আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে অনেক বেশি ভালো আছেন। আপনি কি জানেন হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট এর মালিকেরা তাদের রেস্টুরেন্টকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য লাল, কমলা এবং হলুদ রং কে ব্যবহার করে। এর কারণ হচ্ছে, এই লাল, কমলা এবং হলুদ এমন তিনটি রং, যেগুলো দেখলে আমাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়।
বন্ধুরা আজকে আপনাদের সামনে এমন কিছু টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি, যে টিউনটি আপনাদের কাছে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। কারণ আজকের এই টিউনটির মাধ্যমে আপনি এমনিই কিছু সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট জানতে পারবেন, যেগুলোকে জানার পর আপনি হয়তোবা অবাক এবং খুশি হয়ে যাবেন। আমি আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের এই টিউনটি অনেক বেশী ভালো লাগবে। তো চলুন, কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন যে, কখনো রাস্তায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ এই ঘটনাটিকে দেখতে বেশি ভালোবাসে। এক্ষেত্রে মানুষ দুর্ঘটনা কবলিত মানুষদের কে সাহায্য করার বদলে সেই ঘটনাটিকে দেখতে বেশি ভালোবাসে। এই ঘটনাটির পেছনে আমাদের ব্রেন। কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো চাইলেই আমাদের মস্তিষ্ক বাদ দিতে পারেনা। আর এইসব জিনিসগুলোর মধ্যে হচ্ছে, খাবার, ভয়াবহতা এবং আবেগ।
আর এই কারণেই আমরা এসব দুর্ঘটনার সময় হতভম্ব হয়ে যাই এবং সেই দুর্ঘটনাকে দেখতে থাকি। তবে আপনার ক্ষেত্রে এমনটা হয় কিনা জানিনা, তবে এমনটি করা কখনই উচিত নয়। বরং কোন ব্যক্তির দুর্ঘটনায় পড়লে তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া উচিত।
সাইকোলজির একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, লোকজন সেই সমস্ত শব্দগুলোকে বেশি ভালোবাসে, যে সকল শব্দের আগে তার নামের প্রথম অক্ষর রয়েছে। এটিকে সাইকোলজির ভাষায় Name letter effect বলা হয়। আর এটি হয়তো বা আপনার ক্ষেত্রে ও হয়ে থাকে। যে লেটার গুলো আপনার নামের মধ্যে রয়েছে সে লেটার সম্বলিত কোন শব্দ আপনার কাছে হয়তো বা অনেক বেশি ভালো লাগে। তো, সেই সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট কি আসলেই সত্য, যদি আপনার কাছে এটি সত্য মনে হয়, তবে নিচের টিউনমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন।
আপনি হয়তোবা ভাবেন, যার কাছে বেশি টাকা রয়েছে সে তত বেশি খুশি হয়ে থাকে। তারমানে, যে যত বেশি উপার্জন করে সে তত বেশি সুখে থাকে। কিন্তু এমনটি নয়। অর্থ মানুষকে সুখে রাখে ঠিকই, কিন্তু সেই হ্যাপিনেস একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত হয়। বহু পরিসংখ্যান তো এটিও বলে, যখন কোন ব্যক্তির আয় নিদিষ্ট একটি অংকে গিয়ে পৌঁছে যায়, তখন আমরা নিজেদেরকে সুখী অনুভব করি ঠিকই; কিন্তু ইনকাম যখনই সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্য কে পার করে যায়, তখন অর্থের দ্বারা আমরা তখন আর হ্যাপিনেস কে অর্জন করতে পারি না।
তার মানে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ইনকামের পর আপনার কাছে যত টাকায় থাকুক না কেন, সেই টাকা আপনার কাছে একেবারেই মূল্যহীন হয়ে যায়। এই সময়ে আপনার কাছে সম্পর্ক, পরিবার এবং স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। আর এই বিষয়টি আপনি হয়তোবা অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেছেন। কিছু মানুষের কাছে অনেক টাকা-পয়সা থাকা সত্বেও তারা সবসময়ই দুঃখী এবং কষ্টে জর্জরিত হয়ে থাকে। আর এজন্য বলা যায়, অর্থ মানুষকে সবসময় পরিপূর্ণ সুখ এনে দিতে পারে না।
একটি কথা আছে, "অর্থই অনর্থের মূল"। অতিরিক্ত অর্থ মানুষকে ভুল কাজ করতে শেখায় এবং সেই অতিরিক্ত অর্থের জন্য মানুষের চিন্তা বেড়ে যায়।
"Obsessive compulsive disorder" এমন একটি সাইকোলজিক্যাল ব্যাধি, এটি যদি কারো যদি হয়ে যায়, সে সব সময় তার জমানো টাকা কে গুনতে থাকে। তারমানে, তার কাছে যতটা পরিমাণ টাকা রয়েছে সে সেই টাকাকে বারবার হিসাব করতে থাকে বা গুনতে থাকে। আর এভাবেই পরবর্তিতে ঐ কাজটি সে করতে থাকে। আপনার কাছে যদি কখনো টাকা থাকে তবে আপনিও কি এরকম ভাবে বারবার টাকা গুনতে থাকেন কিনা, তা অবশ্যই টিউনমেন্ট করবেন।
যে ব্যক্তি অনেক লাজুক হয় বা যে ব্যক্তি অনেক লজ্জা পায়, সে বাস্তব জীবনে অনেক দয়ালু এবং সৎ ব্যক্তি হয়ে থাকে। সাইকোলজি তো এটাই বলে যে, লাজুক ব্যক্তিরা অনেক বেশি দয়ালু এবং সৎ হয়ে থাকে। এই সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট টির মাধ্যমে আপনি কোন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করলে তাকে বুঝতে ও চিনতে পারবেন। তবে আপনার কি মনে হয়, এই সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট আসলে কতটা সত্য?
কোন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তার আশেপাশের লোকজনকে নেশা করা অবস্থায় আগের চাইতে দ্বিগুণ বেশি আকর্ষণীয় এবং সুন্দর দেখে। কেননা এই সময় সে তার সামনের ব্যক্তি কে ঠিকমতো দেখতে পায় না। নেশাগ্রস্ত সেই ব্যক্তির সামনে মানুষের মুখের গঠন ঠিক মত বুঝতে না পারায় তার কাছে তাকে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ঘটনাটি সত্য কিনা তা আমি বলতে পারব না। এখানে আমি শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহ করে সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট টি বললাম।
সাইকোলজির মতে, এই পৃথিবীতে ১০ থেকে ২৯ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে ৯০% লোক রয়েছে যারা রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল কে বালিশের কাছে রেখে ঘুমায়। হ্যা, সাইকোলজি তো একেই বলে যে, এই বয়সী লোকেদের মধ্যে ৯০% লোক রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল কে পাশে রেখে ঘুমায়। আর আপনিও হয়তো বা এই ৯০% লোকদের মধ্যে পড়েন। আপনি কখন ঘুমাতে যান, তখন হয়তোবা আপনিও আপনার মোবাইলটিকে আপনার পাশে রেখে ঘুমান। তবে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, আপনার মোবাইলটিকে কখনোই আপনার পাশে রেখে ঘুমানো উচিত নয়।
কেননা আপনার ফোন থেকে প্রতিনিয়ত রেডিয়েশন নির্গত হয়। আর এই রেডিয়েশন কখনোই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশনের আমাদের শরীরের জন্য ক্যান্সার সৃষ্টি করে কিনা কিংবা এটি আমাদের শরীরের ক্যান্সার সৃষ্টি করার জন্য দায়ী কি না, এটা নিয়ে আমার পূর্বের একটি টিউন রয়েছে। মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশনের ব্যাপারে আপনি জানতে আগ্রহী হলে, আমার পূর্বের সেই টিউনটি এখানে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন। আপনিও রাতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে মোবাইলকে পাশে দেখে ঘুমান কিনা, তা অবশ্যই টিউনমেন্ট করে জানান।
বন্ধুরা এই ছিল আজকের কয়েকটি সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট। এসব আলোচনা গুলো আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলিনি। এসব তথ্য গুলো আপনাদেরকে দেওয়ার জন্য আমি বিভিন্ন তথ্যের উপর নির্ভর করেছি। তবে এইসব সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট গুলো, আপনার ক্ষেত্রে হয় কিনা তা আমি জানিনা। যদি আপনার ক্ষেত্রে উপরে বলা এসব এর মধ্য থেকে কোন একটি সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট জীবনের সঙ্গে মিলে যায়, তবে অবশ্যই তা নিচের টিউনমেন্ট বক্সে জানাবেন।
আজ তবে এই কয়টি সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট বলেই বিষয় বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে আগামীর নতুন কোন টিউনে ইনশাআল্লাহ। সে সময় পর্যন্ত আমার এই টিউনটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকেও এসব সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট গুলো জানার সুযোগ করে দিন। এছাড়া আমার এই টিউনটি ভাল লাগলে জোসস করুন এবং টিউন সম্পর্কিত আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য নিচের টিউনমেন্ট বক্সে আপনার মতামত লিখুন। এছাড়া আমাকে পরবর্তীতে নতুন নতুন সব টিউন নিয়ে আসার উৎসাহ দেবার জন্য অবশ্যই ফলো করে রাখতে রাখবেন এবং সেইসঙ্গে আপনি যদি আমাকে ইতোমধ্যেই ফলো করে রেখে থাকেন, তবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)