৪।নিউটন কর্তৃক প্রিজমে সূর্যালোকের বিভাজনঃ
গ্যালিলিওর মৃত্যুর বছর জন্ম হয় নিউটনের।স্নাতক শেষ করার কিছুদিন পর তিনি আক্রান্ত হন প্লেগ রোগে।ঐ সময় তিনি কিছু যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন।অ্যারিষ্টটলের মতানুসারে সাদা আলো সর্বাধিক খাঁটি রূপ।ওই আলোর সাথে কোনো কিছুর সাথে মিশালে তা রঙিন হবে।নিউটন এই তত্বটাকে যাচাই করে দেখার জন্য প্রিজমের উপর সূর্যের সাদা আলো পড়তে দিলেন।প্রিজমের উপর পড়ার পর প্রিজমে প্রসারিত হয়ে সাদা আলো তার সাতটি উপাদান বে-নী-আ-স-হ-ক-লা তে বিভক্ত হয়ে গেল।প্রিজমের অপর পাশের দেয়ালে ফুটে উঠল রং ধনু।এভাবেই হাজার বছর ধরে চলে আসা অ্যারিষ্টটলের তত্ত ভুল প্রমাণিত হল।আর সহজ সরল এই পরীক্ষাটি ৪র্থ স্থান অধীকার করে।
৩।মিলিকানের তৈল বিন্দু পরীক্ষাঃ
একটি ইলেকত্রন এর চার্জ নির্ণয়ের জন্য রবার্ট মিলিকান ১৯০৯ সালে এই পরীক্ষাটি করেন।পারফিউম স্প্রে করার জন্য ব্যবহার করা হয় তার নাম হলো অ্যাটোমাইজার মিলিকান প্যারাফিন তেল জাতীয় বস্তুকে স্প্রে করে স্বচ্ছ চেম্বারের মধ্যে ছড়িয়ে দিলেন।বিকিরণের মাধ্যমে তরলের কণা গুলোকে আয়ণিত করা হয়।চেম্বারের উপরের এবং নিচে দু’টি ধাতব পাতে বাইরে থেকে একটি ব্যাটারির দুই প্রান্ত সংযুক্ত করা হয়।চার্জিত কণা গুলো উপরের দিকের পাতের বিপরীত চার্জের কারণে উপরের দিকে উঠে যায়।মিলিকান ব্যাটারির ভোল্টেজ পরীবর্তন করে চলমান কণা গুলোর গতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হন।কণা গুলোর গতি,ব্যাটারির ভোল্টেজ এসব নিয়ে হিসাব করে মিলিকান ইলেক্ট্রনের চার্জ নির্ণয় করেন।
২।গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর পরীক্ষাঃ
আবারও সেরা দশে উঠে এসেছে গ্যালিলিওর পরীক্ষা।পূর্বে সবার ধারণা ছিল দুটি বস্তু একই উচ্চতা থেকে নিচে পড়তে থাকলে ভারী বস্তু আগে পড়বে,হাল্কাটি পড়বে তার পরে।বহু বছর ধরে চলে আসা এই ধারণা ভূল প্রমাণীত করার জন্য গ্যালিলিও অসংখ্য দর্শকের সামনে পিসার সুবিখ্যাত হেলান মিনার এর উপর থেকে বিভিন্ন ভরের ছোট বড় কয়েকটি বস্তু ফেলে দেন।সব কটি একই সময় মাটিতে পড়ল।সবার চোখের সামনেই রপ্রমাণিত হয়ে গেল গ্যালিলিওর সূত্রের সত্যতা।
১।ডি ব্রগলির ইলেক্ট্রনের তরঙ্গ ধর্ম প্রদর্শনঃ
পরমাণুর মৌলিক কণিকা ইলেক্ট্রন।পূর্বে ইলেক্ট্রনকে শুধু মাত্র কণা ধর্ম বিশিষ্ট বলে মনে করা হতো।১৯২৪ সালে ডি ব্রগলি প্রস্তাব করেন ইলেক্ট্রনের ধর্মের পাশাপাশি তরঙ্গ ধর্মও আছে।তার এই আবিষ্কারের প্রমাণ স্বরুপ একটি পরীক্ষা করা হয়।দ্বিচীর পরীক্ষার মতো এই পরীক্ষায় দুটি ইলেক্ট্রন এর ধারা ব্যবহার করা হয়।
এই পরীক্ষায় ও দেখা যায় আলো ও অন্ধকার এর একটি পরিষ্কার ব্যান্ড।ব্রগলির এই পরীক্ষাটি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর সাথেও সঙ্গতি পূর্ণ।এই আবিষ্কার পরমাণুর গঠনের সাথে কোয়ান্টাম তত্ত্বের সম্পর্ক স্থাপিত করে নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করে।তাই বিজ্ঞানীদের বিচারে সর্বকালের সুন্দরতম experiment.
আমি EVA। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
😛