সময়ের আপেক্ষিকতা যদি বলতে কিছু বোঝায় তাহলে আমি বলবো এ যুগে প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সামাজিক অগ্রসরতার ধাপকেই বোঝানো যায়। আবার ক্ষুদ্র দৃস্টিতে দেখা যায় একজন মানুষের যেটা খুব কষ্টের মনে হচ্ছে আরেকজন মানুষের কাছে একটা কম জটিল ঘটনা তার চেয়ে বেশী কষ্ট দিচ্ছে। তখন আসলে মানুষ করে? যারা খুব মিশুক টাইপের তারা কস্টগুলো শেয়ার করে মানুষের সাথে যাতে দুঃখের ভার গুলো কমতে থাকে, মনের ব্যাথা গুলো উপশমের কোনো রাস্তা খুজতে থাকে নিজেরি অজান্তে। এই কাজটির জন্য দরকার সুন্দর একটা কমিউনিকেশন সিস্টেম।
আজকাল গ্রামে গঞ্জে গেলে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখা যায়, অবশ্য এ অদ্ভুত জিনিসটা দিনের আলোয় চোখে পড়ে না, চোখে পড়ে রাতের বেলা। গ্রাম জুড়ে আরইবির ইলেকট্রিক পিলার গড়া, সারে সারে থ্রী ফেজ কপার ওয়্যার টানানো 150-200 আরএমের কিন্তু মাইলের পর মাইল অন্ধকারে ডুবে আছে একের পর এক জনপদ। সরকার বলে প্রতিবছর আমাদের জেনারেশন বাড়ছে, চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু এরা কোনোদিন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। তবে তখনও একটা জিনিস পাওয়া যায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক আর সাথে আছে আধুনা ইন্টারনেট। একসময় ইন্টারনেট কি সেটাই মানুষ চিনতো না, এখন এসব অজোপাড়াগায় বা উপজেলা থেকে অনেকেই বলে ঐ কোম্পানির নেটে ভালো স্পিড এই কোম্পানির টায় ভালো স্পিড নাই। কোম্পানিগুলোও নিরন্তর খেটে যাচ্ছে এই হাই স্পিড ইন্টারনেট সার্ভিস দেবার জন্য রাত দিন খেটে চলছে। সিটিসেল এর জুমে বেশ ভালো স্পিড পাওয়া যায় শিকার করতেই হবে। কারন এখানে ব্যান্ডউইডথ ইন্ডিপিন্ডেন্ট কাজ কারবার। তাই সাবস্ক্রাইবার হঠাৎ বেড়ে গেলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না। কনজেশন খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না কারন এর আসলেই সাবস্ক্রাইবার কম তবে সাবস্ক্রাইবার বাড়লেও ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রামের সহজলভ্যতার কারনে ভালো সার্ভিসও পাওয়া যাচ্ছে। তাই এখানে মূল ব্যাপারটা যেটা নির্ভর করছে এর Gi ব্যান্ডউইডথের উপর। অবশ্য CDMA 2000 এ সাবস্ক্রাইবার বেড়ে গেলে অবশ্যই কনজেশন ব্যাপারটা সামনে আসে যেটা পরে CDMA 2000 1x EV/DO পুরোপুরি ছেটে ফেলা হয়েছে। তাই দেখা যায় এর মাধ্যমে ডাটা সার্ভিসটা আরো শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে কেননা চ্যানেল ক্যাপাসিটি এখানে খুবই বেশী আর হিউজ ইন্টারফেস ক্যাপাবিলিটির কারনে দেখা যায় অবিশ্বাস্য রকমের গতি।
এদিকে এজের মাধ্যমে যারা ইন্টারনেট ব্যাবহার করছেন, তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন এই কনজেশন জিনিসটা কি পেইনের ব্যাপার। আগে নাকি শুনতাম কোনো একটা ক্যালকুলেশন দিয়ে মানুষ নাকি দু এক দিন পর আসতো ওর এ্যানসারের জন্য কারন কম্পিউটার তখন কচ্ছপের গতিতে এগুতো। এখন সময় পাল্টেছে কিন্তু 2.5 জি তে এজের সেরকমই একটা দিন পার করছে। হাই ট্রাফিকের কারনে ভয়েসের জন্য চ্যানেল গুলো এমনিতে দখল কে রাখে ভয়েসের সাবস্ক্রাইবার, সেখানে ডাটার জন্য কোনো সাব্স্ক্রাইবার যদি চ্যানেলে ঢুকতে পারে তখন দেখা যায় সেখানে সে ভয়ানক কম স্পিডের সম্মুখীন হচ্ছে। তখন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে কনজেশনের পরিমান ট্রেস করে রিসোর্স বাড়িয়ে দিয়ে বা ওভারঅল Gi ব্যান্ডউইডথ বাড়িয়ে দিয়ে সে সমস্যার জোড়াতালি সমাধান দেয়া হয়। তবে যখন নির্দিষ্ট আরো কোনো প্রমোশনের সময় এ ব্যবস্থায় খুব একটা পরিবর্তন হয় না। তখন একটা সলিউশন আছে (Gi ব্যান্ডউইডথ বাড়ানোর পরও স্পিডের পরিবর্তন না ঘটলে), যেটা হলো আরেকটা বিটিএস বা সেল স্প্লিট করা যেটা মূলত ভয়েসের কারনে চ্যানেলে চাপ কমাবার জন্য কাজ করবে, তবে এটা অনেক খরচের ব্যাপার। জিএসএম টেকনোলজি হলো এমন একটা টেকনোলজি যেখানে সাবস্ক্রাইবার দিক থেকে খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি, ফলে দ্রুত সাবস্ক্রাইবার বাড়ার সাথে সাথে এর প্রাক্কলিত খরচটা কমে আসে, তাই এটা খুব জনপ্রিয়। ইদানিং এনএসএন মোটোরোলার মাধ্যমে একটা সল্যুশনে যেটা মূলত কোর নেটওয়ার্কে কাজ করাতে হয় তবে আমাদের মতো হাই ডেনসিটি সাবস্ক্রাইবার রিজিয়নে এটা কতটুকু কাজ করবে সেটাই চিন্তার বিষয়!
চলবে....
আমি অশ্রুগুলো রিনকে দেয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 104 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ছেলেটি পথে নেমেছিলো একদিন নীল মায়ার হাতছানিতে। নিঃসঙ্গতায় হেটে যেতে আবিস্কার করে নিঃশব্দ চাদ তার একান্ত সঙ্গী। এখন সে হাতড়ে বেড়ায় পুরোনো সুখস্মৃতি, ঘোলা চোখে খুজে ফেরে একটি হাসি মুখ!
বিষয়টা আসলো জটিল । খুব ভাল লাগলো । ধন্যবাদ