ইমোশনালী ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে অনলাইনে, অবশেষে অনলাইন কমিউনিটির বিজয় !

এতদ্বারা সকলকে জানানো যাইতেছে গতকাল ইমোশনালী ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে অনলাইনে  শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেকনোলজি ব্লগ টেকটিউনস ও পিসি হেল্পলাইন বিডি ওয়েবসাইটে ,  প্রতিবেদন গতকাল পাঠকদের মনে চরমভাবে নাড়া দেয় ও গতকালের হটটিউনস হয় ।

ধন্যবাদ জানাচ্ছি  ব্লগ কতৃপক্ষকে ও সকল পাঠকদের যারা বড় একটি মিথ্যার ভীত ভেঙে দিয়েছেন ।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্যায়ের ও ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধে লড়াই করা, যার প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে ।

গতকাল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পর থেকে RJ Kebria সাহেবের মুখোশ উন্মোচিত হতে থাকে,

সে প্রথমে শ্রোতাদের সহানুভুতি পাবার জন্য কথিত মেঘলার সাথে শিখিয়ে দেওয়া বুলি  ফোনালাপ রেকডিং করে আপলোড কিন্তু শ্রোতারা ঐ পোস্টে তাকে গণধোলাই দেয়া শুরু করে ,

আগের দিন বলা হয়েছিলঃ

দু একটি ফেক আইডি শ্রোতাদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের জন্যে বলছি, মেঘলার এই মেয়েবেলার ছবি তিন বছর আগের। মেঘলার কথা অনুযায়ী তার এক চাচাত ভাই এই ছবি দিয়ে একটি ফেসবুকে ফেক আইডি খুলেছিলো। আমরা মেঘলার আরো কিছু ছবি ফেসবুকে খুব শীঘ্রই দিয়ে দিব।

কিন্তু গতকাল ফোনালাপে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র, একটা মিথ্যাকে আড়াল করতে ১০ টা মিথ্যার জন্ম দেওয়া হয়, কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকেনা ।

কথিত মেঘলার সাথে কিবরিয়ার ফোন কথপকথনঃ
যারা মেঘলার ছবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এবং এই পেজ এর পরিবেশ নষ্ট করছেন, তাদের জন্যে মেঘলার সাথে কথাবন্ধু কিবরিয়ার ফোন কথপকথন প্রকাশ করা হলো। শোনার জন্যে অনুরোধ করছি।লিখেও প্রকাশ করা হলো…কিবরিয়াঃ হ্যা…মেঘলা…
মেঘলাঃ জি ভাইয়াকিবরিয়াঃ আপনি এখন কোথায় ?
মেঘলাঃ আমি এখন বরিশালে আছি।কিবরিয়াঃ আপনি বোধয় আমাদের ফেসবুকে আছেন, আপনার ছবি দেওয়ার পর থেকেই দেখতেছেন তো কি অবস্থা! একটা ইন্ডিয়ান একটা বাংলা আইডি শেয়ার করেছে, করে বলছে আপনি এগুলা ভুয়া ছবি দিয়েছেন। এগুলা আপনার ছবি না, তো আপনার কি বলার আছে…মেঘলাঃ আমি শ্রোতাদের বলতে চাই, এটা ভুয়া ছবি না এটা আমার নিজের ছবি। দরকার হলে আমার সামনে এসে কথা বলুক, আমার বিস্তারিত সব কিছু এসে জানুক,তাইনা?সত্য কখনো চাপা থাকেনা সর্ন সর্ন ই থাকে একবার না হাজার বার ট্রাই করলেও। এই মুহুর্তে আমি অনেক কষ্টের মাঝে আছি। দর্শকের (শ্রোতা) উদ্দেশ্যা এটাঈ বলতে চাই এটা আমার ছবি।কিবরিয়াঃ আচ্ছা, এই ছবি টা আপনি কবে তুলেছিলেন? মনে আছে কিভাবে(কেন) তুলেছিলেন?

মেঘলাঃ এই ছবি আমি দুর্সম্পর্কের মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তুলেছি। আমি একা না আরো ছবি আছে, আমার বান্ধবীর সাথে এখান কার। এই ছবি গুলা এখন অনেক দূরে রইছে, একেকজন একেক যায়গায় রইছে।

কিবরিয়াঃ শাকিল আমাকে জানালো, বরিশাল আপনি গেছেন, কিছু ছবি আনার জন্যে, আপনি কি কিছু ছবি পেয়েছেন?

মেঘলাঃ হ্যা আমি দুই কপি ছবি পেয়েছি।

কিবরিয়াঃ আপনি ঢাকায় আসবেন কবে?

মেঘলাঃ আমি হয়ত…শনি বারে আসব।

কিবরিয়াঃ আচ্ছা, শনিবারে আসলে আমরা আপনার ছবি দুইটা যারা সন্দেহ করছে তাদের দেখাতে পারবো।

মেঘলাঃকে কিভাবে সন্দেহ করছে জানিনা, তবে সবার বোঝা উচিত, কারো জীবনে কোন ঘটনা না থাকলে এমন করে বর্তমান দুনিয়ায় ভুয়া কোন জিনিস বলতে পারেনা।

কিবরিয়াঃআচ্ছা, ফেসবুকে আরো দুইটা ছবি পাওয়া গেছে, একটা ফোনে কথা বলা, আরেকটা নাচের ভঙ্গীতে ছাদে বসা…

মেঘলাঃহ্যা ছোট বেলা তে আমি নাচ করতাম। ফেসবুকে আমার আরো ছবি আছে, আমার চাচাত ভাই হয়ত দিয়েছে। উনি ফেসবুক চালাইত। আইডি নাম্বার কত জানিনা।আর ভারতে আমার খালা বাড়ি।চাচাত খালা। উনার মেয়ে ছেলে ইন্টার নেট চালায়। হয়ত উনারা দিতে পারে। আমার সাথে বর্তমানে কারো সাথেই যোগাযোগ নেই।

কিবরিয়াঃ ঠিক আছে মেঘলা, আপনি টেনশন করবেন না, আমাদের শ্রোতারা আপনাকে অনেক ভালোবাসে…

মেঘলাঃ (কষ্ট নিয়ে) টেনশন না। শ্রোতাদের কথা শুনে আমি আরো কষ্ট পাইছি।আমি বাচতে চাই, আমাকে আরো সবাই মিলে মারতে চায়। কেন? (কান্না)

কিবরিয়াঃ না না মেঘলা এভাবে ভাবার কোন কারন নাই, মানুষের মনে সন্দেহ তো হতেই পারে তাইনা?

মেঘলাঃ সন্দেহ হলে আমার কি করার আছে…এখন সবাই মিলে এমন করলে আমার আছে মরার বাকি…!আল্লাহ তো সবি নিছে, একমাত্র জীবন টা নেওয়া বাকি…!

কিবরিয়াঃ শ্রোতারা আমাদের অনুষ্ঠানের হার্ট। তারা সন্দেহ করলে করতেই পারে। আমাদের কাজ তাদের সন্দেহ দূর করা।

মেঘলাঃ আল্লাহ র কোরআন নিয়ে কি কেই মিছা কথা বলতে পারে? আমি কোরআন নিয়ে এসেছিলাম…

কিবরিয়াঃ হ্যা আমি দেখেছি। আপনি সহী সালামতে ফিরে আসুন। আসসালামু আলাইকুম।

মেঘলাঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।

হাজার হাজার শ্রোতা তখন প্রশ্ন করতে থাকেঃ

১, আগের দিনের লম্বা অনুষ্ঠানে কথিত মেঘলা কোথাও বলেন নি তিনি নাচ জানতো, টেকটিউনসে ছবি প্রকাশের পর কেন এ প্রসঙ্গ উঠলো ?

২, (মেঘলাঃহ্যা ছোট বেলা তে আমি নাচ করতাম) কিন্তু ছবিটি ছোটবেলার নয় ।

আগের দিন বলা হয়েছিল

  • মেঘলার এই মেয়েবেলার ছবি তিন বছর আগের। মেঘলার কথা অনুযায়ী তার এক চাচাত ভাই এই ছবি দিয়ে একটি ফেসবুকে ফেক আইডি খুলেছিলো।

গতকাল বলানো হল

  • আর ভারতে আমার খালা বাড়ি (চাচাত খালা) । উনার মেয়ে ছেলে ইন্টার নেট চালায়। হয়ত উনারা দিতে পারে। আমার সাথে বর্তমানে কারো সাথেই যোগাযোগ নেই।

৩, যেহেতু ইন্টারনেটের যুগ সরকার সারাদেশে ইন্টারনেট দিয়েছে উনার নিজের ফেসবুক আইডি আছে যেহেতু ছবির জন্য যতক্ষণ ফোনালাপ করলেন ছবি ২টা আপলোড করতে এতো সময় লাগতো না , তাহলে বরিশাল থেকে আসার অপেক্ষা কেন ?

এরকম হাজার হাজার প্রশ্ন আসতে থাকে কিবরিয়া সাহেব কোন প্রশ্নের উওর দিতে না পেরে ঐ ফোনালাপ পোস্ট মুছে দেয় ।

সাথে যে মিথ্যা ছবি হাজার হাজার লাইক কামানোর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক ছবিটি আগের দিন হিড করে রাখলেও গতকাল মুছে দেওয়া হয় ।

পোস্ট ও ছবি মুছে দেওয়ার পর ছবির ঘটনার কোন সুরাহা না করেই উনি নিজেই মেঘলা চ্যাপ্টার ক্লোজড ঘোষণা করেন । মেঘলার সাথে দেখা করার সুযোগ ও  পেইজে ব্যান করার হুমকি দিয়ে নিচের পোস্ট দেনঃ

আরে ভাই আমরা তো বলতেছি মেয়ে থেকে ছেলে হতেই পারে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায়, এতে অবিশ্বাসের কিছু নাই ।
কিন্তু আমরা জানতে চাচ্ছি আপনি যে ছবি দিয়ে ফেসবুকে লাইক কামাইলেন ঐ ছবির মেঘলার তার সত্যতা প্রমান করুন ।

অথবা  মেঘলার গ্রামের ঠিকানা চেয়ে ম্যাসেজ করেছি, আমরা এই ছবিগুলো নিয়ে তার গ্রামের লোকদের, স্কুলের লোকদের দেখাবো, দেখবো গ্রামের লোক বা স্কুলের আগের মেঘলাকে চিনতে পারে কিনা ।

কিন্তু তিনি কোন উত্তর দেন নাই !!

আপনি ডাক্তারের কথা বলেছেনঃ

আমরা শ্রোতারা বলতেছি আমরা বিশ্বাস করি ছেলে থেকে মেয়ে হতে পারে , ঐ লোক ও হতে পারে ।

আমরা প্রমান চাচ্ছি আপনি যে ছবি মেঘলার বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অথবা চাচাত ভাই খালাত ভাই ফেক আইডি বলে পাশ কাটালেন , তার প্রমান করুন ।

মেঘলা যেদিন মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছিল তারপর দিনের ছবি আছে নিশ্চয়ই , এই যুগে এত বড় ঘটনার ছবি থাকা স্বাভাবিক সেগুলো দেখাবেন প্লিজ ।

রাতারাতি জেন্ডার পালটালেও রাতারাতি চেহারাতে এতটা পরিবর্তন আসতে পারেনা না তাই আমরা সেই সময়ের ছবি , মেঘলার বাবা মায়ের সাথে উঠানো ছবি দেখাবেন প্লিজ ।

এপ্রসঙ্গে ফেসবুকে রবিন বলেনঃ ছবি ডিলেট মাধ্যমে কিবরিয়ার কীর্তি প্রমান হয়েছে কিন্তু দর্শকদের কাছে এখনো ক্ষমা চাইছে না কেন ?

ক্ষমা চাওয়া না চাওয়া যার যার ভদ্রতার উপর নির্ভর করে , ছবি ডিলেট করে দিছে এতেই প্রমান হয় সে কতটুকু প্রতারনা করেছিল ।

Level 2

আমি MD. RUBEL AHMED। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 66 টি টিউন ও 588 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইন্টারনেট থেকে নতুন জিনিস শিখতে ও শেয়ার করতে ভালবাসি ।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 2

really

Rj kebria একজন ভন্ড ও প্রতারক !সে এখনো ক্ষমা চাচ্ছে না কেন?তাকে & তার অনষ্ঠান বর্জন করুন যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা না চায়….

সত্যকে উন্মোচন করার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ !আসুন আমরা প্রতারক rj কিবরিয়ার অনষ্ঠান বর্জন করি!তার লজ্জা থাকলে সে অবশ্যই ক্ষমা চাবে!আর যদি ক্ষমা না চায় তাহলে আমরা বোজে নিব তার লজ্জা-শরম বলতে কিছুই নাই !

সত্যকে উন্মোচন করার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ !আসুন আমরা প্রতারক rj কিবরিয়ার অনষ্ঠান বর্জন করি

Level 0

Search youtube FOR
First Bangladeshi Miss world Contestant (প্রথম বাংলাদেশী মিস