আমার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজীতে। পড়ালেখা ঢাকা কলেজে।
প্রয়োজনের তাগিদেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় এবং প্রতিনিয়ত করে আসছি। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্টারনেট সেবার যে করুন অবস্থা তাতে উচ্চমূল্যে ইন্টারনেট ক্রয় করলেও তা ব্যবহার করে কোনরুপ শান্তি নেই। আজ তেমনি কিছু কষ্টের কথা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
তখন সবে মাত্র নেট ব্যবহার করা শিখেছি। টিভিতে বিশ্বমানের চিটিং মিশ্রিত বিঞ্জাপন দেখে তাদের মডেম কিনতে আগ্রহী হই এবং ১৪০০ টাকায় তাদের মডেম এবং সাথে একটি ৩০০ টাকার কার্ড কিনে নেই। বাসায় এসে মডেম ইন্সটল করার পর দেখি নেটওয়ার্ক নাই। ফোন দিলাম কাস্টমার কেয়ারে। বলল এন্টিভাইরাস আনইন্সটল করেন । করলাম কাজ হয় না আবার ফোন- জুম আলট্রার মডেম আনইন্সটল করেন করলাম। আবার ফোন- নতুন করে উইন্ডোজ সেটাপ দেন!! গেলাম গরম হয়ে । শালার বাচ্চারা পাইস কি? বাজারে এক্সটার্নাল কেবল পাওয়া যায় কেবলে মডেম লাগিয়ে তা জানালা দিয়ে ফেলে দিন.. ব্লা ব্লা ব্লা;;; পরে আবার ফোন দিলাম – বলে নতুন একটা কম্পিউটার কিনে নেন!!!! আব্বে হালা কয় কি?? পরে একজন ভদ্র মহিলা কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের সাথে কথা হলো এবং তিনি খুবই গুরুত্ব নিয়ে আমার সমস্যা শূনলেন এবং বললেন আপনি যদি পরবর্তীতে আমার সাথে কথা বলতে চান তাহলে আমার নাম বলবেন আপনাকে আমারকাছে রেফার করা হবে। এবং তিনি আমাকে বাংলাবিলাইএর ইমেইলে মেইল করতে বললেন। মেইল করতেই আছি মাগার কোন রেসপন্স নাই। পরে অনেক টাকা কাস্টমার কেয়ারে খোয়ানোর পর তাদের মেইন অফিসের ঠিকানা পাই এবং আমি ওই অফিসে বাংলালায়ন মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি এবং মোডেমটি কুরিয়ার করে পাঠাই। তিন দিন পর কাস্টমার কেয়ারে জানতে চাই চিঠি এবং মোডেমটি পেয়েছে কিনা। তারা কোন তথ্য দিতে পারে নাই। পরে সরাসরি চলে গেলাম তাদের সিলভার টাওয়ার গুলশান অফিসে। গিয়ে রিসিপশনে খোজ নিয়ে জানতে পারি ওনাদের হেড কন্ট্রোলার কে তারা তাদের এই মোডেম রেফার করেছে। গেলাম ওনার খোজে কিন্তু উনি বাইরে গেছেন আসতে কিছুটা লেট হবে। বসে ছিলাম তার জন্য। এদিকে বাকি সবাই আমার কাহিনী জেনেছেন। তবুও কেউ কিছু বলল না। পরে ওই মাহান ব্যক্তি আসার পর তার রুমে গেলাম এবং জানতে চাইলাম মডেমটি পেয়েছেন কিনা? জবাবে বলল না এধরণের কোন মডেম আমার হাতে আসে নাই। তারপর আমি বললাম আমি রিসিপশান থেকে কনফার্ম হয়ে এসেছি। তারপর তিনি একজনকে ডেকে আনলেন এবং বললেন আপনাকে যে মডেমটি দিয়েছি সেটি নিয়ে আসেন! সাথে সাথে আমি ওই ব্যক্তিকে বললাম আমি প্রথমে এসেইতো আপনার কাছে বললাম তাইলে মিথ্যা বলে আমাকে এতক্ষণ বসিয়ে রাখলেন কেন?
পরবর্তীতে ওই লিডার আমার ভুল ধরতে লাগলেন। এক পরযায়ে তাকে বললাম বাংলালায়ন ইজ অলওয়েস রাইট? নাকি কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট?
কথাটি বলার পর মনেহয় বেচারা লজ্জা পেয়েছে। আমাকে বলল রিচার্জের ৩০০ টাকা আপনাকে সেকরিফাইজ করতে হবে। পরে মডেমের ১৪০০ টাকা নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরলাম।। এই হলো আমার বাংলা বিলাইয়ের সাথে অভিঞ্জতা
প্রথমেই আসি বাংলালিংক প্রসঙ্গে। সত্যিকার অর্থেই বাংলালিকের ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো অসাধারণ। ঢাকায় ফার্মগেট, গুলশান এই দুই এরিয়ায় আমি তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করেছি এবং তাদের স্পীড ২৫ থেকে ৩৫ কেবিপিএস। যা সত্যিকার অর্থেই সন্তোষজনক। ইউটিউব ,ফেসবুক মিডিয়াফায়ার সহ প্রয়োজনীয় অডিও ভিডিও শেয়ারিং এর কাজ খুব সহজেই সেরেছি বাংলালিংক ইন্টারনেটের সাহায্যে।
এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর আমি বাংলালিংক এর আনলিমিটেড প্যাকেজটি ক্রয় করি যা ভ্যাট সহ সাড়ে সাতশত টাকার মত খরচ পড়ে। বিপত্তি ঘটল প্যাকেজ ক্রয় করার পর। স্পীড পাচ্ছি ৫ থেকে ৭ কেবিপিএস। যা কিনা একটি পেজ লোড হতেই ৪/৫ মিনিট সময় নিচ্ছিল। কিরে বাবা এর আগেওতো আমি বাংলালিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করেছি এত কম স্পীড তো কখনো পাইনি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলাম । একবার দু বার না প্রায় বিশ বার। শেষ মেষ সমাধান “আপনার এলাকায় সর্ব্বোচ্চ স্পীড ১২ আর সর্বনিম্ন স্পীড ১ কেবিপিএস!!! ওই হিসেবে আপনার স্পীড ঠিকই আছে”
িআমি তাকে জিঞ্জেস করলাম ফ্রিতে দিলেও কি আপনি এই স্পীডের নেট ব্যবহার করবেন?
প্রতুত্তরে সেই মহান মানবের জবাব হলো – “ আপনাদেরকেই খোজ খবর নিয়ে প্যাকেজ কেনা উচিত”
এ কথা শোনার পর একটি প্রশ্ন করেছিলাম কাস্টমার মহান ম্যানেজারকে। “বিঞ্জাপন দেয়ার সময় তো বলেন না একেক জায়গায় একেক রেট একেক জায়গায় একেক স্পীড”
প্রশ্নটার জবাব না দিয়ে সেই মহান শিশুটি লাইন কেটে দিয়েছিল।
এর পর ৭৫০ টাকা জলে ফেলার দুঃখে গ্রামীণফোন হ্যাক করতে শুরু করলাম। সাথে সাথে টেকটিউন্স ব্লগে এ নিয়ে টিউনও করে দিলাম। মাত্র ৪ ঘন্টায় টিউনটিতে ২০০+ কমেন্টস হয়েছিল কিন্তু জনাব সোর্ডফিস টিউনটি ডিলিট করে দিয়েছেন যা ছিল টিটিতে আমার প্রথম টিউন। টিউনটি করার ফলে আমার একটেল মোবাইলে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট লিখা কোড থেকে বার বার বিভিন্ন থ্রেট আসছিল। যাই হোক তিন মাস ফ্রিতে চালানোর পর কেমনজানি অপরাধবোধ কাজ করল তাই ফ্রি ব্যবহার বাদ দিয়ে ব্রডব্যন্ড ব্যবহার করা শুরু করলাম।
গত দুই মাস আগে ব্রডব্যান্ড থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছি। তাই এয়ারটেলের দিকে মুখ তুললাম। ৭৫০ টাকায় ৫ জিবি কিনে মহা মুসিবতে পড়লাম। স্পীড ৫/৭ কেবিপিএস। যথারীতি মহান কাস্টমার ম্যানেজার- আপনার পিসি রিস্টার্ট দেন। পরের জন- দুপুর তো তাই এমন হচ্ছে একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে। পরের জন- স্যার আপনি কি জানেন বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ চলছে? কাজ শেষেই সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে। মাগার সমস্যার আর সমাধান হইল না। নিচে তাদের স্পীডের স্ক্রীন শর্ট দিলাম।
এখন রবি ব্যবহার করছি । ৭৫০ টাকায় ৫ জিবি। মুখে কিছু বলবনা হাতে কিছু লিখবনা। স্ক্রীন শর্ট দেখুন। তবে রাতের বেলা স্পীড কিছুটা বেশি পাই।
সম্প্রতি বিকাশের মাধ্যমে রবি মোবাইলে রিচার্জ করার অপশন যোগ করা হয়েছে। একি সাথে রবির বন্ধ সিমে ১৭ টাকা রিচার্জে বিভিন্ন বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। যতবার রিচার্জ ততবার বোনাস। তো বিকাশ থেকেই রিচার্জ শুরু করলাম। ১৭ টাকা রিচার্জ করলাম বিকাশের মাধ্যমে ১৭ টাকাই কাটল একাউন্ট থেকে। এদিকে রবিতে এসএমএস আসল আমি ৩৪ মিনিট টকটাইম ৩৪ এমবি নেট ফ্রি পেয়েছি। খুশিই হলাম। ভাবলাম আবার ১৭ টাকা ঢুকাই তাহলে ৬৮ এমবি হবে আর পিসিতে নেট চালানো যাবে। সাথে সাথে আবার ১৭ টাকা রিচার্জের জন্য রিকোয়েস্ট করলাম। মেসেজ আসল একবার রিচার্জ করার ৫ মিনিটের মধ্যে পুনরায় রিচার্জ করা সম্ভব নয়। এদিকে আমার একাউন্ট থেকে ঠিকই টাকা কেটে নিয়েছে। বিকাশ থেকে মেসেজ আসল আমার রিচার্জ রিকোয়েস্ট প্যান্ডিং রয়েছে পরবর্তীতে স্টাটাসের উপর ভিত্তি করে টাকা ফেরৎ দেয়া হবে। কিন্তু আজ অবধি আমার টাকা আসেনি। যাই হোক প্রাথমিক অবস্থাতেই যাতে বিকাশ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুরাহা করেন সেজন্য তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবং তদন্তের সার্থে ট্রানজেকশান আইডি দিলাম ৩১৭৮৭১২২৯ তারিখ ০১/০৮/২০১৩ সময় ১৭:৩৮) আমার ইমেইল – [email protected]
দোষ তো তাদের না দোষ সবার। কারণ সার্ফএক্নেল কখনো কঠিন ময়লা কাপড় পরিষ্কার করতে পারেনা। হরলিক্স খেলে কেউ টলার স্ট্রংগার শার্পার হয় না। ম্যগি নুডলস কখনো দুই মিনিটে রান্না করা সম্ভব না। ফেয়ার েএন্ড লাভলি মেখে কেউ সুন্দরী হয় না। লাক্স লাগালে রেশমী কোমল তক হয় না। ফ্রুটিকা খেলে কেউ সত্য কথা বলে না। বিঞ্জাপন মানেই মানুষের দুর্বল জায়গায় আঘাত করা আর পকেট থেকে টাকা বের করে আনা। সবাই আমাদের সাথে চিট করছে তবে গ্রামীণফোন কোন৫ জিবিকে আনলিমিটিড বলে ৯০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে না? অন্যরা কেন উচ্চ মূল্যে নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা দিবে না?
পরিশেষে বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাই সুন্দর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য।
সম্প্রতি মার্কস আইটির বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়ালের কাজ করছি। এবার ফ্রি টিউটোরিয়ালের জন্য বিষয় ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট। তাই
ওয়ার্ড প্রেসের থিম ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখছি। খুব শীঘ্রই আপনাদেরকেও শেখাব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু অভিজ্ঞদের কাছে আমার শেখার বিষয়টি হলো। আমার থাম্বনেইল গুলো নিচের চিত্রের মত করে শো করছে আমি কিভাবে এটিকে কনটেন্ট এর সমান্তরালে নিয়ে আসতে পারি? জানলে সাহায্য করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
:::এডসেন্স সস্পর্কিত যে কোন জিজ্ঞাসায় আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে পারেন::
::এডসেন্স সম্পর্কিত ভিডিও লেসন পেতে পারেন ইউটিউবে:::
সৌজন্যেঃ মার্কস আইটি ব্লগ
আমি আরিফ আহমাদ চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 58 টি টিউন ও 417 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই বাংলালিংক এর কথা বলছেন ? আমিও আনলিমিটেড ব্যাবহার করতাম । মাস তিনেক ভালোই স্পীড মানে ২০-২৫KB পেতাম । কিন্ত এর পর থেকে ৩KB ৭KB ১০KB এভাবে পেতাম । আর ১৮-২০KB তো খুবি কম পেতাম । রেগেমেগে customar care এ কল দিলাম । বললাম আপনাদের থেকেতো জিপি , রবির স্পীড ভাল । ওরা বললো তারা অন্য গুলা জানেনা । ওরা আমাকে kbps আর KBps কি জিনিস তা বুঝাতে চাইলো । বলেন এদের কি করতে ইচ্ছে করে ? আমারতো মনে হয় তারাই এটা ভাল ভাবে বুঝেনা । যেখানে আগে ১৬০-২২৫kbps পেতাম, আর ওরা বলে কিনা আমার এলাকায় ১২৮kbps এর লাইন । আমি নাকি এর চেয়ে ভাল স্পীড পাচ্ছি । ১২৮kbps এর কম পেলে নাকি ওরা দেখবে । এই বলে এমন একটা ভাব নিল যেন বাংলালিংক নেট ব্যাবহার করাতে আমার অন্যায় হয়েছে । তার পর মহা বেস্ততা দেখিয়ে লাইনটা কেটে দিল । এর পরথেকে বাংলালিংক ব্যাবহার করাও বাদ দিলাম ।