রহস্যে ঘেরা টাইটানিক: প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল?

09_titanic

যাত্রা শুরুর কিছু আগে টাইটানিক

আমরা সবাই টাইটানিকের নাম অনেক শুনেছি কিণ্তু প্রকৃত সত্য জানি খুব কম জনেই। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে ছোট কাল থেকেই টাইটানিক বিষয়ে এতটাই আগ্রহী ছিলাম যে টাইটানিক সম্পর্কিত কোন লিখাই আমার মন জুড়াতো পারতো না। তাই আমার আজকের টিউনের বিষয় টাইটানিক।

titanic-p2

এ শিপইয়ার্ডেই টাইটানিক তৈরি হয়েছিল

ব্রিটিশ সিপিং কোম্পানি White Star Line এর মালিকানাধিন টাইটানিকের পূর্ণনাম RMS TITANIC (RMS – Royal Mail Ship)। তখনকার সবচেয়ে বিশাল এবং বিলাসবহুল এ জাহাজটি ইউনাইটেড কিংডম এর বেলফাস্টের হারল্যান্ড & ওলফ্ শিপইয়ার্ডে তৈরী করা হয়।

p-sp

টাইটানিকের এক পার্শ্ব

জন পীয়ারপন্ট মরগান নামক একজন আমেরিকান ধনকুবের এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেন্টাইল মেরিন কোং এর অর্থায়নে ১৯০৯ সালের ৩১ই মার্চ সর্বপ্রথম টাইটানিকের নির্মান কাজ শুরু হয় এবং তখনকার প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন (বর্তমান প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন) ডলার ব্যয়ে এর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয় ৩১ মার্চ ১৯১২ সালে। এর দৈঘ্য ছিল প্রায় ৮৮২ ফিট দুই ইঞ্চি(প্রায় ২৬৯.১ মিটার)এবং প্রস্থ ছিল প্রায় ৯২ ফিট (২৮ম মিটার)। এ জাহাজটি ওজন ছিল প্রায় ৪৬৩২৮ লং টন।

[বি.দ্র. – ১ লং টন = ১০১৬.০৪৭ কে.জি (UK তে ব্যবহৃত হয়), ১ সর্ট টন = ৯০৭.১৮৫ কে.জি(USA তে ব্যবহৃত হয়), ১ মেট্রিক টন = ১০০০ কে.জি.]।

titanic-p3

টাইটানিকের প্রপেলার

পানি থেকে জাহাজটির ডেকের উচ্চতা ছিল ৫৯ ফিট(১৮মিটার)। এতে চার সিলিন্ডারের দুটি রিসিপ্রোকল ইঞ্জিন(এক ধরনের পিস্টন ইঞ্জিন), ট্রিপল এক্সপ্যানশান স্টীম ইঞ্জিন এবং তিনটি প্রোপেলারকে চালানের জন্য একটি লো পেসার টারবাইন ছিল। এর ২৯টি বয়লার সক্রিয় রাখার জন্য ছিল ১৫৯ টি কয়লা পোড়ানো চুলো, যা সর্বোচ্চ ২৩ নট(৪৩কি.মি./ঘণ্টা) গতিতে জাহাজটিকে চালাতে পারতো।

titanic-p4

টাইটানিকের চিমনিগুলো এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছিল

এ জাহাজের চারটি বিশাল চিমনির তিনটি ছিল সক্রিয় চতুর্থটি ব্যবহার করা হত বায়ু চলাচলের জন্য বা ভেন্টিলেশনের জন্যে। প্রকৃত পক্ষে জাহাজটিতে এর চতুর্থ চিমনিটি লাগানো হয়েছিল এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। এ জাহাজটি একই সাথে সর্বোচ্চ ৩৫৪৭ জন প্যাসেঞ্জার ও ক্রু বহন করতে পারতো।

01_grand_staircase

টাইটানিকের বিলাসবহুল একটি সিড়ি

first_class_dining_salon

টাইটানিকের ফার্স্টক্লাস যাত্রীদের জন্য বিলাসবহুল ডাইনিং যেখানে একই সাথে ৫৫০ জন খাবার খেতে পারতো

টাইটানিক ব্যয়বহুলতা এবং চাকচিক্যের দিক থেকে তখনকার সকল জাহাজকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। টাইটানিকের অভ্যন্তরে ছিল সুদৃশ্য সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, স্কোয়াস খেলার কোর্ট(একধরনের রেকেট খেলা), ব্যয়বুহল তুর্কিস বাথ, বিশাল এবং ব্যয়বহুল ক্যাফে এবং ফার্স্ট ক্লাস ও সেকেন্ড ক্লাস উভয় যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশাল লাইব্রেরী। তখনকার সকল আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটেছিল এ জাহাজটিতে। এ জাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের জন্য তিনটি এবং সেকেন্ড ক্লাসের জন্য একটি সহ মোট চারটি লিপ্টের ব্যবস্থা ছিল। এর বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও ছিল খুবই উন্নত ধরনের। আর এ বিলাসবহুল জাহাজটিতে চড়তে ফার্স্টক্লাস যাত্রীদেরকে প্রচুর টাকা গুনতে হয়েছিল। ফার্স্টক্লাস যাত্রীদের জন্যে সবচেয় ব্যয়বহুল প্যাকেজটিতে আটলান্টিক একবার অতিক্রম করতেই ব্যয় করতে হত তখনকার প্রায় ৪৩৫০ ডলার [যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৯৫৮৬০ ডলার বা বর্তমান বাংলাদেশী টাকায় ৬৭ লাখ টাকারও বেশি]।

titanic_lifeboats_1

এ লাইফবোটগুলোই টাইটানিক থেকে ফিরে এসেছিল

টাইটানিক প্রায়  ৬৪ টি লাইফবোট বহন করতে সক্ষম ছিল যা প্রায় ৪০০০ লোক বহন করতে পারতো। কিন্তু তখনকার ব্রিটিশ নীতিমালা অনুসারে ১০০০০ হাজার টনের চেয়ে বেশি ভারী জাহাজকে কমপক্ষে ১৬টি লাইফবোট নিতে হতো। তাই টাইটানিক আইনগতভাবে যত লাইফবোর্ড নেয়া দরকার তারচেয়ে বেশি ২০টি লাইফবোর্ড নিয়ে যাত্রা করেছিল যা টাইটানিকের মোট যাত্রীর ৩৩% বা মাত্র ১১৭৮ জন যাত্রী বহন করতে পারতো।

tatitanic-p7

টাইটানিকের ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ

টাইটানিকের করুন পরিনতি: “নিরাপদ ক্যাপ্টেন”, “মিলিয়নিয়ার ক্যাপ্টেন” ইত্যাদি বিভিন্ন নামে খ্যাত এবং ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তখনকার পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংল্যান্ডের রাজকীয় কমান্ডার এডওয়ার্ড জন স্মিথের নেতৃত্বে টাইটানিক ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাইদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

p-sp2

টাইটানিকের যাত্রা পথ

১৪ই এপ্রিল ১৯১২ তারিখ রাত্রে নিস্তব্দ সমুদ্রের তাপমাত্রা শূণ্য ডিগ্রীরও কাছাকাছি নেমে যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলেও চাঁদ দেখা যাচ্ছিল না। সামনে আইসবার্গ(বিশাল ভাসমান বরফখন্ড) আছে এ সংকেত পেয়ে জাহাজের ক্যাপ্টেন জাহাজের গতি সামান্য দক্ষিন দিকে ফিরিয়ে দেন। সেদিনই দুপুর ১:৪৫ এর দিকে Amerika নামক একটি জাহাজ রেডিওর মাধ্যমে যোগাযোগ করে টাইটানিকের সামনে বড় একটি আইসবার্গ আছে বলে সর্তক করে দেয় কিন্তু টাইটানিকের রেডিও যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা জ্যাক পিলিপস্ এবং হ্যারল্ড ব্রীজ এ তথ্যটিকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে টাইটানিকের মূল্য নিয়ন্ত্রনকেন্দ্রে এ তথ্য প্রেরন করেনি। একই দিনেই পরবর্তিতে Mesaba নামক আরেকটি জাহাজ টাইটানিকের পথে অবস্থিত ঐ বিশাল আইসবার্গটির ব্যাপারে আবারো সতর্ক করে দেয় কিন্তু দূভার্গ তথ্যটি এবারো রেডিও অপারেটরদের কারনে টাইটানিকের মূল যোগাযোগ কেন্দ্রে পৌছায়নি।

511px-Iceberg_and_titanic_(en).svg

এভাবেই টাইটানিকের সাথে আইসবার্গের সংঘর্ষে টাইটানিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়

সেদিনই রাত ১১:৪০ এর সময় টাইটানিকের পথ পর্যবেক্ষন কারীরা সরাসরি টাইটানিকের সামনে সেই আইসবার্গটি দেখতে পায় কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার মুর্ডক আকস্মিকভাবে বামে মোড় নেওয়ার অর্ডার দেন এবং জাহাজটিকে সম্পূর্ণ উল্টাদিকে চালনা করতে বা বন্ধ করে দিতে বলেন। টাইটানিককে আর বাঁচানো সম্ভব হয় নি। এর  ডানদিক আইসবার্গের সাথে প্রচন্ড ঘষা খেয়ে চলতে থাকে। ফলে টাইটানিকের প্রায় ৯০ মিটার অংশ জুড়ে চিড় দেখা দেয়।

titanic_sinking_008

এভাবেই পানি ঢোকার ফলে জাহাজের সামনের অংশ প্রথমে ডুবতে থাকে

জাহাজটি সর্বোচ্চ চারটি পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্ট নিয়ে ভেসে থাকতে পারতো কিন্তু পানিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল ৫ টি কম্পার্টমেন্ট। এ পানিপূর্ণ কম্পার্টমেন্টগুলো ওজনের কারনেই জাহাজটির সামনের দিক আস্তে আস্তে পানিতে নিমজ্জিত হতে থাকে। এ আকস্মিকতায় ক্যাপ্টেন স্মিথ মূল নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে আসেন এবং জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন। ১৫ তারিখ মধ্যরাত্রির দিকে লাইফবোটগুলো নামানো শুরু হয়।

টাইটানিক বিভিন্ন দিকে জরুরী বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল। যেসকল সিপগুলো সাড়া দিয়েছিল তার অন্যতম হল মাউন্ট ট্যাম্পল, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং টাইটানিকের সহোদর অলেম্পিক। সবচেয়ে নিকটে অবস্থিত Carpathia জাহাজটি টাইটানিকের প্রায় ৯৩ কি.মি. দূরে ছিল। সেখান থেকে টাইটানিক পর্যন্ত পৌছাতে জাহাজটির সময় লাগতো প্রায় ৪ ঘণ্টা। কেইপ রেইসের, নিউফাউন্ডল্যান্ডের ওয়ার্লেস স্টেশনটিই একমাত্র ভূমিভিত্তিক ওয়ার্লেস স্টেশন যেটি টাইটানিকের বিপদ সংকেত পেয়েছিল।

taitanic-p8

এভাবেই টাইটানিকর সামনের অংশ প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে যাওযার সময় জরুরী রকেট ছোড়া হয়েছিল

টাইটানিকের নিয়ন্ত্রনকেন্দ্র হতে দূরবর্তী একটি জাহজের আলো দেখা যাচ্ছিল যার পরিচয় এখনো রহস্যে ঘেরা। কেউ কেউ বলে সেটি ছিল Californian আবার কেউ কেউ বলে সেটি ছিল Sampson। টাইটানিক থেকে ওয়ারলেস মাধ্যমে যোগাযোগে কোন সাড়া না পেয়ে পরবর্তিতে মর্স ল্যাম্প এবং শেষে জরুরী রকেট ছোড়ার মাধ্যমেও জাহাজটির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু জাহাজটি একবারও সাড়া দেয়নি।

11_titanic

টাইটানিক দুর্ঘটনার মাত্র ৪০ মিনিট আগে Californian সিপের রেডিও অপারেটর টাইটানিকের সাথে যোগাযোগ করে আইসবার্গটি সম্পর্কে বলতে চেয়েছিল কিন্তু টাইটানিকের রেডিও অপারেটর ক্লান্ত জ্যাক পিলিপস্ রাগান্বিত ভাবে বলে ‍‍"আমি কেইপ রেসের সাথে কাজে ব্যস্থ এবং লাইন কেটে দেয়। " ফলে Californian সিপের রেডিও অপারেটর তার ওয়ার্লেস বন্ধ করে ঘুমাতে চলে যায়। ডুবার পূর্ব-মূহুর্ত্য পর্যন্ত টাইটানিকের রেডিও অপারেটররা মর্স কোডের মাধ্যমে CQD মেসেজ এবং শেষমূহুর্ত্যের দিকে কারো কারো মতে টাইটানিক থেকে মর্স কোডের মাধ্যমে SOS ম্যাসেজও প্রেরন করা হয়। (ব্রিটিশ নাবিকরা CQD বেশি পছন্দ করতো)

titanic-p9

রাত ০২:০৫ দিকে জাহাজের সম্পূর্ণ মাথাই প্রায় পানির কাছাকাছি চলে আসে। ০২:১০ এর দিকে প্রপেলারকে দৃশ্যমান করে দিয়ে জাহাজের পেছনের দিক উপরের দিকে উপরে উঠতে থাকে। ০২:১৭ এর দিকে জাহাজের সামনের দিকের ডেক পর্যন্ত পানি উঠে যায়। এ মূহুর্তেই শেষ দুটি লাইফবোট টাইটানিক ছেড়ে যায় বলে এত বিস্তারিত ভাবে জানা গেছে। জাহাজের পেছনের দিক ধীর ধীর আরো উপরের দিকে উঠতে থাকে এসময় জাহাজের বিদ্যুতিক সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় এবং চারদিকে অন্ধকার হয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পরেই ভারের কারনে টাইটানিকের পেছনের অংশ  সামনের অংশ থেকে ভেঙ্গে যায় এবং জাহাজের সম্মূখভাগ সম্পূর্ণরুপে পানির নিচে চলে যায়। ফলে জাহাজের পেছনের অংশ ধীরে ধীরে খাড়া হতে হতে একেবারে লম্বভাবে খাড়া হয়ে যায়। বায়ুজনিত কারনে এ অংশটি কিছুক্ষন ভেসে থাকার পর রাত ০২:২০ এর দিকে ধীরে ধীরে জাহাজের এ বাকী অংশটিও সমূদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়।

মাএ দুটি লাইফবোট আবার উদ্ধার কাজে ফিরে এসেছিল। এর মধ্যে লাইফবোট-৪ পাঁচজন যাত্রীকে উদ্ধার করেছিল যার মধ্যে দুজন পরবর্তিতে মারা যায়। একঘণ্টার মধ্যে লাইফবোট-১৪ ফিরে আসে এবং আরো ৪ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে যাদের একজন পরে মারা যায়। সকাল ০৪:১০ এর দিকে Carpathia জাহাজটি এসে পৌছায় এবং বেঁচে থাকাদের উদ্ধার করা শুরু করে। সকল ০৮:৩০ মিনিটে জাহাজটি নিউ ইয়র্কের দিকে রওনা দেয়।

যারা বেঁচে গিয়েছিল তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা:

Category

Number aboard

Number of survivors

Percentage survived

Number lost

Percentage lost

First class32919960.5 %13039.5 %
Second class28511941.7 %16658.3 %
Third class71017424.5 %53675.5 %
Crew89921423.8 %68576.2 %
Total2, 22370631.8 %1, 51768.2 %

টাইটানিক দূর্ঘটানায় অসংখ্যা পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জন কারীকে হারিয়েছিল। বিশেষ করে তৃতীয় শ্রেণীর ক্ষেত্রে, তারা সবই হারিয়েছিল। হ্যামশায়ার ক্রোনিকল পত্রিকার মতে টাইটানিক দূর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সাউদাম্পটনের অধিবাসীরা। এ পত্রিকাটির মত্যে টাইটানিক দূর্ঘটনায় সাউদাম্পটনের প্রায় ১০০০ পরিবার সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যার মধ্যে ৫০০ পরিবার কমপক্ষে নিজেদের পরিবারের একজনকে হারিয়েছিল। এ দূর্গতদের সাহায্যের জন্য অনেক চ্যারিটিও তখন গড়ে উঠেছিল।

titanic-p10

সমুদ্রের বুকে শায়িত টাইটানিক

টাইটানিকের পুনরাবিষ্কার: ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এ জাহাজটি Side-scan sonar পদ্ধতিতে ১৯৮৫ সালে পূনরায় আবিষ্কার করা হয়। এর আগে টাইটানিককে পুনরাবিষ্কারের সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। বর্তমান 41°43′55″ উত্তর অক্ষাংশ এবং 49°56′45″পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে সমুদ্রের পৃষ্ঠ হতে প্রায় ১২৪৬৭ ফুট বা ৩৮০০ মিটার নিচে নীরবে সমায়িত হয়ে আছে টাইটানিক, হয়ত থাকবেও চিরদিন। সেখানে টাইটানিক ডুবার পর থেকেই প্রচন্ড পানির চাপ ও প্রচন্ড ঠান্ডায় বেঁচে থাকা বিভিন্ন অনুজীব বা জীবানুগুলো টাইটানিকের স্টীল সাভার করা শুরু করেছে এবং তা এখনো অব্যহত আছে। তাছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানীক গবেষনা এবং মূল্যবান শিল্পসাম্রগ্রী উদ্ধারে রত সাবমেরিনগুলোর কারনেও টাইটানিকের এ ক্ষয়ে যাওয়ার গতি বেড়ে গেছে বহুগুন। National Oceanic and Atmospheric Administration এর মতে ক্ষয়ে যাওয়ার এ গতি অব্যাহত থাকলে পরবর্তি ৫০ বছরেই টাইটানিক সমুদ্রের গর্ভে চিরতরে নিশ্চীহ্ন হয়ে যাবে।

Titanic-p11

টাইটানিক ব্যান্ড

টাইটানিকের অন্যতম আশ্চর্যজনক ব্যপার হল টাইটানিক ব্যান্ড। ওয়ালিস হার্টলির নেতৃত্বে এ ব্যান্ডটি প্রথমদিকে ফার্স্টক্লাস লাউঞ্জে, পরবর্তিতে ডেকের সামনের অর্ধেকের কোথাও চলে আসে এবং মানুষকে ভয়শূণ্য, উদ্দমী ও সাহসী করে তুলতে জাহাজটি ডুবার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত বাদ্য বাজিয়ে গিয়েছিল। টাইটানিকের সাথে ব্যান্ডটির সকল সদস্যও চিরতরে সমূদ্রে বিলীন হয়ে যায়।

taitanic-p12

অনেকেরই ধারনা ছিল টাইটানিক জাহাজে কোন অভিশাপ ছিল। এ যুক্তি প্রমান করার অন্যতম একটি কারন হিসেবে তারা দেখিয়েছিল টাইটানিকের নম্বর ৩৯০৯০৪। পানিতে এর প্রতিবিম্বের পাশ পরিবর্তন করলে হয় no pope।

titanic-p13

সমুদ্রে শায়িত টাইটানিকের সামনের অংশ

টাইটানিক সারা বিশ্বে এতটাই পরিচিতি পেয়েছিল যে, এর উপর ভিত্তি করে অসংখ্য প্রতিবেদন চিত্র এবং ছায়াছবি তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোনটিই মানুষের চাওয়াকে পূরন করতে পারেনি। টাইটানিকের প্রতি মানুষের এ টান খুব ভালো ভাবেই অনুভব করেছিলেন একজন, তিনি হলেন চলচিত্র পরিচালক জ্যামস্ ক্যামেরুন। সেকারনেই প্রচন্ড রিস্ক থাকা সত্ত্বেও তিনি তখন পর্যন্ত যেকোন চলচিত্র তৈরীতে সবচেয়ে বেশি ২০০ মিলিয়নেরও অধিক টাকা ব্যয় করে টাইটানিক ছবিটি নির্মান করেন। বেশির ভাগ সমালোচকই বলেছিল ছবিটি এত টাকা ব্যবসা করতে পারবে না। কিন্তু ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সমস্ত সমালোচকরা তাদের ধারনা পাল্টে যায় এবং তারা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে টাইটানিক ডোবার ৮৫ বছর পরও এর প্রতি মানুষের আগ্রহ একটুও কমেনি ববং বহুগুনে বেড়েছে। ছবিটি্ এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল যে সারা বিশ্বথেকে প্রায় ১.৮৩৫ বিলিয়ন (১৮৩৫ মিলিয়ন) ডলার আয় করে এবং পূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দিয়ে ১১টি অস্কারসহ আরো অন্যান্য ৭৬টি পুরস্কার জিতে নেয়।

টাইটানিক হয়ত একদিন ঠিকই সমুদ্রের গর্ভ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কিন্তু মানুষের মনে টাইটানিক বেঁচে থাকবে চিরদিন।

যুগ যুগ ধরে অসংখ্য বিশেষজ্ঞরা টাইটানিককে ব্যখ্যা করার চেষ্টা করে আসছে কিন্তু তারা যত ব্যাখ্যাই দেয়ার চেষ্ট করুক না কেন : টাইটানিক চিরকালই থাকবে রহস্যের আড়ালে ঘেরা, সব জানার পরও যেন জানার আরও বহুকিছু রয়ে যায়।

টাইটানিকের খুবই দুর্লভ কিছু ছবি পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করতে পারেন.

http://www.maritimequest.com/liners/titanic_page_1.htm

samehood ভাইয়ের দেয়া নিচের লিংকটিতে গিয়ে টাইটানিক সম্পর্কিত আরো রহস্যময় একটি লিখা পড়তে পারেন।

http://kangalikothon.blogspot.com/search/label/Princess%20of%20Amen-Ra

আমার এ টিউনটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে দয়া করে মন্তব্য করে জানান।

আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র: ইউকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।

Level 2

আমি TareqMahbub। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 464 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Programmer at Business Innovation & Incubation Center, Banani. Worked @ Harry & Michael IT Center as a Web Developer. Worked @ Kazi IT Center as a Web Developer, Graphic Designer, Virtual Assistant. Worked @ IQRA MODEL SCHOOL & COLLEGE as a full time teacher & typist. Student at American International...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 2

চমৎকার একটি টিউন।ভাই আপনের এই লিখাটির অনেক কিছুই জানতাম আবার অনেক কিছুই জানতাম না।এই অসাধারন টিউনটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

টাইটানিক নিয়ে এত তথ্যপূর্ণ টিউন সম্ভবত বাংলায় আর পাই নি।এক কথায় বলতে গেলে “গ্রেট” । প্লিজ থামবেন না , আরো কিছু চাই ।
(5 star) *****.

ধন্যবাদ ভাই…..
গ্রেট একটা টিউন করছেন….. সত্যিই এরকম তথ্যবহুল টিঊন খুব একটা দেখা যায় না….

Level 0

টাইটানিক মুবিটা আমার পছন্দের তালিকায় 1st….Thanks for your tunes.

দারুন বর্ণনা………
এককথায় অসাধারন !!!

দারুন দারুন। খুবই ভালো লাগলো।

খুবই গ্রেট……. ধন্যবাদ ভাই আপনাকে…….

অনেক ভাল লিখেছেন ।অসাধারণ হয়েছে ।নির্বাচিত টিউন করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।আপনাকে 5 star না দিয়ে 7 star দিলাম।

Level New

কিচ্ছু বলার নেই

Level 0

অসাধারন, তথ্যবহুল একটি টিউন

গ্রেট টিউন। টাইটানিক ছবিটা আবার দেখার সাধ জাগলো….

very fine your tune

ধন্যবাদ।টাইটানিক নিয়ে আপনার টিউন থেকে যা জানলাম তা মনে হয় কোথাও থেকে জানতে পারব না।!টাইটানিক!
ধন্যবাদ!

Level 0

অসাধারন সত্যি অসাধারন। কংগ্রেটস তারেক ভাই। টিউনটা পড়ে আপনাদের সাথে একটা জিনিস শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না……
http://kangalikothon.blogspot.com/search/label/Princess%20of%20Amen-Ra

    samehood ভাই আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।

ফাটাফাটি টিউন করেছেন ভাই!!!!!!!
চমৎকার!!!!!!!!!!!
আরো চাই!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আপনাকে আমার ফেবারিট টিউনার লিষ্টে না রেখে পারলাম না ……….. অসাধারন ……. আপনার প্যত্যেকটা টিউনই কোয়ালিটি টিউন।

great job

চমৎকার একটি টিউন।এই অসাধারন টিউনটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এই টিউনটি করার জন্য আপনাকে 7 star দিলাম। *******

চমৎকার। অসাধারন। ভুলগুলো একটু শুধরে দিন আরো ভালো হবে। প্রথম ছবিটা কি টাইটানিকের?

    কামরুল ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে সারা রাত টিউনটা নিয়ে খাটাখাটি করে মনে হয় মাথা ঠিক ছিল না। একারনেই এমন একটা ভুল হয়েছিল।

যে জাহাজগুলো থেকে টাইটানিককে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিলো সেগুলোর ছবি নিচের লিংকে
carpathia http://www.maritimequest.com/liners/carpathia/03_rms_carpathia.jpg
amerika http://www.homeyerfamily.com/images/america_as_amerika_1905__ship_alma_dad.jpg
mesaba http://www.atlantictransportline.us/images/28anchored.jpg

সত্যিই অসাধারণ তথ্যবহুল একটি টিউন। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা। আপনি যথেষ্ট পড়াশুনা ও খাটাখাটনি করেন, যেটা আপনার টিউনগুলো পড়লেই বোঝা যায়। এরকম আরও টিউন আশা করছি।

Level 0

জটিল একটা টিউন।বিস্তারিত জানতে পেরে খুব ভাল লাগছে।ধন্যবাদ।

ভাইয়া টিউনটাতে মনে হয় এর তৈরী ব্যয়টা বাদ পরচে, এনিওয়ে এটা বল্লাম জাস্ট ঐ যে আমাদের না একটা অভ্যাস আছে না ভাল জিনিষের মধ্যে খুদ খুজার! ডন্ট টেক ইট আদারওয়াস। মজা করলাম। আসলেই এটা একটি তথ্যবহুল টিউন। যদি আমার মেমোরি আমাকে ধোকা না দেয় এর তৈরী ব্যয় ছিল ৭ মিলিয়ন ডলার আর টাইটানিক মুভি বানাতে খরচ হয়ে ছিল ২০০ মিলিয়ন।
সত্যই ভাল লিখেছেন।

    mahebub kunj ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

কোয়ালিটি টিউন। টিউন ফরমেটিংও টেকটিউনস মানের। কিপ ইট আপ! ধন্যবাদ।

    মেহেদী হাসান ভাই! আমি আসলে আপনার মন্তব্যের আশায়ই বসে ছিলাম।
    মামুন ভাইয়ের আবেদনটা একবার ভেবে দেখবেন কি ? আমার মনে হয় অনেক দিন যাবত টেকটিউনস্ এর নির্বাচিত টিউনের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। আমার মনে হয় আমার কয়েকদিন ধরে কষ্ট করে লিখা এ টিউনটি একটি নির্বাচিত টিউন হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তবে টেকটিউনস্ কতৃপক্ষের Decision -ই সর্বশেষ Decision.

এখন এটা নির্বাচিত

Nice information.

Level 0

oh Titanic…..

ভাই আপনাকে জে কি করে thanks দিব এতো wantfull information, but we want more from u dear, please carry on…

টেকটিউনস কতৃপক্ষকে অসংখ্যা ধন্যবাদ। আমার পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করার জন্য।
এই লিখাটি আমি তথ্যসূত্র সহ বাংলা উইকিপিডিয়ায় দিয়ে দিয়েছি। সেখানে আমি এর নাম দিয়েছি ‍”টাইটানিক দূর্ঘটনা”। যা বাংলাদেশের মানুষের টাইটানিক বিষয়ক কৌতুহল মেটাতে সাহায্য করবে চিরজীবন। নিচের লিংকে ক্লিক করলেই সেখানে এ বিষয়ক নিবন্ধটি দেখতে পারবেন:

http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE

উপরের ইতিহাস ট্যাবটি ক্লিক করলেই সবার প্রথমে আমার নাম দেখতে পাবেন।

Level 0

আগে পইরা ও কমেন্ট করলাম না আজ পোস্ট টা স্টিকি দেইখা করলাম । গুড টিউন ।

একটা ঘটনা শেয়ার করতে চাই >

একবার যায়যায়দিন প্রত্রিকা অফিসে ২য় তলায় ৩টা থিয়েটার আছে সেখানে টাইটানিক শো দেখার দুটো টিকেট পাই তো আমি তো একলা যেতে পারি না সাথে করে কাকে নিয়া যাব একটু টেনশন এ পড়ে গেলাম । দোকানে গিয়ে একটা চায়ের অড্রার দিলাম এমন সময় দেখি আমার এক বন্ধু মাঠে খেলতে যাবে ( প্রত্রিকা অফিসের পাশেই মাঠ) তো তাকে ডাক দিয়ে ছবিটা দেখার আমত্রন জানালাম , সে ও রাজি । কিন্তু ছবি শুরুর ১০ মিনিট পরে বাকি পুরোটা সময় সে ঘুমিয়ে কাটাল । আমি ছবি দেখে শেষে যখন এক সঙ্গে বের হয়ে ওকে ব্ললাম কেমন দেখলি তো সে বলল এরকম শান্তির ঘুম সে নাকি বহুদিন ঘুমায় নি আমি তো তার জবাব শুনে তাজ্জব । ব ল লাম আমি কি তোকে ঘুমানোর জন্য এখানে নিয়ে এসেছি সে বলে ছবি দেখে আর কি হবে যা হওয়ার তাতো হইয়া গেছে জাহাজ তো আর ফিরে আসবে না।

এক কথায়

অসাধারন

Level 0

অসাধারন পোষ্ট..

টেকটিউনস্ কর্তৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ এই টিউনটিকে নির্বাচিত বিভাগে স্থান দেয়ার জন্য।

Thanksssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss
sssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss
sssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss
ssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss
sssssssssssssssTuner for this tune.

    ধন্যবাদ মোশাররফ ভাই।

Level 0

অসাধারন, তথ্যবহুল একটি টিউন

    ধন্যবাদ নয়ন ভাই।

    মাহবুবুর রহমান ভাই অনেক ধন্যবাদ। ভাই আপনাকে টেকটিউনসে প্রথম থেকেই দেখছি কিন্তু আপনার মন্তব্য খুবই কম দেখা যায়। কারন কি ভাই ?

    ধন্যবাদ। মন্তব্যই ত বেশি করি টিউন ত প্রায় নাই বললেই চলে, লগইন করে পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা হয় তাই লগইন না করে শুধু দেখেই চলে যাই আর ওয়েবসাইট না পড়লেও নিয়মিত টেকটিউনস এর আরএসএস ফিড পরি। তাই ইদানীং মন্তব্য কম করা হয়। সত্যিই টেকটিউনস খুবই ভাল একটি সাইট। এখন টেকটিউনস এ অনেককেই মিস করি যেমনঃ মাইক্রোকাতার, জিন্নাত উল হাসান, এস.এম মেহেদী আকরাম ইত্যাদি।

    আপনার এই টিউনটি অনেক সুন্দর এবং তথ্য বহুল হয়েছে।

    তুতেন খামেন এর অভিষাপ নিয়ে একটি লেখা লেখার অনুরোধ রইল।

    ধন্যবাদ মাহবুবুর রহমান ভাই। আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো।

    মাহবুবুর রহমান ভাই আমার কথা রাখলাম। এই মাত্র তুতেন খামেন সম্পর্কিত টিউনটি শেষ করলাম। এত সুন্দর একটি টিউন করার অনুরোধ জানানোয় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
    টিউনটি পড়তে দয়াকরে নিচের লিংকে ক্লিক করুন:
    https://www.techtunes.io/reports/tune-id/14863/

Level 0

Khub Valo Laglo

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম মনে হল একটি হলিউডের সিনেমা দেখা শেষ করলাম। আপনার লেখা অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। টেকটিউনস এর পাঠকদের এরকম একটি তথ্যবহুল লেখা উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। এই বিষয়টির প্রতি আমার প্রথম থেকেই অনেক আগ্রহ ছিল তাই মনে করেছিলাম একটি লেখা লিখব কিন্তু ব্যস্ততার কারনে আর শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠে নি।

দারুন…………

আরেকটি অনুরোধ রইল

নস্ট্রাডেমাসের ভবিষ্যৎবানী নিয়ে একটি লেখা লেখার অনুরোধ রইল।
আশা করি আরও একটি তথ্যবহুল লেখা পাব।
আপনার লেখা পড়ে মনে হল আপনি কতটা কষ্ট করেছেন

আবারও ধন্যবাদ

ভালো একটা টিউন পড়লাম অনেক দিন পর। যদি পারেন তাহলে ভিঞ্চি কোড নিয়ে যদি কিছু লিখতেন।

    ধন্যবাদ Amin Mehedi ভাই।
    আপনাকে টেকটিউনস এ অনেক দিন পর দেখলাম।
    আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো।
    আমার অন্যতম প্রিয় বই।

    ভাই, আমি এ মুভিটা (হিন্দি ডাবিং) দেখেও বুঝতে পারি নাই। তাই আগ্রহটা বেশি।

ভাই এক রহস্যময় জিনিস আবিষ্কার করলেন।দারুন হয়েছে।

many many thanks to u 🙂

বাহহহহহহহহহহহহহহ
ভাই টাইটানিক সর্ম্পকে আমার জানার আগ্রহ ছিল অনেক।
আপনার টিউনটি পড়ে অনেক রহস্য জানতে পারলাম।
দারুন দারুন দারুন লিখেছেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

thank you.this is realy interesting

দারুন হইসে ভাই 🙂

দারুন হয়েছে।

ভাই আপনার মাঝে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে। যাহা আপনার লিখা পড়ে বুজতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

সুন্দর হয়েছে। চালিয়ে যান………….

Level 0

wonderful nothing but only nice post…………………………..carry on thank u.

আপনার লেখা পরার সময় ঠিক টাইটানিক তা কেই দেখতে পারছিলাম !!! bravo brother …

ভাই, খুবই ভাল টিউন ………

Titanic movie ta dekhte hobe !

অপেক্ষাকৃত অনেক বিস্তারিত জানতে পারলাম।