মালেশিয়ায় বাঙ্গালীদের করুন ইতিহাস- এ জন্য দায়ী কে?

মালেশিয়া আসতে হলে যে ভিসায় আসতে হয় সে ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে সরকারীভাবে ফি ৮০,০০০ টাকা ধায করা হয় ।কোন এজেন্ট ভিসা তোলে , তারপর শুরু হয় হাত বদল ।সব পেশার এমন কি লেবার পর্যন্ত এ ভিসার মধ্যসত্বভোগী দালাল হিসেবে কাজকরে-এইমধ্যসত্বভোগী দালালদের আমরা আদম ব্যবসায়ী হিসেবে চিনে থাকি । হাত বদলের কারনে ১টা ভিসার দাম ঊঠে ২.৫লাখ থেকে ৩লাখ টাকা পর্যন্ত তাও আবার ভিসা জাল হয়ে একাধিক লোকের কাছে বিক্রি হয়।তখন দালালদের লাভের অংক বাড়লেও, শ্রমিকদের দুর্দশার শেষ থাকে না ।  বাঙ্গালী-স্থানীয় সবাই মিলেমিশে করছে এ ব্যবসা ।অপরদিকে বাংলাদেশে বায়রা নামক সংগঠন করে রীতিমত সরকারকে ধমকের উপর রাখে এ আদম ব্যবসায়ীরা । বাংলাদেশের বনানী , পল্টন , মতিঝিলে অফিস থেকে এ আদম ব্যবসা পরিচালনা করা হয় ।কোন আদম ব্যাবসায়ীর বাড়ি যদি হয় যশোর সে ফেনীর লোকদের কাছে ভিসা বিক্রিকরে , আবার কোন আদম ব্যবসায়ির বাড়ি যদি হয় সিলেট এর সে চট্রগ্রামের লোকের কাছে ভিসা বিক্রি করে ।
কেন করে ?
কারন , তাদের কথা শুনে বেকার যুবকরা চোখ বড় করে , নিশ্চিত উজ্জল ভবিষ্যতের আশায় ভিটেমাটি বিক্রিকরে,চড়া সুদে ঋন নিয়ে ২-৩লাখ জোগাড় করে সেই আদম ব্যাবসায়ীর হাতে তুলে দেয় । যদি তার ভাগ্যে জাল ভিসা জোটে তাহলে এয়ারপোর্টেই সে ধরা খেয়ে খবরের শিরোনাম হয় ।সঠিক ভিসা হলে তার দাস জীবন শুরু হয় মালেশিয়ায় এলে । বিশাল অংকের বেতন পাওয়ারকথা থাকলেও এসে দেখে বেতন ৫০০-৮০০ রিঙ্গিট ।ডিঊটি পামঅয়েল গাছের পরিচযা করা গভীর জঙ্গলের মধ্য জনমানবহীন বিদু্ত হীন এলাকা এছাড়া রাস্তায় ঝাড়ু দেয়া অথবা টয়লেট পরিস্কার করা, ভারী মালবাহীজাতীয় কাজ । এমন হয়েছে কেউ কেউ নতুন এসে এগুলো দেখে শুনে কিছু দিন অতিবাহিত হয়ার পর অত্মহত্যার পথ বেছ নিয়েছে কি করবে? চড়া সুদ নিয়ে অধিক অয়ের অশায় পাড়ি জমিয়েছে পাহাড়ের দেশ মালেশিয়ায়।কারো কারো বলা হয় শুধু মাত্র সকাল বিকাল বাগানে পানি দিবে এর মাসিক বেতন হবে অন্তত: ৫০-৬০ হাজার টাকা। অথচ বাস্তবে মাস শেষে বেতন পেলে খেয়েদেয়ে দেশে ফোন বাবদ খরচ করে ১টা রিঙ্গিটও রাখতে পারে না ।ফোনে দেশের সুদখোরের তাগাদা শুনে কেউ কেউ মাথা ঠিক রাখতে না পারে অন্য কোথাও সামান্য ওভারটাইম কিংবা ঠুনকো চুরি চামারিতে জড়িয়ে পড়ে ,কেঊবা আবার অপরাধজগতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগায়। ধরা পড়লে পত্রিকায় বিশাল শিরোনাম হয়ে আসে । গত  বছর থেকে বিভন্ন ঘটনা একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকায় মালেশিয়া কতৃপক্ষ বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দেয় । বতমানে এ নিয়ে অনেক দেন দরবার চলছে। কারন এটার সাথে জড়িয়ে অছে অনেক টাকা পয়সার লেনদেন।

আদম ব্যবসায়ীদের সাথে এম্বেসীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার সুসম্পর্কের কারনে সরকার কিছুই জানতে পারে না ।দেশবাসী তখনই জানতে পারে যখন কিছু সাংবাদিক দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পেশাদারিত্ব নিয়ে পত্রিকায় খবর ছাপায় ।সরকার ১টা ইলেক্ট্রনিক্স চিপের উপর ১জন শ্রমিকের সব তথ্য রাখার উদ্যোগ নিয়েছে । বায়রা কেন বাধা দিচ্ছে বুঝতে পারছেন? এখন আপনারাই বলেন , মালেশিয়া বলেন অর  মধ্যপ্রাচ্যে বলেন বাংগালিদের দুর্দশার জন্য কারা দায়ী ?

Level 3

আমি মোহাম্মদ ইয়াকুব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 42 টি টিউন ও 322 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 16 টিউনারকে ফলো করি।

ICT Specialist & IT Business Entrepreneurship, Course Curriculum expert, eLearning, Education & Industry Partnership expert. Expertise in Cyber Security, Cloud Computing, AI, Big Data, RFID, Technology Project Management, Change management, leadership & the development of comprehensive large scale eHealth programs. Former Asset Professor in University of Kuala Lumpur, Kuala Lumpur,...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ইয়াকুব ভাই প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কথাগুলো চরম সত্য, আমি মালোয়শিয়াতেই আছি আর এসব কিছু নিজ চোখে দেখছি। বছর খানিক আগে আমি এসব নিয়ে আমি প্রথম আলোতে লিখেছিলাম। তবে এখন আর আগের অবস্থা নেই, কিছুটা ভালো।

    বাঙ্গালীদের অবস্থা কিভাবে ভালো তা আমার বোধগম্য নয়, কারন অমানুষিক জীবন যাপন, কাজ বিহীন, স্বপ্ল বেতন, মানসম্মান হীন জীবন যাপন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভিসা নবায়নে অহেতুক জটিলতা, অযথা হয়রানি এইসবের পরেও কি বলবেন অবস্থা ভালো, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ ।

    আমি কিছু দিন আগে ৬ দিন মালেয়শিয়াতে ভিজিটে ছিলাম। এ কয়েকদিনে যে অভিগ্যতা হয়েছে…ইয়াকুব ভাই এর সাথে আমি একমত।

Level 0

হ্যা, এখন অবস্থা একটু ভাল। তবে যে ৫০০০০ ভিসা প্রসেসিং এ ছিল তা বন্ধই থাকবে। পরিবর্তে নেপাল থেকে ১ লক্ষ্য লোক নেয়া হবে। নাবিল ভাই, আপনি কি করেন মালয়শিয়াতে? আমি ছোট্ট একটা প্রজেক্ট এ আছি এখানে। ইয়াকুব ভাই ও কি এখানেই?

    আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করছি, অবস্থা একটুও ভাল নয়। তার প্রধান কারন হল এখন মালেশিয়ায় বাঙ্গালীদের ভালো চোখে দখা হয় না, সবসময় স্থানীয়রা করুনার দৃষ্টিতে দেখে, তারা মনে করে বাঙ্গালীরা (বাংলা) তাদের দেশে এসে তাদের কাজকমের সুযোগ কমিয়ে ফেলেছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে ইউনিভাসিটির ছোট ছোট রিসাস ইনফরমেশনের জন্য বিভন্ন উচ্চ অবস্থানগত প্রজেক্ট রিপোট দেখার, তার মধ্য একটি হল জগন্যতম, এখানে তাদের সমীক্ষায় যা বলেছে তা অনেকটা এ রকম: বাংলার কারনে বিভিন্নভাবে আর্থসামাজিক অবক্ষয়ের বতমানে দায়ী হল বাঙ্গালী, যার ফলে সরকারীভাবে কঠোরভাবে দমন করার পরামশ দেয়া হয়েছে উক্ত রিপোটে। তারপর কিভাবে বলি যে আর আগের অবস্থা নেই, কিছুটা ভালো। আমি মালেশিয়ায় ইউনিভাসিটি অফ ইস্ট লন্ডনের স্থানীয় ক্যম্পাসে লেখাপড়া করছি।ধন্যবাদ।

আজ আপনি বিদেশে আছেন তাই এ দেশের দালাল জোটের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন। আমাদের দেশের সরকার কথা বলতে সাহস পায়না দালালদের বিরুদ্ধ। আপনি যেখানেই সমিতি, গ্রুপ, এ্যাসোসিয়েশন দেখবেন সেখানেই সাধারণ মানুষকে নির্যাতনের করুন ইতিহাস। আমাদের দেশের সরকারের উচিত নিবন্ধন বাতিল করা এ্যাসোসিয়েশন করেলে।

    বিদেশে আছি বলেই বেশী খারাপ লাগে যখন বাস্তবে দেখতে হয় বাঙ্গালী জাতীর অবমাননা. যা অস্বস্তিকর। আমি বিশেষ কোন জোটের কথা বলছি না সামগ্রিকভাবে সবাইকে বলছি যারা এই ঘৃন্য কাজের সাথে জড়িত।আরো অধিক পরিমান গনসচেতনতা দরকার। ধন্যবাদ।

kob sondor likasan …
apnaka thanx

Level 0

দ্বিমত পোষণ করাই স্বাভাবিক। আমি গত ৩/৪ বছরের আগের অবস্থার কথা বলছি। তার থেকে এখন একটু ভাল। আপনার নিশ্চই মনে আছে গত বছর বাংলাদেশ এম্বাসীকে ঘিরে কি অবস্থা হয়েছিল। ৩/৪ বছর আগে তো এনাদের জীবনের বেহাল অবস্থা দেখলে নিজেরই বিশ্বাস হতো না। তার উপর তো নীল পোশাকের বাহাদুরী আছেই! তারপরও আপনার প্রতিটি লেখা ১০০% সত্য।

    বাংলাদেশ এম্বেসীর ঘটনার জন্য কি এম্বেসীর কেউ দায়ী ছিল না? বতমান প্রেক্ষাপটে কিন্তু বাঙ্গালীদের ক্ষতি বাঙ্গালীরাই করছে। যেটা সবচেয়ে আমাদের বড় ধংসের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

    সত্যিই করুণ যেটা আমাদের দেশ থেকে অনেকেই বুঝতে চায় না। অনেকের ধারনা বিদেশে কোনভাবে যেতে পারলেইতো অনেক টাকা কামানো যাবে। এই ধারনাটা বদলাতে হবে। তবেই এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে সাধারন মানুষ। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়ে লিখার জন্য। আমি যোগ করতে চাই এটা শুধু মালয়েশিইয়ায় ই নয়, বাংলাদেশ যে যে দেশে জনশক্তি রপ্তানী করে থাকে সব দেশেই এই অবস্থা। আমি মনে করি এ অবস্থার জন্য দেশের জনশক্তি রপ্তানী কারক সংস্থাগুলাই দায়ী। ওদের কারনে সউদি আরবে ৭০/৮০ হাজার টাকার ভিসা ৩ লাখ টাকায় কিনে লোক এখানে আসেন। আর আসার পর শুরু হয় তাদের কষ্ট। কফিল (sponsor) বা কম্পানী তাদের বেতন দেয় মাত্র ৫০০ সউদি রিয়াল এর মধ্যে আকামা (workpermit) এর জন্য প্রতি মাসে কেটে নেয় ১৫০ সউদি রিয়াল। বাদ্ব্য হয়ে তারা বাহিরে পার্টটাইম কাজ করেন বা কেউ কেউ অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েন। যার জন্য এখন এখানে বাংলাদেশী মানে খারাপ লোক, স্থানীয় দের সব চাইতে অপছন্দের লোক। সউদি স্থানীয়রা খারাপ ছোখে দেখে বাংলাদেশীদের। তাইত গত বছর থেকে বাংলাদেশে ভিসা বন্ধ হয়ে আছে। আর তার পরিবর্তে ২ লাখ লোক নেপাল থেকে আনা হয়েছে।
কেন আমাদের এই সমস্যা সব জনশক্তি রপ্তানীকারক দেশগুলোতে হচ্ছে। সব দেশ আস্থে আস্থে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি করা বন্ধ কররে দিচ্ছে।
আরও বড় সমস্যা বাংলাদেশ দুতাবাস গুলোর তাদের কাছে গেলে ত তারা কোন সাহায্য করেই না। এখানের সরকারের কাছে বলিষ্টভাবে কথা বলার ই যেন সাহস নাই।
প্রবাসিদের এই সমস্যা কে দেখবে?

    দুতাবাস গুলোর পদক্ষেপের কথাতো সবাই জানে। এতবড় টাকার খেলার দলনেতা হিসাবে নাকি তাদের নাম আসছে কারন তারাতো এর অংশিদার। তবে মুল কথা হল গনসচেতনতা এবং দুতাবাস গুলোর প্রধানদের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এবং সরকার প্রধানদের এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে এবং কোনরকম অনিয়মকে প্রশ্রয় দয়া যাবে না। তাহলেই হয়তো এর কিছুটা পরিবতন সম্ভব না হয় এখন যা বাস্তবে দেখছেন এর পরিস্থিতি এর চেয়ে ভয়ন্কর আকার ধারন করবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

    Level 0

    জটিল কোনটা…? উপরের লেখা…? না আপনার সাইট এর এ্যড…….?

    হ্যা সত্যিকারের জটিল!!! ধন্যবাদ।

Level 0

গতমাসে মালয়েশিয়া ঘুরে এলাম, এয়ারপোর্টে এক লিখতে না জানা বাঙ্গালী বল্লো তার এমবার্গেশন ফর্মটা পুরন করে দিতে। তার পাসপোর্ট খুলে দেখি সেখানে একটা ফর্ম পুরন করা আছে, দেখলাম তার ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের মত, এর পর সে হারিয়ে যাবে ওখানে। …. ধরা পড়লেই শেষ…..

    হ্যা আপনার কথা ঠিক। তবে এ ধরনের অনেক বাঙ্গালী আছে মালেশিয়াতে যাদের কাগজপত্র বলতে কিছুই নেই । এ বছর মালেশিয়ান সরকার খুব কঠোরভাবে এটা ধমন করার উদোগ নিয়েছে সুতরাং বুঝতেই পারছেন মালেশিয়ায় অবৈধ বাঙ্গালিদর ভবিষ্যত কি? ধন্যবাদ ।

এই জীবনের বেহাল অবস্থা দেখলে নিজেরই বিশ্বাস হতো না। কিণতু আমার ভাইঘণা লিটন সরদার, পিতা-ম্বত: আবুবককর সরদার, গ্রাম্-পো: সোহাগদল, উপজেল :নেছরাবদ, জেলা: পিরোজপর