কখনো চিন্তা করেছেন, সেই ভারতের একজন মুচি জুতা সেলাই করছে আমরা এখানে বসে তার গল্প শুনছি। একজন মানুষের জীবনের এর থেকে বড় সফলতা আর কিই বা হতে পারে?
সেই সফল মানুষের গল্পটা তাহলে বলি। ইন্ডিয়ার মুচিরা প্রতিদিন গড়ে ২৫০ রুপি ইনকাম করে। কিন্তু একজন ভিন্ন মুচি আছে, যেকিনা প্রতিদিন ৫০০ রুপি আয় করে। প্রশ্ন হলো কেন?কারন সেই ব্যক্তিটি সাধারন কাজটি খুব অসাধারন ভাবে করেছে। সে অন্য সবার মতই একইভাবে মাটিতে বসে জুতা সেলাই করলেও তার মধ্যে একটু ভিন্নতা ছিল?কি ছিল সেই ভিন্নতা?
যেখানে বাকিদের পিছনে বা মাথার উপর ব্যানারে লেখা-এখানে জুতো সেলাই হয় সেখানে সেই মুচি লিখে দিয়েছে, এখানে জুতর অপারেশন করা হয়। ডাক্তার বসার সময় সকাল ৯ টা ত্থেকে রাত ৯ টা। জরুরী রুগী হলে আইসিউ ব্যাবস্থা আছে। ব্যাপারটা জোশ নাহ!
ইন্ডিয়ার মানুষজন এই মুচিকে রীতিমত “ডাক্তার সাহেব” বলে সম্ভোধন করে।
আপনাদের প্রথমেই এই গল্প টা বলার দুটি কারন রয়েছে
ইন্ডিয়ার সেই মুচি যদি সবার থেকে নিজেকে আলাদাভাবে তৈরী করতে পারে তাহলে আমি/আপনে কেন নয়?আমরা এমন একটী দেশে বাস করছি সেখানে লাখ লাখ শিক্ষিত ছেলেমেয়ে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো পাশ করে দেখেন এই লাখ লাখ বেকারের জায়গায় আবার লাখ লাখ বিদেশি কাজ করছে তাও আবার বহুগুন স্যালারি নিয়ে।
কেন কি জন্য?কারন একটাই, আমরা আসলে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পাই না। আমরা আসলে জানিই না লাইফ নিয়ে আমাদের কি করা উচিত। আমরা জানি এবং বুজি তবে সেইটা অনেক পরে, তখন আর আমাদের রিকভার করার আর কোন সুযোগ থাকে না।
আমার তো মনে হয়, বাংলাদেশের কলেজ, ভার্সিটি গুলোতে একটি কোর্স রাখা উচিত যেখানে একজন প্রাক্তন ব্যাক বেঞ্চার রোজ তার উথান-পতনের গল্প শুনাবেন। তারা শুনাবেন তারা কোথায় ভুল করেছিল? এবং কিভাবে সেই ভুলগুলো শুধরে নিয়েছেন।
আসলে, লাইফে একটা U-Trun থাকা উচিত সবার ভাই। কারন, First move নিয়ে লাভ নাই Fast Move করতে হবে। First move তো Nokia ও নিয়ে ছিল। তাই না?
আমি সাখাওয়াত মহিম। , Mirpur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 21 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
বেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে।আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়,সুন্দর।বিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ এখনো চুকিয়ে নেয়নি।সামনে আরও নিরস ভবিষ্যৎ।নিরস জীবন সরসভাবে কাটানোর প্রচেষ্টায় আমি সাখাওয়াত মহিম।