গত মাসেই মাইক্রোসফট বাজারে আনল তাদের বহু ব্যাবহ্বত সফটওয়্যার মাইক্রোসফট অফিস এর সর্বশেষ ভার্সন অফিস ২০১০।
এর বেটা ভার্সন টা রিসিভ করি গত মার্চ মাসে। ভাবলাম ব্যাবহার করেই দেখা ্যাক কেমন হল। আগেই বলে রাখছি এটা কে কোন বিশেষজ্ঞ মতামত ভাবলে ভুল করবেন, এটা শুধুই আমার নিজের ব্যাবহার এর অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।
প্রথমেই যে জিনিসটা চোখে পড়ল সেটা হলো এর সম্পূর্ণ নতুন ইউজার ইন্টারফেস। এই নতুন ইন্টারফেস আগের চেয়ে অনেক আকর্ষণীয়।২০০৭ এ থাকা রিবন টা সরিয়ে এখন সেই জায়গা দখল করেছে অনেকগুলো ট্যাব। ব্যাবহারকারী প্রয়োজনীয় সংযোজন- বিয়োজনের মাধ্যমে নিজের দরকারী কমান্ড গুলো এখানে সাজিয়ে নিতে পারেন।
আরেকটি নতুন সংযোজন হল এর backstage view. এখানে ক্লিক করা হলে, সবগূলো ফিচার একসাথে দেখাবে, যা আগে বিভিন্ন মেনুতে ছড়ানো ছিল।
Microsoft word 2010
এটি সংগত কারনেই অফিস স্যুইটের সবচেয়ে জনপ্রিয় এপ্লিকেশন। তাই পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ব্যাবহারকারীর অসুবিধা না করে এটায় কোন বড় ধরনের পরিবর্তন আনাটা সহজ কাজ নয়। সদ্য সংযোজিত ব্যাক্সস্টেজ ভিউ এর কল্যাণে এতে রিসেন্ট ডকুমেন্ট গুলো ।প্রিভিউ এবং ফুল স্ক্রীন দুভাবেই দেখা যায়, যা কিনা মাল্টিপল ডকুমেন্ট কিংবা একই ডকুমেন্টের বিভিন্ন ভার্সন নিয়ে কাজ করা দ্রুততর করবে।
আরেকটি সংযোজন হলো এর বামপাশের ন্যাভিগেশন প্যান। এটি কোন দীর্ঘ ডকুমেন্টএর বিভিন্ন অংশ , যা কিনা ভিন্ন হেডিং বা সাবহেডিং দিয়া আলাদা করা, সেগুলোকে ভিন্ন বাটন রুপে দেখাবে। এতে যে সুবিধা তা হবে তা হল, ঐ বাটনে ক্লিক করে সরাসরি ঐ অংশে চলে ্যাওয়া ্যাবে পুরা দৈর্ঘ্য টূকূ স্ক্রল করা ছাড়াই। যেমন ধরুন আপনি ৫০ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন, এখন আপনি যদি, এর বিভিন্ন অংশকে আলাদা হেডিং দিয়ে রাখেন, তাহলে ঐ একই হেডিং বামপাশের ন্যাভিগেশন প্যানে দেখাবে। সেই হেডিং এ ক্লিক করে আপনি সরাসরি সেই অংশে যেতে পারেন, ঐ অংশ কোন পেজে আছে সেটা নিয়ে চিন্তা করা ছাড়াই।
আজ এটুকুই। বাকি অনুধাবন গুলো নিয়ে আবার হাজির হব। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি বাংলাটেক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 24 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সুন্দর post