আমি স্যার জফর ইবকালের এক অন্ধ ভক্ত। স্যারের প্রতিটা লেখা আমার ভাল লাগে। কাল সমকালে স্যারের একটা কলাম প্রকাশিত হয়েছে। যা আমার অনেক ভাল লেখেছে। তাই শেয়াল করলাম।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
১.
আমি যে টেলিফোন কলটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেটি এলো পড়ন্ত বিকেলে। ডাটাসফটের মাহবুব জামান আমাকে ফোন করে জানালেন, এই মাত্র প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পাট জিনোমের তথ্যটি প্রকাশ করেছেন। অত্যন্ত সযত্নে গোপন করে রাখা তথ্যটি আমি এখন সবাইকে বলতে পারব! আমি তিনতলা থেকে নিচে নেমে এসে আমার সহকর্মীদের জানালাম,
বিজ্ঞানের যে কাজগুলো শুধু পৃথিবীর বড় দেশগুলো করে এসেছে ঠিক সে রকম একটা কাজ বাংলাদেশ করে ফেলেছে! প্রায় সন্ধে নেমে এসেছে, ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগই নেই, অতিউৎসাহী এক সহকর্মীর ল্যাবরেটরিতে ছাত্রছাত্রীরা তখনো ক্লাস করছে। আমি সেই ক্লাসরুমে ঢুকে আমার সহকর্মী আর ছাত্রছাত্রীদের তথ্যটা জানালাম, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করতে হলো, গুরুত্বটা একটু বোঝাতে হলো তখন তাদের আনন্দ দেখে কে! তারা হাততালি দিয়ে বলল, 'স্যার, এটা তো আমাদের সেলিব্রেট করতে হবে।'
বাংলাদেশ যখন ক্রিকেট খেলায় বড় প্রতিপক্ষকে হারায় তখন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা 'সেলিব্রেট' করে_ তাহলে বিজ্ঞানের পৃথিবীব্যাপী প্রতিযোগিতায় আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যদি সব দেশকে হারিয়ে দেয়, সেটা কেন সেলিব্রেট করা হবে না? তাই ঝুমবৃষ্টির মধ্যে তারা কেক কিনতে বের হয়ে গেল। কেক কেটে, মোমবাতি জ্বালিয়ে হাততালি দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম পাট জিনোমের সিকোয়েন্স বের করার আনন্দটুকুতে অংশ নিল। তাদের উৎসাহী আনন্দময় মুখ দেখে আমার বুক ভরে যায়_ কতদিন থেকে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে বোঝানোর চেষ্টা করছি, আমরা সবকিছু পারি, জ্ঞান-বিজ্ঞানে আমরা পৃথিবীর যে কোনো দেশের সমকক্ষ হওয়ার ক্ষমতা রাখি, এই প্রথমবার আমরা সেটা প্রমাণ করে দেখাতে পারলাম!
আমার মনে হয় সাধারণ মানুষের অনেকেই হয়তো বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত নন। তাদের সোজা ভাষায় বোঝাতে হলে এভাবে বলা যায় : আমাদের চারপাশের জীবন্ত জগৎকে দেখলে একটু ভড়কে যাওয়ার কথা। চারপাশে কত বিচিত্র জীবন, একেবারে ক্ষুদ্র ভাইরাস থেকে সুবিশাল হাতি, ছোট্ট ঘাস থেকে বিশাল বটগাছ, মাকড়সা থেকে জলহস্তী, ডায়রিয়ার জীবাণু থেকে বুদ্ধিমান মানুষ_ এ হিসাব কী কখনও বলে শেষ করা যাবে? তাদের ভেতর কী কোনো মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব? কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সরলতম ভাইরাস থেকে, সবচেয়ে জটিলতম মানব সন্তানের মধ্যে একটা গভীর মিল আছে। তাদের সবার গঠনের একটা নীলনকশা আছে! সেই নীলনকশা অনুযায়ীই কেউ পিঁপড়া আর কেউ হাতি হয়ে গড়ে ওঠে। কেউ লজ্জাবতী গাছ আর কেউ বটগাছ হয়ে ওঠে। কেউ সাপ আর কেউ জলহস্তী হয়ে গড়ে ওঠে।
এটুকু তথ্যই হজম করা কঠিন; কিন্তু এর পরের অংশটুকু আরও চমকপ্রদ। সৃষ্টিজগতের সব প্রাণীর গড়ে ওঠার যে নীলনকশা, সেই নীলনকশার ভাষা একটি! সেই ভাষাটি লেখা হয়েছে মাত্র চারটি অক্ষরে। বিজ্ঞানীর ভাষায় সেই চারটি অক্ষর হচ্ছে অ, ঞ, ঈ এবং এ মৌলিক উপাদানগুলোর আদ্যক্ষর।
সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি এমন একটা জায়গায় পেঁৗছে গেছে যে, মানুষ ইচ্ছা করলেই চার অক্ষরে লেখা জীবনের সেই নীলনকশাটি পড়ে ফেলতে পারে। চার অক্ষর দিয়ে লেখা মানুষের জীবনের সেই নীলনকশাকে আমরা বলি মানব জিনোম। সব মিলিয়ে সেই জিনোম বা নীলনকশায় আছে তিনশ' কোটি অক্ষর (বিজ্ঞানের ভাষায় বেশ পেয়ার) পাটের বেলায় তার সংখ্যা হচ্ছে প্রায় অর্ধেক, একশ বিশ কোটি এবং আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা সেই নীলনকশার পুরোটা বের করেছেন (বিজ্ঞানের ভাষায় সেটাকে বলা হয় পাট জিনোমের সিকোয়েন্স বের করেছেন।)
পাট জিনোমের সংখ্যাটি দেখেই আমরা অনুমান করতে পারছি সেটা নিশ্চয়ই একটা ভয়ঙ্কর জটিল কাজ_ সঙ্গে সঙ্গে সবারই নিশ্চয়ই জানার কৌতূহল হয় বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা কেন এ রকম ভয়ঙ্কর জটিল একটা কাজে হাত দিলেন? পাটের জিনোম বের করে আমাদের কী লাভ?
২.
এই প্রশ্নের উত্তরটিও পাট জিনোমের মতোই চমকপ্রদ! পাট জিনোম যেহেতু পাটের গঠনের নীলনকশা, তাই তার মাঝে পাটের সব তথ্য সাজিয়ে রাখা আছে। আমাদের দেশে শীতকালে পাট হয় না_ যে কারণে হয় না সে তথ্যটাও পাটের জিনোমের কোথাও না কোথাও আছে। বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করে সেটা পাল্টে দিতে পারেন_ তখন দেখা যাবে নতুন প্রজাতির একটা পাট চলে এসেছে, যেটা কনকনে শীতেও লক লক করে বেড়ে উঠছে। কাজেই বিজ্ঞানীরা চাইলে ঠাণ্ডা পানির পাট, লোনা পানির পাট, কম পানির পাট, কাপড় বুননের পাট, তুলার মতো পাট, শক্ত পাট, নরম পাট, পোকা নিরোধক পাট, ঔষধি পাট, সুস্বাস্থ্য পাট, লম্বা পাট, খাটো পাট, এমনকি রঙিন পাট পর্যন্ত তৈরি করতে পারবেন! পাট জিনোম বের করে সবচেয়ে বড় কাজটি হয়ে গেছে_ এখন বাকিটুকু শুধু সময়ের ব্যাপার।
পাট জিনোম বের করার এই অসাধারণ কাজটি বাংলাদেশ করে ফেলেছে, অন্যদের কথা জানি না সে কারণে গর্বে এবং অহঙ্কারে আমার মাটিতে পা পড়ছে না। যে মানুষটি না হলে সেটা হতো না তিনি হচ্ছেন মাকসুদুল আলম। তার বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন, যুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে আট ভাই-বোনের সংসারটিকে বুকে আগলে রক্ষা করেছিলেন তার মা_ সেই জীবনে কী পরিমাণ কষ্ট হয়েছে, ছেলেরা কতবার লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে কোনো একটা কাজ শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল_ সেই গল্প শুনেছি আমি মাকসুদুল আলমের বড় ভাই মেজর জেনারেল মঞ্জুরুল আলমের কাছে। (আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মানুষের খুব অভাব, বিটিআরসির সাবেক প্রধান এ মানুষটিকে সরকার কেন ব্যবহার করল না সেটি আমার কাছে একটি রহস্য।) বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম দেশের বাইরে থাকেন, একটির পর একটি জিনোম বের করে পৃথিবী বিখ্যাত হয়েছেন। যে দেশের জন্য বাবা বুকের রক্ত দিয়েছেন সেই দেশের জন্য গভীর মমতা_ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দিতে পারে, সে রকম একটা বিষয় হচ্ছে পাট। সেই পাটের জিনোম বাংলাদেশ থেকে বের করা হোক সেটি তার বহুদিনের স্বপ্ন। কাজটা শুরু করতে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা লাগবে; কিন্তু সেই টাকার জোগান দেওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে ভয়ের কথা যদি এর আগে অন্য কোনো দেশ এটা বের করে ফেলে তাহলে মেধাস্বত্ব হয়ে যাব সেই দেশটির_ আমরা আর সেটি ফিরে পাব না। মাকসুদুল আলমের স্বপ্নের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই দেশের কিছু মানুষ, তাদের মাঝে আছেন মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান_ যিনি বহুদিন থেকে তথ্যপ্রযুক্তির জগতে কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম কাস্টমকে কম্পিউটারাইজড করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আছেন প্রফেসর হাসিনা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, যিনি পায়ের নখ থেকে মাথার চুলের ডগা পর্যন্ত গবেষক। আছেন আমাদের মুনির হাসান অসংখ্য পরিচয়ের একটি হচ্ছে, যিনি গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সেক্রেটারি এবং এ রকম আরও অনেকে। দেশের বাইরে থেকে আছেন জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী। এই মানুষগুলো গবেষণা শুরু করার জন্য আক্ষরিক অর্থে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেছেন, তাদের সেই গল্পগুলো শোনার মতো। আমাদের দেশের বিজ্ঞানের ধারক-বাহকদের কথা শুনে রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে এ মানুষের চোখে আক্ষরিক অর্থেই কখনও কখনও পানি চাল এসেছে। তবু তারা হাল ছাড়েননি।
পুরো বিষয়টার মোড় ঘুরে গেল যখন বিষয়টা আমাদের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নজরে নিয়ে আসা গেল। পাট জিনোম গবেষণার টাকা জোগাড় হয়ে গেল এবং কাজ শুরু হয়ে গেল গোপনে। (আমরা সবাই জানি আমাদের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কোনো রকম প্রশংসা বা প্রচারে বিশ্বাস করেন না। নীরবে কাজ করে যান। তাই আমি খুব ভয়ে ভয়ে তার নামটি উচ্চারণ করছি, আমার সঙ্গে দেখা হলে সেজন্য আমার কপালে খানিকটা দুঃখ থাকতে পারে জেনেও!)
পৃথিবীর বড় বড় দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, খবর পেলে কোটি কোটি ডলার খরচ করে রাতারাতি জিনোম বের করে মেধাস্বত্ব কিনে নেবে তাই পুরো ব্যাপারটিতে চরম একটা গোপনীয়তা। আমাদের দেশের বিজ্ঞানী আর তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা মিলে কাজ শুরু করলেন এ বছরের জানুয়ারির দিকে_ জুন মাসের মাঝে কাজ শেষ। ব্যাপারটা সম্ভব হয়েছে নানা কারণে। বড় একটা প্রশংসা প্রাপ্য প্রফেসর হাসিনা খানের, কয়েক বছর আগে থেকে তিনি একটা পাট গাছকে আলাদা করে তার বীজ থেকে জিনোম বের করার প্রয়োজনীয় মাল-মসলা প্রস্তুত করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলমের পৃথিবীব্যাপী যোগাযোগ রয়েছে কোন কাজটি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে করিয়ে আনতে হবে তার নিখুঁত পরিকল্পনা করতে। ডাটাসফটের অফিসের ছোট একটা বন্ধ ঘরে কম্পিউটারের সামনে বসেছেন এই দেশের সেরা কিছু বিজ্ঞানী আর তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। সবার মাঝে একটা মিল_ তারা সবাই তরুণ। দেশের জন্য সবার গভীর মমতা। আমার মাঝে মাঝে তাদের দেখার সুযোগ হয়েছে, বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম আমাকে একবার বললেন, 'আপনি এই ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দিয়ে কিছু বলে যান।' আমি হেসে ফেলেছিলাম, বলেছিলাম, 'আমি তাদেরকে কী উৎসাহ দেব? আমি এখানে আসি তাদেরকে দেখে উৎসাহ পাবার জন্যে।' এই বিজ্ঞানী এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ছাড়াও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরাও ছিলেন_ সবাই মিলে একটি অসাধারণ টিম, যারা এই অসাধারণ কাজটি শেষ করেছেন।
৩.
পাট জিনোমের রহস্য বের করা হয়েছে_ দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নবীন ছাত্র বা ছাত্রীটিও খুশি, আমিও খুশি! আমার খুশি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু কারণ সবাই অনুমান করতে পারবেন। জিনোম বের করার ক্ষমতা রাখে সেরকম হাতেগোনা কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। এ অসাধারণ কাজটি করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি দেশীয় এবং দেশের বাইরে কিছু প্রতিষ্ঠানের যুক্ত প্রচেষ্টায়। সবাই মিলে কাজ করে যে ম্যাজিক করে ফেলা যায়, সেটি প্রমাণিত হয়েছে। পাট জিনোমের মেধাস্বত্ব হবে বাংলাদেশের_ পৃথিবীর বড় কোনো দেশ আমাদের সম্পদ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না।
এসব কারণ ছাড়াও আমার খুশি হওয়ার অন্য একটি কারণ আছে_ সেটি আমাদের নতুন প্রজন্ম নিয়ে। তারা মুখস্থ করে প্রাইভেট পড়ে, কোচিং থেকে কোচিংয়ে ছুটে ছুটে ক্লান্ত হয়ে যায়। কেউ কেউ কখনও কখনও বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তখন অভিভাবকরা ধমক দিয়ে তাদের স্বপ্নকে ছিন্ন ছিন্ন করে দেন। তাদের বলেন বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখা যাবে না, যে বিষয় পড়লে চাকরি পাওয়া যাবে সে বিষয়টাই পড়তে হবে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের তখন সেই স্বপ্নকে বাক্সবন্দি করে রেখে রসকষহীন, আনন্দহীন মোটা মোটা বই মুখস্থ করতে হয়।
আমরা প্রথমবার একটা সুযোগ পেয়েছি এই দেশের ছেলেমেয়েদের বলার জন্য যে, তাদের স্বপ্নকে বাক্সবন্দি করে রাখতে হবে না। তারা স্বপ্ন দেখতে পারে এ দেশে তারা বিজ্ঞানী হতে পারবে। পাট জিনোম বের করার এই প্রজেক্টটির নাম তাই দেওয়া হয়েছিল স্বপ্নযাত্রা। সেই স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছে, সেই যাত্রা এখন আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আমি জানি এই যাত্রা খুব কঠিন, এ দেশে ধারণা করা হয় শিক্ষা অনুৎপাদনশীল খাত, এই দেশে শিক্ষকরা হচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা, এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার জন্য কানাকড়ি দেওয়া হয় না, এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়কে টিটকারী করার জন্য 'বিশ্ববিদ্যা-লয়' নামে নতুন নতুন শব্দ আবিষ্কার করা হয়; কিন্তু তারপরও আমি জানি এই দেশের অসংখ্য শিক্ষক, গবেষক, ছাত্রছাত্রী বুকের মাঝে স্বপ্ন পুঁতে নিঃশব্দে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।
পাট জিনোমের যে স্বপ্নযাত্রা শুরু হয়েছে সেই যাত্রার লক্ষ্য অনেক দূর, সেখানে পেঁৗছাতে হবে।
বুড়ো মানুষরা ইতস্তত করবে, পিছিয়ে নিতে চাইবে; কিন্তু তরুণ প্রজন্ম নিশ্চয়ই সবাইকে টেনে নিয়ে যাবে, আমার সেই বিশ্বাস আছে।
উৎস্য-এখানে
আমি তুসিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 49 টি টিউন ও 555 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তুসিন আহমেদ । আমার ব্লগ http://tusin.wordpress.com/ফেইসবুকে আমি facebook.com/tusin.ahmed and yahoo তে [email protected]
সাবাস বাংলাদেশ!!! সারা বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রয়!!! ভাঙবে তবু মাথা নোয়াবার নয়!! অভিনন্দন সকল স্বপ্ন যাত্রার অভিযাত্রীদের। সালাম! সালাম!! সালাম!!!