বিজ্ঞানের জগৎ নাকি একদম কাঠ খোট্টা।কোনো রস নাই,সৌন্দর্য তো দুরের কথা!সত্যিই কি তাই?বিজ্ঞান মনস্ক যে কোনো লোকই জানে বিজ্ঞানের এই আপাতদ্রিষ্টিতে রসকষহীন লাগা জগতের সৌন্দর্য অতুলনীয়।প্রতিবছর সব দেশের সুন্দরীদের নিয়ে প্রতিযোগীতা হয়,সেরা সুন্দরী বাছাই করা হয়।কখনো আবার শোনা যায় চিত্রকর্ম বাছাই করার কথা।আবার অতি আজব কোনো সংগঠন আয়োজন করে বসে সেরা পোষা প্রাণীর প্রতিযোগীতা।চারদিকে যখন সৌন্দর্য নিয়ে এত মাতামাতি ,সব সৌন্দর্যের মূল যে বিজ্ঞান,সে জগতের বাসিন্দারাও আর বসে নাই।তাই বিজ্ঞানীরাও এবার আয়োজন করেছে এক সৌন্দর্যের প্রতিযোগীতা।গত শতাব্দী প্রর্যন্ত মানব জাতির জ্ঞানভান্ডারে জমা হওয়া পদার্থবিদ্যার experiment গুলোর মধ্য থেকে তারা সেরা ১০টি সৌন্দর্য মণ্ডিত experiment বাছাই করেছেন।তো চলুন পরিচিত হওয়া যাক সেই ১০ টি experimentর সাথে।
১৮৫১ সালে প্যারিসে এই পরীক্ষাটি করেন ফুকো।প্রীথিবী যে নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে তাই প্রমাণীত হয় এই পরীক্ষা থেকে।ফুকো প্যারিসের সুবিখ্যাত প্যান্থিয়নের গম্বুজের ছাঁদ থেকে ৬২ পাউন্ড সালের একটি লৌহ গোল্ক ঝুলিয়ে দিলেন২২০ফুট ইস্পাতের তারের সাহায্যে।লৌহ গোলকের সাথে যুক্তক্রে দেয়া হলো একটি ছোট্ট শলাকা,যা মেঝেতে ছিটিয়ে দেয়া বালির উপর দাগ কাটতে পারে।এবার সরল দোলক পরীক্ষার মতই গোলকটি একপাশে একটু টেনে ছেড়ে দেয়া হল।চলার পথে গোলকের সাথে যুক্ত শলাকা মেঝের বালিতে দাগ দিয়ে তার গতি পথের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারে।ধারণা করা হয়েছিল গোলক টি সরল দোলকের ন্যায় সরল পথে চলবে,কিন্তু সে রকম কিছুই ঘটল না।প্রীথিবীর ঘূর্ণনের ফলে স্থীর থাকা গোলকের সাপেক্ষে থাকা ঘূর্ণয়মান মেঝের ঘূর্ণন গতি গোলকের গতি পথের উপর প্রভাব ফেলে।আর এই পরীক্ষায় দেখা যায়,মেঝেতে সরলরেখার বদলে আঁকা হয়েছে তারকা বা ফুলের মত গোলাকার কিছুটা।এই আক্রীতি টা আঁকা শেষ হয়েছে ২৪ ঘন্টায়।অর্থাৎ প্রিথিবীর নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুর্ণন শেষ করার পর।
১৯১১ সালে রাদারফোর্ড স্বর্ণপাত পরীক্ষার মাধ্যমে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন।এই পরীক্ষার আগে মনে করা হতো বস্তুর পরমাণুগুলো ইলেক্ট্রন প্রোটনের একটা নরম মিশ্রনের মতো অবস্থায় থাকে।এই মডেল কে বলা হতো কিশমিশ পুডিং মডেল।
রাদারফোর্ড পাতলা স্বর্ণের পাতের উপর হিলিয়াম নিউক্লিয়াস নিক্ষেপ করেন,এটা আলফা কণা নামেও পরিচিত।পরবর্তীতে দেখা যায়,আলফা কণিকাগুলোর একাংশ স্বর্ণপাতের উপর তাদের চলার দিক বদলে গেছে,কিছু কিছু তো একেবারে বিপরীত দিকে ফিরে এসেছে।এ যেন পুডিং এর সাথে ধাক্কা খেয়ে বুলেট ফিরে আসার মতো!এ থেকেই রাদারফোর্ড বুঝতে পারলেন,পরমাণুর গঠনে আসলে পুডিং এর মতো কোনো ব্যাপার নেই,এর মাঝে কোথাও কেন্দ্রীভূত ভর আছে যাতে ধাক্কা খেয়ে আলফা কণা ফিরে আসছে।এই কেন্দ্রীভুত বস্তুই হলো নিউক্লীয়াস।
গ্যালিলিও তাঁর বস্তুর পড়ন্ত গতিসূত্রগুলো নিয়ে যে বিস্তৃত গবেষণা করেছিলেন তারই অংশ এই পরীক্ষাটি।২০ ফুট লম্বা এবং১ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট কাঠের তক্তার মাঝ বরাবর এ মাথা পর্যন্ত কাটা হ্ল মসৃণ করে সামান্য গভীর একটা পথ,যাতে ধাতব গোলক অনায়াসে গড়িয়ে যায়।
এবার এই তক্তাটাকে হেলান তল হিসেবে ব্যবহার করে সেই হেলান পথ দিয়ে ধাতব গোলক গড়িয়ে দিতে হবে।পূর্ববর্তী দার্শনিকদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করে গ্যালিলিও প্রমান করলেন যে গোলক ধুববেগে চলেনা বরং অভিকর্শজ ত্বরণের ফলে তার গতি বৃদ্ধি পায়।এই পরীক্ষাটিতে সময় মাপতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন জলঘড়ি।সেই পঞ্চদশ শতাব্দিতে মধ্যযুগীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে গ্যালিলিও পড়ন্ত বস্তুর গতির সূত্রগুলো আবিষ্কার এবং তা দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।
(চলবে)
আমি EVA। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
can you please contact with me? my email is [email protected]
i like give your this post in my online magazine.please infrom me. i eagerly waiting for your reply.
ওয়েব সাইট : http://mgalactica.blogspot.com
ফেইসবুক পেইজ:http://www.facebook.com/mgalactica
Hi EVA ,HAPPY NEW YEAR . WELCOME TO TECHTUNES.