প্রযুক্তি যত অগ্রসর হচ্ছে মানুষ ততই খোলাসা মুক্ত হচ্ছে। আর খোলাসা থেকে বের হয়ে কিছু একটা করার প্রত্যয় নিয়ে ক্যারিয়ার কে গড়ে তোলার একটি মিছিল বয়ে যাচ্ছে। সত্যি এটা দেখার মত একটি বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত অনেকে আছেন এই বিভ্রান্তির ভিতর। তাদের ভিতর শিক্ষিতরা আছে ৩০% আর বাকী ৭০% আছেন অশিক্ষিতরা।
বাংলাদেশ তরুন যুবকরা কিছু একটা করার জন্য প্রতিনিয়ত একের পর এক যোগ দিচ্ছে অনালাইন সাংবাদিকতার পেশাতে। এতে অনেক কর্ম সনস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে এই অনালাইন সাংবাদিকতা টা নিয়ে আমাদের প্রজন্মের অনেক প্রযুক্তি প্রেমীরাও এখনও দ্বিধা-দন্দের ভিতর আছে। তারা হইত ভাবতে পেরেও পিছিয়ে যাচ্ছে। এর কিছু কারন আমি খুজে পেয়েছি।
প্রথমত আমরা ভাবি যে আমার মত অনেকেই এই পেশার সাথে সংযুক্ত। তাছাড়া তারা এখন অনেক উপরে উঠে গেছে। তাদের সাথে আমি কখনও পেরে উঠবো না। আবার অনেকে ভাবেন এইটা একটা পেশা হল। যার কোন নির্দিষ্ট পেশা নেই। অনেকে ভাবেন আমি এত উপরে লেবেলে উঠে এসেছি এখন এইসব করলে মানুষ কি বলবে। এইসব চিন্তা বেশি করে, তবে এছাড়া আরও অনেক কারন আছে যার ফলে তারা এটাকে মূল্যায়ন করছে না বা এটাকে পেশা হিসেবে বা ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে ভয় পাচ্ছে।
এখন এইসব ভ্রান্তির উদ্দেশে আমার কিছু কথা আছে বলতে পারেন কেন করবেন এই সাংবাদিকতা
প্রথমে আসি একটা লজিকে, আপনার একটা মুদি খানার দোকান আছে। এখন আপনি এই দোকান টা কোথাই বসাইলে ভাল বেচা-কেনা হবে বলে মনে করেন? কাচা বাজারের ভিতর নাকি আর কয়েকটা মুদি খানার দোকানে পাশে ? অবশ্যই আপনার উত্তর হতে হবে আরও কয়েকটা মুদিখানার দোকানের পাশে। এখন প্রশ্ন কেন বেশি হবে আর কেন কম হবে?
হ্যাঁ যখন আপনি কাচা বাজার করতে যান তখন কি বাজারের ভিতরের কোন মুদি খানার দোকান থেকে সব পণ্য কিনেন? কিনেন না কারন আপনি জানেন যে, অমুক স্থানে অনেকগুলো দোকান আছে মুদিখানার আর সেখানে গেলে অবশ্যই আপনি যে পণ্য টা নিবেন সেটা যাচাই-বাচাই করে কিনতে পারবেন, তাছাড়া আপনি সেখানে গেলে আপনি সঠিক দামে কিনতে পারবেন সেই আশা রেখেই তবে যান।
এখন আমরা আসল কোথাই আসি। হাজারো অনালাইন পত্রিকা আছে আবার হাজারো অনলাইন সাংবাদিক আছেন । আপনিও তাই করবেন। আমরা এই কথা টা খুব ভাল করে জানি যে, যত মানুষ শিক্ষিত হবে ততই কর্ম সংস্থান বাড়বে। একই সাথে আমরা বলতে পারি যত পত্রিকা বাড়বে ততই পাঠক বাড়বে। এটাই স্বাভাবিকভাবে হওয়া উচিত। আজকে দেখুন কত পরিমান অনলাইন পত্রিকা প্রযুক্তি ব্লগ তৈরি হয়েছে পাঠক কি কমেছে? না বরং পাঠক আরও বারছে প্রতিনিয়ত। তবে এখন যেহেতু আপনি উঠতে চাচ্ছেন একটি উচ্চ তলিকাই তাই এখানে আপনাকে কিছু টিপস বা ট্রিকস কাজে লাগাতে হবে যাতে করে আপনি একটা অবস্থানে যেতে পারেন।
আপনাকে পুরা এই মার্কেট টা রিসার্চ করতে হবে। আপনাকে একজন সাধারন পাঠকের মত হয়ে ভাবতে হবে। একজন পাঠক কি ভাবছে তার চিন্তা থেকে। প্রথমত পাঠক আকৃষ্ট হয় এমন কিছু কাজে লাগাতে হবে। একজন পাঠক কেন ভালমানের উচ্চ পত্রিকা রেখে আপনার পত্রিকা পড়তে আসবে বা কেনই বা আপনার লেখা পড়বে। সর্ব প্রথম এই চিন্তা মাথাই রেখে পাঠক আকৃষ্ট কিছু পদ্ধতি আপনাকে প্রয়োগ করতে হবে। যখন একজন পাঠক আপনার লেখা পড়ে আকৃষ্ট হবে তখন সে আরও একজন পাঠক কে পড়তে উপদেশ দিবে। আর এর জন্য আপনাকে যদি ইনভেস্ট করতে হয় তবু করুন। তবে ফল একটা সময় আসবে। আর একটা কথা মাথাই রাখতে হবে ভাঙ্গন আসবেই, আপনি যদি সেই ভাঙ্গন টা কে ঠেকাতে পারেন তবেই আপনি সফলতার মুখ দেখবেন।
যাই হোক আমরা যেহেতু অনলাইন সাংবাদিকতা নিয়ে ভাবছিলাম। আপনি যদি এই পেশাতে যোগদান করেন তবে আমি মনে করে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে আপনার নাম বা সন্মান পাবলিক সাংবাদিকদের থেকে কম হবে না। আপনি যখন একজন অনালাইন সাংবাদিক তখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার গুষ্টির ভিতর অন্তর্ভুক্ত হবেন। এতে আপনার একই সাথে সন্মান এবং ক্যারিয়ার গড়ে উঠবে। আপনাকে জনপ্রিয় করে তোলার একটা অসাধারন মাধ্যম হচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়া। তাই আমি মনে করি অনলাইন সাংবাদিকতা একটা ক্যারিয়ার গড়ার জন্য যথেষ্ট। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, কারন ক্যারিয়ার গড়ার দায়িত্ব টা যে আপনার। অনালাইন সাংবাদিকতা করতে গেলে প্রচুর ধৈর্য ধয়া প্রয়োজন। তাই এই কথা মাথাই রেখে অনলাইন সাংবাদিকতা করা উচিত।
লেখাটি পূর্বে আমার প্রযুক্তির আলো ব্লগে প্রকাশিত
আমি হ্যারি পটার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 46 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।