২০০৯ সালের সেরা দশ আবিষ্কার (পর্ব-১)

দেখতে দেখতে ২০০৯ সাল শেষ হয়ে গেল এসে গেল নতুন বছর।এখন পিছনে ফিরে হিসাব-নিকাশ করার পালা আর এই কাজে সহায়তা করেছে Time Magazine। Time Magazine এর দৃষ্টিতে ২০০৯ সালের সেরা দশ আবিষ্কার হলো:-

১। প্রাচীন পূর্ব পুরুষ আর্দি (Ardi)

Ardi 1

আর্দি ৪.৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে ইথিওপিয়াতে বসবাস করত।এর ফসিল ১৯৯২ সালে আবিষ্কৃত হয়।University of California এর বিঞ্জানী Tim D. White এর নেতৃত্বে একদল গবেষক ১৭ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এ সম্পির্কিত নানা তথ্য Science Journal এ প্রকাশ করেছেন। এটি একটি মেয়ে মানুষের ফসিল।সে ১.২ মিটার লম্বা।তার ওজন ৫০ কেজির নীচে ।ইথিওপিয়ার বনে ৪.৪ মি বছর আগে সে ঘুরে বেড়াত।

২। মানুষের Epigenome এর পাঠোধ্যার

epigenome 2

মানুষের জিন এর পাঠোধ্যার গত এক দশক পূর্বে হয়েছে।ধারণা করা হয় এর মাধ্যমে মানুষের বংশগতি সঠিকভাবে জানা যাবে।কিন্তু বিঞ্জানীরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখতে পান যে জিন এবং রোগের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক জটিল তদের কল্পনার চেয়ে।ফলে নতুন ধরনের একটি গবেষণার বিষয় এ পরিণত হয়েছে Epigenome। যার বিষয় মানব জিন modify হতে পারে পরিবেশগত প্রভাবক দ্বারা এবং এই পরিবর্তন মানুষের পরবর্তী বংশধরে প্রবাহিত হয়।এ সম্পের্কে বিশদ আলোচনা Nature Journal এ করা হয়েছে।

৩। জিন থেরাপির মাধ্যমে বর্নান্ধতা হতে আরোগ্য লাভ

3

আধুনিক বিঞ্জান মানুষকে দীর্ঘ জীবি করে তুলেছে। তার শারীরিক ক্ষমতা বিভিন্নভাবে বৃদ্ধি করেছে।তাকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে।২০০৯ সালের একটি অন্যতম আবিষ্কার হলো বর্নান্ধতা হতে মুক্তি লাভের কৌশল আবিষ্কার। একদল চক্ষু বিঞ্জানী দুটি বর্নান্ধ বানরের চোখে বর্ন চিহ্নিতকারী প্রোটিন ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করান।এরপর তাদেরকে প্রথমে লাল এবং সবুজ রং দেখতে দেন। তারা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন যে বানর গুলো রং দুটিকে সনাক্ত করতে পেরেছে। এ সম্পর্কে বিশদ গবেষণা Nature Journal প্রকামশিত হয়েছে।

৪। বৈঞ্জানিক কাজ পরিচালনা করতে সক্ষম রোবট

4

আদম নামের রোবটটি Biological Sciences Research Council (BBSRC) তত্ত্বাবধানে wales এর Aberystwyth University তৈরী করা হয়। যা নিজেই স্বাধীনভাবে নতুন বৈঞ্জানিক ঞ্জান আবিষ্কার করতে পারে।Prof. Ross King বলেছেন “অবশেষে আশা প্রকাশ করছি যে মানুষ এবং রোবটের দল এক সঙ্গে গবেষণাগারে কাজ করবে।‍‌‌”

৫। ভূমিতে টুনা মাছের প্রজনন

bluefintuna 5 পশ্চিম আটলান্টিক সাগরে ব্লুফিন টুনার সংখ্যা ১৯৫০ সালের পর ৯০ শতাংশ কমে আসে।কিন্তু বিঞ্জানীরা বর্তমানে এটি স্থলে ট্যাংকের মধ্যে প্রজনন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। এতে করে ব্লুফিন টুনা বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

Level New

আমি খালেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 18 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

পড়ে ভাল লাগল। আপনাকে ধণ্যবাদ।

Level 3

সময়োপযোগী ভাল টিউন।