গ্রে’স এনাটমিঃ মায়ের লাশ ডিসেকশন
মেডিকেলে ভর্তি হয়ে একটা কমন কথা সবার মাঝেই প্রচলিত।
তা হলো- গ্রে’স এনাটমির লেখক “গ্রে” নাকি তার মায়ের লাশ ডিসেকশন করে এনাটমি বই লিখছেন?
গ্রে’স এনাটমি । Gray’s anatomy. মেডিকেলে এনাটমি সাবজেক্টে পড়াশুনায় বিলাসিতার আরেক নাম। পড়ুক আর না পড়ুক , এই বই নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে রাখতেও সবাই পছন্দ করে। এই নামে সেই রকম পপুলার একটা সিরিয়ালও আছে। এই বইটা যে লিখছে তার নাম ‘হেনরি গ্রে’।
স্বল্প পরিসরের এক জীবনে পৃথিবী স্মরণীয় এক ব্যক্তির নাম। ১৮২৭ সালে লন্ডনের বেলগ্রেভিয়াতে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে এফআরসিএস ডিগ্রী অর্জন করেন তাক লাগিয়ে দেন সবাইকে। পেশায় তিনি লন্ডনের সেইন্ট জর্জ হাসপাতালের এনাটমি বিভাগের লেকচারার ও কিউরেটর ছিলেন। ১৮৫৮ সালে তার লেখা “ ডেসক্রিপ্টিভ এনাটমি ও সার্জারী” বইয়ের প্রথম প্রকাশনা বের হয়। তখন ওই বইয়ের পৃষ্ঠা ছিল ৭৫০ ও চিত্র ছিল ৩৬৩ টি !!!!!!!!! তারপর ১৮৬০ সালে তার বইয়ের দ্বিতীয় ও গ্রের হাতে করা শেষ এডিশন প্রকাশিত হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৮৬১ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে হেনরি গ্রে মারা যান “স্মল পক্স” রোগে!!!!!!!!!!!!!!! তার ভাতিজির পক্স হয়েছিলো। সেটার চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেই পক্সে আক্রান্ত হন। ভাতিজি বেঁচে গেলেও গ্রে মারা যান। :’(
এখন প্রথম প্রশ্নের answer দেই। গ্রে তার মায়ের লাশ থেকে ডিসেকশন করেছিলেন এবং তা থেকে বই লিখেছিলেন। এটা একটা ভুয়া নিউজ। যতদূর জানা যায় -তার মা তার মৃত্যুর অনেক বছর পরে মারা গেছেন। ডিসেকশন দূরে থাক ...।।
১৩ জুন। হেনরি গ্রের ১৫২ তম মৃত্যু বার্ষিকী ।আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তার লেখা বই আমাদের মেডিকেল সাইন্সের নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছে। মানব শরীর সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা তার বই থেকেই পাওয়া যায়।
মোরাল অফ হিস্টোরীঃ
১। “বয়স মানুষের স্মরনীয় হওয়ার পেছনে সহায়ক নয়”।
২- ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী দেখতে যাওয়ার মত আলগা পিরীতি না দেখানোই ভালো।
৩- উইকিপিডিয়ার চেয়ে বড় পিডিয়া হলো –গুজবপিডিয়া।
DSS লুল পাবলিকেশন্স।
^^^ ••♦ DrSayed Sujon ♦ ^^^^...
Know More Story Go Medicallife24