আমি ২৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রামে ফেরার জন্য বন্দর রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছিলাম । এমন সময় একটি ১৫-১৬ বছরের ছেলে(নোংরা পোশাক পরা) এসে আমাকে বলল যে সে বিপদে পড়েছে।টাকার জন্য সে বাড়ি যেতে পারছে না । সে তার n73 মডেলের সেটটা বিক্রি করতে চাই । আমি বুজলাম সেটটি কারো কাছ থেকে চুরি করা । কেননা এই রকম গেট আপের ছেলের এত দামি সেট থাকার কথা না । ভাবলাম,কম দামে এই সেটটা নিতে পারলে ভাল হয়-তা চোরা হলেই বা আমার কি আসে যায় !
আমি সেটটা ভালভাবে দেখে ১,০০০ টাকায় নিয়ে নিলাম । ছেলেটি সেটটি আমার হাত থেকে নিয়ে সিম খুলে নিল । তারপর আমার ব্যাগে মোবাইলটা ভরে দিয়ে বলল,"ভাই,মোবাইলটা এখানে বের কইরেন না,একেবারে ট্রেন থেকে নেমে বাইর কইরেন"-আমি নিশ্চিত হলাম যে সেটটা নিশ্চয়ই এ স্টেশন থেকে চুরি করা।
বাসায় এসে দেখলাম মোবাইলটি ফেইক । ওপরে ক্যাসিন,ভেতরে দুটি স্টীলের পাত আর ফোম দেওয়া । ফিনিশিংটা নিখুঁত । ওজনটাও সঠিক । বাইরে থেকে একবার দেখায় যে কেউ আসল বলে ভুল করবে । ঐ এলাকায় হয়ত ওদের একটা গ্রুপ আছে । কেউ মোবাইলগুলো তৈরি করে আর কেউ ফিল্ডে কাজ করে । ছেলেটির কাছে দুটি মোবাইল ছিল । সে যখন সিম খুলে নিল তখনই আমার অলক্ষ্যে আসল মোবাইল পাল্টে নকলটি হাতে নেয় । আমি তখন বুজতে পারিনি । গাধাঁমির জন্য ১,০০০ টাকা জলাঞ্জলী দিতে হল। GRASP ALL,LOSE ALL........
এই লেখাটি লেখছি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে অন্যদের সাবধান করার জন্য । অচেনা কারো কাছ থেকে কিছু কিনতে গেলে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করবেন । (এই প্রতিবেদনটি একই সাথে দৈনিক প্রথম আলোতে ই-মেইল করেছি)
আমি কাইফ আমিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 126 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
যারা ঢাকার নিয়মিত বাসিন্দা না তাদের টিউনটি খুবই কাজে আসবে। ঢাকার বিভিন্ন বাস স্টেশন, কমলাপুর বিশেষ করে গুলিস্তানে এইটা খুবই সাধারণ ঘটনা। গুলিস্তানে গিয়ে ১ ঘন্টা দাঁড়ায়ে থাকেন, টের পাবেন। তাদের টার্গেটই থাকে যারা ঢাকায় নতুন তারা।