গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার কমাতে বুধবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃপক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক বৈঠক আহ্বান করেছে।
আজ দুপুর ১২টায় বিটিআরসি কার্যালয়ে এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার গোলাম মওলা তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুলিয়াস চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন।
এ সময় ঢাকা ইউনিভার্সিটি আইটি সোসাইটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান, বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দুল আহমেদ, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইসিটি অব বাংলাদেশ- ইয়াহু গ্রুপের মডারেটর এম.এ. কবির এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম.এম. শুভ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এদিকে, আগামী ১২ জুন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন।
এছাড়া বিটিআরসিতে প্রস্তাবের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার নির্ধারণে নেটিজেনদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করেছে সংগঠনটি।
তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের ফেসবুক পেইজ http://fb.com/ICTmovement ও ইভেন্টের মাধ্যমে সবার কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হচ্ছে।
অপরদিকে, বুধবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে ‘উন্মুক্ত মূল্যহার নির্ধারণী সভা’-র আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত হয়ে যে কেউ ইন্টারনেট গ্রাহক ও সর্বস্তরের নাগরিক গ্রাহক পর্যায়ের ইন্টারনেটের মূল্যহার প্রস্তাব করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলন সমন্বয়ক জুলিয়াস চৌধুরী।
জানা গেছে, শাহবাগে সাধারণ সভা ডাকার পর পরই এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় বিটিআরসি।
[collected from BANGLANEWS24.COM]
আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি দয়া করে ফেসবুক এর ফ্যান পেইজ এ ভোট দিয়ে আপনি কত টাকায় ইন্টেরনেট প্যাকেজ চান সে বিষয়ে এবং ৩টায় শাহবাগ চত্বরে ‘উন্মুক্ত মূল্যহার নির্ধারণী সভা’-য় অংশগ্রহন করে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করুন।
আমি snipermr9। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 42 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যে সব বিজ্ঞ (?) ব্যক্তিগন মনে করেন সরকার ব্যান্ডউথের দাম কমালেই ইউজার লেভেলে নেটের দাম কমে যাবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করেন এবং একেক জন খাঁটি গন্ড মূর্খ । কোন লম্বা লেকচার দেয়ার আগে ইন্টারনেট নিয়ে সরকারের পলিসি রিলেটেড ডকুমেন্ট গুলো দেখে নিন । আর প্রতি মুহূর্তে কি পরিমান দুর্নীতি হয় তথ্য-প্রযুক্তি খাতে তা যে কারো কল্পনার বাইরে । দেশের টোটাল ব্যান্ডউইথ প্রায় ২০০ জিবিপিএস এর মাত্র ৩০ গিবিপিএস এর মত আমরা ব্যাবহার করি । আর বাকি ব্যান্ডউইথ দিয়ে আমলা/মন্ত্রিরা পর্ণ দেখেনা , ওইটা দিয়ে ভিওআইপি সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি চলে। কমনসেন্স ব্যাবহার করেন, আপনার কি মনে হয় ‘২০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১৭০ জিবিপিএস ফেলে রাখবে’? । স্যাড বাট ট্রু । সবকিছু সম্ভবের দেশে আমাদের বসবাস ।
আগের পয়েন্টে ফিরে আসি , সরকার পরিকল্পিত ভাবে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিতে বাংলাদেশকে খোজা করে রেখেছে । আপনি জন্মনেয়ার পর মাটির উপর, বাতাসের উপর অধিকার লাভ করেন । এর জন্য কাওকে টাকা দিতে হয় না । তেমনি তরঙ্গ বা ফ্রিকুয়েন্সির উপর ও অধিকার লাভ করেন । তো এই ফ্রিকুয়েন্সি বিনা মুল্যে বা নাম মাত্র মুল্যে পাওয়া ছিল আপনার অধিকার । কিন্তু আমাদের সবাইকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । এই ফ্রিকুয়েন্সির জন্য সরকার কে পে করতে হয় বিশাল অঙ্কের টাকা । এখন এই ফ্রিকুয়েন্সির মুল্য না কমিয়ে সাধারন মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য ব্যান্ডউইথ এর মুল্য ৫০০ বা ১০০০ টাকা কমালেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মুল্য কখনো কমবে না ।
খেয়াল করুন, এ অবস্থা ২০০৯ থেকে অত্যান্ত পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করা। মনে করে দেখুন গত চার বছরে দেশের তথ্যযোগাযোগ অবকাঠামো, তথা নেটওয়ার্কের ১% ডেভলপমেন্টও হয়নি। ন্যাশনাল ব্যাকবোন বলে কিছু নাই । মোবাইল নেটওয়ার্ক যেই ২জি ছিল তাই আছে, ৩জির কথা বলবেন অনেকে , ৩জি এর সার্ভিস কখনো কখনো ২জির চেয়ে খারাপ বলে মনে হয়। অপটিক ক্যবল নেটওয়ার্ক বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। এর মধ্যে যদি কয়েক কিলোমিটার বসানো হয়ে থাকে তা শুধু সরকারী টাকা লুটের অপপরিকল্পনায় করা।
অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল , বাট লিখে কি হবে ?