আসিমো জাপানের হোন্ডা কোম্পানীর তৈরি অত্যধুনিক মানব আকৃতির রোবট,প্রথম জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয় ২০০০ সালে।হোন্ডা কোম্পানী মুলত মোটরসাইকেল এবং গাড়ী ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি।এর পাশাপাশি তারা "রেডিক্যাল মোবিলিটি টেকনোলজী' গবেষনা করে এর আওতায় অসিমোর সৃষ্টি।এটিই বর্তমানে সবচেয়ে বুদ্ধিমান হিউম্যানয়েড যন্ত্রমানব।আসিমো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সত্যিকার দুনিয়ায় যেকোন ভুমিতে এটি হাটতে -দৌড়াতে পারে এবং দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতে পারে।২০০০ সালে এটি সবার সামনে উন্মুক্ত করলে,এটি তৈরির প্রথম পরিকল্পনা করা হয় ১৯৮০ এর প্রথম দিকে।তখন থেকেই হোন্ডা ই-সিরিজ(১৯৮৬-১৯৯৩) এবং পি-সিরিজ(১৯৯৩-১৯৯৭) নামে দুটি দ-পা চালিত রোবটের ভার্সন এর উন্নততর সংস্করণ আবিস্কারের চেষ্টা করে।এই চেষ্টার ফল হিসেবে ২০০০ সালে পি-সিরিজের উন্নত সংস্করণ হিসেবে অসিমোর আবির্ভাব।আসিমোর জনসম্মুখে প্রদর্শনের আগে হোন্ডা তাদের এই প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কখনোই প্রকাশ করেনি।২০০০ সালে অসিমোর দেখা পেলেও পরবর্তী আপগ্রেড ভার্সন জনসমুক্ষে আসে ২০০৫ সালে।২০১১ সালে এসে আসিমোর প্রভূত উন্নয়ন করে।চলুন আসিমোর বেশ কিছু ফিচার সম্পর্কে জেনে নেইঃ
বর্তমান "আসিমো" ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা (১৩০ মিটার) এবং ওজনে প্রায় ১১৯ পাউন্ড (৫৪ কেজি)।এটির পরিচালিত হয় ৫১.৪ ভোল্টের রিচার্জেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী দিয়ে যা ১ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দেয়।অসিমোর আছে ত্রিমাত্রিক কম্পিউটার প্রসেসর যেটির সাহায্যে এটির চলা-ফেরা নিয়ন্ত্রন করা হয়।আসিমো প্রতি ঘন্টায় ১.৭ মাইল বেগে হাটতে এবং ৩.৭ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে।হাত-পা এবং বডি মুভমেন্ট ছাড়াও এটির মাথা ৩৪ ডিগ্রি ফ্রী ঘুরতে পারে।২০১১ সালের ভার্সনে বেশ কিছু নতুন সুবিধা এতে যোগ করা হয়েছে।অথিতি আপ্যায়ন করা,সুরে সুরে নাচা,ভায়োলিন বাজানো,ফুটবল খেলা এইসবই অসিমো করতে পারে।নিচের ভিডিওগুলো দেখলে আপনারা আসিমোর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে ভাল ধারনা পাবেন।
এখানে ইউটিউব ভিডিও সাপোর্ট করছে না তাই ভিডিওগুলো দেখতে এখানে ক্লিকান।
-------------------------
-------------------------
-
আমি নিশাচর নাইম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 1182 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তেমন কিছু জানি না, কিছু জানলে তা অন্যদের শিখানোর চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব।জ্ঞান নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই প্রকৃত সার্থকতা।
নাইম ভাই, একটা কিন্না দিবেন? 😳
টিউনের জন্য থ্যাঙ্কু। 😀