আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়ডটকমে "আউটসোর্সিং নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত" শিরোনাম দেখে খুব উৎসাহ নিয়ে পোস্টটি পড়তে গেলাম ,
এটুকু পড়ে
"বাংলাদেশ থেকে যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের অভিভাবক নেই বলে তাদের পক্ষে একটি আউটসোর্সিং নীতিমালা তৈরি করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গতকাল রোববার ৭১ বিধিতে সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবুর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে মনোযোগ আকর্ষণ নোটিশের জবাবে তিনি এই প্রস্তাবের কথা জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে আউটসোর্সিং কর্মীদের কোনো অভিভাবক নেই এবং যেকোনো সময় এজেন্টরা পালিয়ে গেলে এসব কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এ জন্য সংসদীয় সাব-কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। "
খুব ভালো লাগলো ,সরকার বুঝি এবার আউটসোসিং এ বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে ।
কিন্তু যখন দেখলাম ঐ সাংসদ ঐ নোটিশে আরও লিখেছে
" এছাড়াও নোটিশে বলা হয়, দেশের লাখ লাখ গৃহবধূ, যুবক ও যুব মহিলা আত্ম কর্মসংস্থানের তাগিদে নিজ নিজ ঘরে বসে ক্লিকের মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার আয়ের কাজ পূর্ণ উদ্যমে শুরু করেছে। যা ভবিষ্যতে গার্মেন্টস সেক্টরের রফতানি আয়ের সাথে পাল্লা দিতে সক্ষম হবে।"
লেখাটুকু দেখে অবাক হয়ে গেলাম , যেখানে আমরা যুবসমাজ ও ছাত্রসমাজ নিজেদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে প্রতি মাসে কোটি ডলার আয় করে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছি সেখানে দেশের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সেই মেধার কোন মূল্যই দিতে পারলো না !!! ফ্রিল্যান্সিং মানে বুঝিয়ে দিল ক্লিকের মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার আয়ের কাজ , সকল ফ্রিল্যান্সারদের পক্ষ থেকে আমি উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি ।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে ও মেধার সঠিক মূল্যায়ন মহান সংসদের সামনে তুলে ধরতে সাংসদদের অনুরুধ করছি , ফ্রিল্যান্সারদের কল্যাণে কাজ করবার আহবান জানাচ্ছি ।
ফেসবুকে আমিঃ এখানে
আমি MD. RUBEL AHMED। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 66 টি টিউন ও 588 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইন্টারনেট থেকে নতুন জিনিস শিখতে ও শেয়ার করতে ভালবাসি ।
তাদের নির্বুদ্ধিতা দেখে , শুনে খারাপ লাগছে না । আমি আশ্চর্য হচ্ছি কেও কি করে না জেনে কোন বিষয় নিয়ে মন্তব্য আর নিয়মের
বানী শুনায়। দেশের মান সন্মান পিষে দিয়ে , সাধারন জনগনের মুখে হাসি ফোটাবার বদলে যারা বোমা ফুঁটাতে ইন্ধন জুগিয়ে দেয়, তারা কি কখনও
ফ্রীলাঞ্চিং বা অই জাতীয় শব্দ গুলু ঘেঁটে দেখেছে। ইন্টারনেট শ্রম বাজার যে কতো মুল্লের সে তারা বুজালেও বুজতে চায় না।
কেননা সেখানে দুর্নীতি আর ঘুস খাওা জায় না। …… বাংলার পরিবর্তন করব একদিন নিশ্চয়।
আমি তিব্র নিন্দা জানাই। এই সকল জ্ঞানহীনদের অধিনে আমরা আছি? হায় হায় রে…….
ছি… ছি… ছি…