উইন্ডোজ ৮। সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফটের ইতিহাসে বড় বাজেটের অন্যতম প্রকল্প। ফলে উইন্ডোজ ৮ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এরই অংশ হিসেবে উইন্ডোজ ৮ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে তারা। আপনি যদি হন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার, তবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ স্টোর আপনার জন্য খুলে দিতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার।
মুহূর্তে খ্যাতি অর্জন করতে পারেন লাখো-কোটি উইন্ডোজ ব্যবহারকারীর কাছে। এ জন্য অংশ নিতে হবে অনলাইন ভিত্তিক এই অ্যাপ্লিকেশন প্রতিযোগিতায়। যদি আপনার অ্যাপস হয় অনন্য আর সেটি যদি বিচারকদের তাক লাগিয়ে সেরা দশে চলে আসতে পারে, তবে আপনার অ্যাপস সরাসরি স্থান পাবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ স্টোরে। ১২০টি দেশের ১০০টি ভাষাভাষীর কয়েকশ' কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে আপনার বানানো অ্যাপস।
শুরুতে হয়েছে নিবন্ধন:
দক্ষতা আছে কিন্তু কখনও অ্যাপ্লিকেশন বানানোর চেষ্টাও করেননি, তবু আপনার জন্য আছে সুযোগ। এমনকি প্রোগ্রামিংয়ে নবিশ হলেও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। অ্যাপস বানানো এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রথম কাজটি হবে মাইক্রোসফট নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা। ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার নিবন্ধন ও অ্যাপস জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ২৪ ডিসেম্বর। নিবন্ধনকৃত অংশে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। একটি নিবন্ধনকৃত আইডি থেকে একজন প্রতিযোগী একাধিক অ্যাপ্লিকেশনও জমা দিতে পারবেন।
অ্যাপস বানান ইচ্ছেমত:
নিবন্ধনের পর যে কোনো বিষয়েই অ্যাপস ডেভেলপ করা যাবে। এমনকি বানানো যাবে ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনও। অ্যাপস ডেভেলপে ব্যবহার করা যাবে আধুনিক প্রোগ্রামিং ভাষা থেকে শুরু করে এইচটিএমএল কিংবা সিএসএসের মতো মৌলিক প্রোগ্রামিং ভাষাও। পাশাপাশি ব্যবহার করা যাবে অবজেক্টিভ-সি, কোকোয়া টাচ এবং এক্স-কোডেকের মতো পুরনো প্ল্যাটফর্ম। প্রতিযোগিতার সময় মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার জন্য অনেক রকম তথ্য, টুলস। এমনকি মিলবে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য।
অপেক্ষা ফলাফলের:
অ্যাপস জমাদান পর্ব শেষ হলে শুরু হবে বিচারকদের চুলচেরা বিশ্লেষণ পর্ব। বিচারকদের রায়ে নির্বাচন করা হবে সেরা দশটি অ্যাপ্লিকেশন। আর এই সেরাদের সেরা হিসেবে বিচারকরা নির্বাচন করবেন একটি অ্যাপ্লিকেশনকে। সময় যখন ১৬ জানুয়ারি ২০১৩; বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সম্মুখে বিজয়ীদের পুরস্কার ও সম্মাননা জানাবে মাইক্রোসফট।
পুরস্কারের হাতছানি:
সব প্রতিযোগিতায় শুধু বিজয়ীদের জন্যই পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মাইক্রোসফট। চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হওয়ার আগেই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে ব্যবস্থা করা হয়েছে লটারি ভিত্তিক পুরস্কারের। প্রত্যেক প্রতিযোগী তার অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবেন একটি কোড নাম্বার। এই কোড নাম্বারগুলো নিয়ে মাইক্রোসফট লটারি আয়োজন করবে। যেখানে প্রতিদিন একজন বিজয়ী পাবেন ৩২ গিগাবাইট মডেলের উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেট। এর সময়সীমা ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দ্বিতীয় দফায় ২৪ ডিসেম্বরের পর আবার আরেক ধাপ লটারি হবে। এ দফায় বিজয়ীরা পাবেন একটি করে ডেল ওয়ার্কস্টেশন, একটি ওকম ২৪এইচডি মডেলের ট্যাবলেট এবং একটি ১৬ গিগাবাইট লাইট্রো ক্যামেরা। সেরা দশ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারের জন্য থাকবে একটি উইন্ডোজ ৮ আল্ট্রাবুক, উইন্ডোজ ট্যাবলেট এবং নকিয়া লুমিয়া ৯২০ স্মার্টফোন।
আর সেরাদের সেরা ডেভেলপারের জন্য থাকবে ৪০ হাজার পাউন্ড নগদ অর্থ পুরস্কার, একটি ডেল ওয়ার্কস্টেশন, ওকম ২৪এইচডি মডেলের ট্যাবলেট এবং ১৬ গিগাবাইট লাইট্রো ক্যামেরা।
আমার লেভাটি ইতোমধ্যে সমকাল http://www.samakal24.com/details.php?news=35&action=main&menu_type=&option=single&news_id=310255&pub_no=1243&type=
এবং প্রিয়টেক http://tech.priyo.com/news/business/2012/12/01/7199.html এ প্রকাশিত হয়েছে
আমি একাকী নির্জন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালো লাগে প্রযুক্তিকে জানতে। প্রযুক্তি ভাবনা জানাতে। পড়াশুনা টেক্সলাইল ইঞ্জিণিয়ারিং নামের এক মাথা নষ্ট সাবজেক্টে।
খুবই Important একটা Information দিয়েছেন। টিউন খুবই ভাল হয়েছে। সবকিছু বিস্তারিত উল্লেখ ছিল। চালিয়ে যান। 🙂