল ধোঁকাবাজি, যাকে আমরা বলতে পারি আইওয়াস।" উনি এমন অনেক প্রমান দেন যা এ্যাপোলো মিশন কে প্রশ্নবিদ্ধ করে। wiki link
বিল কেইসিং আরো বলেন “অ্যাপোলো মাহাকাশযান গুলো সত্যি মহাকাশে গিয়েছিল কিন্তু চাঁদে মানুষ পাঠানো হয়নি। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানটি ৮ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরেছিল মাত্র। আর টিভিতে পূর্বে ধারণ করা মহাকাশচারীদের ভিডিও ও ছবি দেখানো হয়েছিলো। ৮ম দিনে মহাকাশযান থেকে মূল যানটি আলাদা হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
ব্যাপার টা নিয়া বেশ মজা করা হয়, অনেকে তো বলেন চাদে মানুষ যাবার যে ভিডিও আমরা দেখছি তা সবথেকে বিগ বাজেট মুভি ছিলো ইতিহাসে 😛 😛 ১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া একটা মুভি “কেপ্রিকন ১” এর কিছু সিন এ্যাপোলো এর অভিজানের সাথে একদম মিলে যায়, যদিও কোয়ালিটি ভালো ছিলো অনেক ক্ষেত্রেই, প্রযোজক পল ল্যাযারুস বেশ রসিক মানুষ, উনি বলেন " নাসার ৪০ বিলিয়ন বাজেটের প্রোগ্রাম অ্যাপোলো মিশন-এ যে ভিডিও দেখিয়েছে তা আমি মাত্র মাত্র ৪ মিলিয়ন বাজেট নিয়ে করে দেখিয়েছি এবং তা করেছি একটা একটা টিভি স্টুডিও-তে। "
শিমুল ভাই কই হইলো এই শুটিং ?
গত আর্টিকেল টায় লিখছিলাম, আমেরিকার সবথেকে গোপন মিলিটারী এয়ার বেস "এরিয়া ৫১" তে করা হয় এই শূটিং।
কেন এই নাটক ? এটাও গত আর্টিকেল টায় লিখছিলাম, ওটা দেখলেই বুঝে গেছেন।
থামেন তো ভাই, কি কি কইতেছেন, প্রমান আছে কোন ?
প্রমান ছারা আপনার পচানী খাইতে টিউন করতে বসছি নাকি !!! নিচে দেখতে থাকেন
রাশিয়া আমেরিকান দন্দ তো সেকাল থেকেই, আসেন রাশিয়া কি বের করলো দেখি, এরিয়া ৫১ কিন্তু মানুষের সামনে নিয়ে আসছিলো রাশিয়া, তাদের স্যাটেলাইট
দিয়ে তোলা ছবি দেখিয়ে। আর আমেরিকান সরকার একটা ছবি নিয়েও কোন হৈচৈ করে নাই যে তা ভুয়া। আসেন কিছু ছবি দেখি
বাম পাশের টা এরিয়া ৫১ এর একটা গর্তের ছবি বুঝছেন, আর ডান দিকের টা নাকি চাদের ছবি, অন্তত আমেরিকা পৃথিবীকে তাই দেখিয়েছিলো।
এটা এরিয়া ৫১ এর উপর থেকে নেয়া ছবি, অনেক আগের, বলা হয় এটাই সে মুভি সেট যেখানে চন্দ্র অভিজান সিনেমার শুটিং করা হয়।
এ ছবিটা দেখছেন না আগে ? চাদে অভিযান নিয়ে মাথা ব্যাথা থাকলে দেখার কথা। কিন্তু দুঃখিত !!!! এটা গুগল আর্থ দিয়ে দেখা এরিয়া ৫১ এর একটা অংশের ছবি 😛 😛 আগের পোস্ট এ বিস্তারিত দেয়া আছে, আপনিও একটু দেখে আসেন চাদ রে পৃথিবীর বুকে 😛
এবার চলেন চাদে যাই।
রকেট ইঞ্জিন এর শব্দের মাত্রা ১৪০-১৫০ ডেসিবল। এক কথায় রকেট ইঞ্জিন অনেক উচ্চ মাত্রার শব্দ উৎপন্ন করে। কিন্তু লুনার মডিউল এর চাঁদে অবতরণের নাসার অফিসিয়াল ভিডিওতে কোন ইঞ্জিন নয়েজ ছিলও না। ভিডিওতে দেখা যায় মহাকাশচারীদের কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, যেখানে ইঞ্জিনের কোন আওয়াজ নেই। বিল কেইসিং অ্যাপোলো মিশন এর ছবিগুলো পরীক্ষা করে দেখেন কিন্তু লুনার মডিউলে কোন ব্লাষ্ট ক্রিয়েটর দেখতে পাননি। প্রতিটি রকেটের পিছনে ব্লাষ্ট ক্রিয়েটর থাকে। যা দিয়ে রকেট-এর পিছন দিকে উচ্চ মাত্রায়ের চাপ সৃষ্টি করা হয়। যা রকেটকে প্রচণ্ড গতিতে উপরের দিকে যেতে সাহায্য করে। এটা ছারা কিছু চাদে যাওয়া অসম্ভব,
ছবিটা লুনার মডিউলের চাঁদে অবতরণের পর তোলা।
রকেট ইঞ্জিন অনেক শক্তিশালী হয়। চাঁদে অবতরণ করার সময় এবং উত্থান কালে যে পরিমান চাপ রকেট দিবে তা চাঁদ এর ধুলাবালি উড়িয়ে দিবে। সুতরাং লুনার ল্যান্ডার এর আশেপাশে কোন ধারনের পদচিহ্ন থাকার কথা না। কিন্তু দেখতে পাই লুনার মডিউল চাঁদ থেকে ফিরে আসার পরও চাঁদে রেখে আশা ক্যামেরা থেকে পাঠানো ছবিতে লুনার ল্যান্ডার এর আশেপাশে অনেক পায়ের চিহ্ন। বুঝেন ঠেলা, এগুলা শিওর ভুতের , নাহলে চাদের দেশের বুড়ি এখানে আসছিলো ।
চাঁদে কোন বাতাস নেই। কিন্তু ভিডিও-তে অ্যামেরিকান পতাকা উড়তে দেখা যায়। যা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।১৯৬৯ সালে আমরা এই তথ্য না জানলেও এখন জানি, কেউ আবার বলবেন না যে তখন ছিলো, এখন ডারউইনের বিবর্তনবাদের কারনে বাতাসের বিবর্তন হই গেছে।
এই ছবিগুলো দেখেন ভাই, চাদে সুর্য দুটো নাকি, ছায়া দুটা দুদিকে কেন !!!! লাইটিং এর একটু ভুলের কারনে ধরা টা খাইলো।
এহহে, এত সুন্দর একটা ছবি, সুধু হেলমেট এর মনিটরের দিকে লক্ষ্য করলে ধরা টা খেতে হয়, ধরলাম যে ছবি তুলছে তার পেছনে আছে আলো, তাইলে ছবিতে যারে দেখতেছি তার ফেসে আলো ঠিক আছি, কিন্তু সে ফেসের হেলমেটে ক্যামেরাম্যান রেও ক্লিন দেখা যায় কেন !!!!! ইসসসস ইটস নট ফেয়ার, এমনে ধরা ? :/ :/
থাক আর ছবি না দেখাই, এবার একটু বিজ্ঞানে আসি, আসলে সত্যি বলতে রেডিয়েসন থেকে বাচার মত যথেষ্ট প্রযুক্তি ই আমাদের ছিলো না, যেটুকু ছিলো তার সিকিভাগ ও ছিলো না এ্যাপোলো এর বডিতে, মহাকাশচারীদের পোষাক ও রেডিয়েশন এর উপযুক্ত ছিলো না। সো এর কাছে যাওয়ার পর ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার কথা, নাসার কোন চন্দ্রজয়ীর আজকে পর্যন্ত কিছু হয় নাই।
এবার একটা ভয়াবহ তথ্য দেই, চাদে দিনের বেলা তাপমাত্রা থাকে ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপ্রে আর রাতে -২৫০ এর নিচে । এবার আসেন কথায়, তাপ টা বুঝতে পারতেছেন ? এইযে নরক টাইপ গরম এখন কোথাও কোথাও তা ৪০ এর কাছাকাছি থাকে, সেখানে ২৫০ ? ১০০ তে পানি ফুটে যায়। নাসা কে অবশ্য বলা হইছিলো তাদের মহাকাশ চারীদের পোষাক পড়িয়ে কাউরে এই তাপে রেখে দিতে ১০ মিনিট , বেচারা যে রাজি হয়নি।
আর নাহ, আপনার আরো যদি জানতে ইচ্ছে করে খুজুন, পেতে সময় লাগবে না। অনেক প্রমান দেখাতে পারবেন, এটা আছে, ওটা আছে সো মানূষ চাদে গেছে । এখন চিন্তা করেন যারা আপনারে এত বড় একটা বিষয় নিয়ে ৪০ বছর ধোকা দিছে ভুয়া ছবি আর ভিডিও দেখায় তারা আর কি কি করতে পারে এটা নিয়া। জ্ঞ্যানীরা জ্ঞ্যান অর্জন করে, চিন্তা করে, তর্ক করে না। ধন্যবাদ।
লেখা টা এর আগে আমার সাইট ফাজলামী ডট কম এ প্রকাশিত, আর আমার ফেসবুকে খানিক টা লেখি
আমি শিমুল শাহরিয়ার। Founder, WebSea Internet Solutions, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 90 টি টিউন ও 497 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ব্র্যান্ড কনসাল্টেন্ট, ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার/ডিজাইনার। আমাকে পাওয়া যাবে @ https://ShimulShahriar.com
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। সত্যি আপনি আজ সত্যকে সবার সামনে প্রকাশ করলেন প্রমাণ দিয়ে।
♣♣♣ আমি আপনাদের কিছু কথা বলতে চাই জানিনা আপনারা আমার সাথে একমত হবেন কি না?
আমেরিকা আরও বেশ কিছুদিন ধরে এই পৃথিবীকে শাসন করবে। কেন করবে তার কিছু প্রমাণ দিতাছি এবং এইসমস্ত বিষয় প্রত্যাখান করতে না পারলে আমেরিকার রাজত্ব শেষ হবে না হয়ত।
১. ইন্টারনেট-এর আমেরিকার ছোয়া আছে এমন সব জিনিয় ত্যাগ করতে হবে (যেমন- Window, Gmail, Hotmail, Facebook, twitter etc কারন এগুলোর মাধ্যমে আমেরিকা সবদেশকে ট্রাকিং করছে যা আমরা বুঝতেই পারছিনা)
২. এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালি দেশগুলো একত্রিত হতে হবে যাতে ইউরোপভুক্ত দেশগুলো এখানে মাস্তানি দেখাতে না পারে।
৩. আমেরিকা প্রতিবছর সামরিক খাতে ৬০ হাজার বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যা অন্য দেশের পুরো বাজেটের সমান। কিন্তু যখন কোন দেশ ১০ হাজার মিলিয়ন ডলার সামরিক খাতে ব্যয় করে আমেরিকার তখন মাথা ব্যথা শুরু হয়। তাই সামরিক খাতে কত ব্যয় করলাম তার সঠিক তথ্য এশিয়ার কোন দেশকে জনসম্মুখে প্রকাশ না করা।
৪. সর্বোপরি নিজ দেশের মধ্যে যাতে কোন ষড়যন্তমুলক আন্দোলন হয় সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে।
উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমেরিকা গোটা বিশ্বকে ট্রাকিং করছে। আমি আজ আপনাদের বলে যাচ্ছি একদিন না একদিন আমেরিকার পতন হবে হবেই।