আপনাকে একজন সত্যিকারের প্রোগ্রামার করার জন্য এই পোষ্টটাই যথেষ্ট

মার্কেটার কি?যে কোন কিছু বিক্রি বা অন্য কোনও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য মানুষের কাছে কোনকিছুকে উপস্থাপন করে। .
যেমনঃ আপনি যখন দোকানে যান তখন প্রত্যেক দোকানিই এমনভাবে কথা বলে যেন তাদের দোকানের চেয়ে ভালো জিনিস ইহজগতে আর কোথাও নেই। এখানে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার কাছে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করা। তাই তারা উক্ত প্রোডাক্টের গুণাগুণ বর্ণনা করে আপনাকে সেটার দিকে আকৃষ্ট করে। তারা এখানে একজন মার্কেটারের রোল প্লে করছে। মার্কেটার যে কাজটা করেন সেটাকে বলা হয় মার্কেটিং। .

মার্কেটিং হচ্ছে কোনও কিছুর প্রচার করা, কোনও কিছুকে মানুষের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করা যেন মানুষ সেটার দিকে আকৃষ্ট হয়। .

আপনি যখন টিভি দেখেন বা ইউটিউবে ব্রাউজ করেন তখন মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বড় বড় ব্র‍্যান্ডের প্রোডাক্টের এডভার্টিসমেন্ট দেখতে পান। কিন্তু কেন?

তারা তো বড়বড় কোম্পানি, তাদের প্রোডাক্ট এর মানও খুব ভালো, তাহলে তাদের এত টাকা নষ্ট করে, এত সেলিব্রেটি দিয়ে এড করানোর দরকারটা কি। .

আসলে, দরকার আছে, দরকার আছে বলেই তারা এত এত টাকা নষ্ট করে এড বানাচ্ছে। কারণ, তাদের প্রোডাক্টের মান অনেক ভালো ঠিকাছে, কিন্তু শুধু মান ভালো হলেই সবকিছু হয় না, মানুষকে সে প্রোডাক্টের ব্যাপারে জানাতেও হয়। কারণ, আপনি যত ভালো প্রোডাক্টই বানান না কেন, যদি মানুষ নাই জানে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে, তবে না কেউ আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আসবে আর না সেটার দ্বারা উপকৃত হতে পারবে। .

তাই এ প্রোডাক্টের কথা আপনার মানুষকে জানাতেই হবে, আর সে জানানোর ওয়েটাই হচ্ছে মার্কেটিং। মার্কেটিং যত ভালো করবেন, যত বেশি লোককে আপনার প্রোডাক্টের ব্যাপারে জানাবেন তত বেশি লোক আপনার প্রোডাক্টের ব্যাপারে আগ্রহী হবে, আপনার প্রোডাক্ট কিনবে এবং সেটার দ্বারা উপকৃত হবে।

মার্কেটিং যে একটা প্রোডাক্টের জন্য কতটা ইম্পর্টেন্ট সেটা বোঝাতে একটা উদাহরণ দেই, ইউনিলিভারের পিওরইট ওয়াটার পিউরিফায়ার এর নামে বাজারে অনেক দুর্নামই ছড়িয়ে আছে। এমনকি বাজারে তাদের চেয়েও অনেক ভালো পিওরিফায়ার আছে। কিন্তু এট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে, বাকিদের তুলনায় তাদের সেলই হয় সবচেয়ে বেশি। এর কারণ কি?
কারণ তাদের কোয়ালিটি যেমনই হোক না কেন, তাদের এডভার্টিসমেন্ট ও মার্কেটিং এত বেশি হয় যে মানুষের মাথায় কেবল তাদের কথাই ঘুরতে থাকে। যখনই কেউ ওয়াটার পিওরিফায়ারের কথা চিন্তা করে, তখন তাদের মাথায় সবার আগে পিওরইট এর নামটাই আসে। .

এজন্য ভালো প্রোডাক্ট লঞ্চ করলেই শুধু চলবে না, ঠিকঠাক সেটার মার্কেটিং অর্থাৎ প্রচারও করতে হবে। .
এখন আসা যাক কেন আমি প্রোগ্রামিং রিলেটেড গ্রুপে মার্কেটিং রিলেটেড আলাপ করছি। আমরা সবাই জানি নাঈম ভাই তার সবগুলো প্রিমিয়াম কোর্স ফ্রি করে দিয়েছেন এবং বাংলাদেশি প্রোগ্রামারদের বাস্তব অর্থেই প্রোগ্রামার বানানোর জন্য বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে Sl3 এর মত ইউনিক একটা প্রজেক্ট নিয়ে এসেছেন। Sl3 নিয়ে বেশি কথা বলা অর্থহীন, কারণ আপনারা সবাই কমবেশি জেনে গেছেন Sl3 কি। তারপরেও যদি জানা না থাকে, তাহলে sl3.app থেকে ভিজিট করে আসুন, সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবেন। .

সংক্ষেপে বলি, Sl3 হচ্ছে একজন মানুষকে দক্ষ প্রোগ্রামার বানানোর প্রোগ্রাম। এর অনেকগুলো পার্ট হবে, যার মধ্যে একটা পার্ট অলরেডি রিলিজ হয়ে গিয়েছে(Sl3 ফ্রেমওয়ার্ক, Sl3 প্রোগ্রাম)। এছাড়া দ্রুতই রিলিজ হবে Sl3 এর সেকেন্ড পার্ট ম্যাথ ফর প্রোগ্রামারস। পরবর্তী পার্টগুলোতে থাকবে ডেটা স্ট্রাকচার ও এলগরিদম, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ডিজাইন এগুলো। অর্থাৎ প্রকৃত অর্থেই একজনকে বিশ্বমানের প্রোগ্রামার বানানোর জন্য যা যা দরকার তার সবই থাকছে এই Sl3 তে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাতে প্রোগ্রামিং শেখার জন্য তেমন কোনও ভালো রিসোর্স ছিল না। কিন্তু Sl3 এসে সে রিসোর্সের অভাব পূরণ করে দিয়েছি। শুধু তাই না, বরং এমন একটা মডেল দাড় করিয়েছে প্রোগামিং জগতে যার মত মডেল এখন পর্যন্ত কেউ তৈরী করতে পারে নি। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির ফিউচার শেইপ করবে এই Sl3 প্রোগ্রাম। যদি ঠিকঠাক কাজে লাগানো যায় তবে এই প্রোগ্রাম ফলো করেই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। হ্যা, এই Sl3 এতটাই গুরুত্বপূর্ণ একটা আবিষ্কার। .

কিন্তু যেমনটা আমরা আগে থেকেই জানি, বাঙালিরা কোনওকালেই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের গুরুত্ব ঠিকমত বুঝতে পারে না, এখানেও তাই হয়েছে। তাই যে Sl3 নিয়ে এতক্ষণে ফেসবুক ইউটিউবে ঝড় উঠে যাওয়ার কথা ছিল সেই Sl3 নিয়ে এখানে ওখানে দুয়েকটা মৃদু গুঞ্জন ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না। .

বরং এখনও যদি আপনি ছয়মাসে ফ্রিল্যান্সার হয়ে হাজার ডলার কামানোর কোর্স আর স্ট্যাক লার্নারের Sl3 কারও সামনে রাখেন, সে ডেফিনেটলি ছয়মাসের কোর্সটাকেই বেছে নেবে। কারণ, ছয়মাসের কোর্সগুলার এত এত মার্কেটিং করা হয়েছে যে পিওরইটের মত সবার মাথায় এই ধরনের কোর্সগুলার চিন্তাই আসতে থাকবে। .
এ অবস্থা বদলানো প্রয়োজন, অবশ্যই প্রয়োজন। নয়তো নিকট ভবিষ্যতে আমাদের জন্য এক ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে, যেটা ভালো খারাপ প্রত্যেক ডেভলপারকেই এফেক্ট করবে। কেন আপনার স্ট্যাক লার্নারকে সাহায্য করা উচিৎ, সেটা আমি আমার আগের টিউনেই ক্লিয়ার করেছিলাম, যারা সেটা পড়েছেন তারা আশাকরি বুঝতে পারছেন।
টিউন লিঙ্ক: https://www.techtunes.io/programming/tune-id/669150

তাই নিজেদেরকে বিপদমুক্ত রাখার জন্য, বিশ্বের দরবারে আমাদের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির একটা ভালো ইমেজ তৈরী করার জন্য, সর্বোপরি লো কোয়ালিটির ডেভলপারদের বদলে হাই কোয়ালিটির এফিসিয়েন্ট ডেভলপার তৈরির জন্য এবং ফিউচার টেক ওয়ার্ল্ডে নিজেদের ক্যারিয়ার সেইফ রাখার জন্য, আমাদের উচিৎ হবে বাংলাদেশে এই Sl3 এর জন্য মার্কেটিং তথা তুমুল প্রচার-প্রচারণা চালানো। .

কারণ, যদিও এটা খুব ভালো একটা প্রোডাক্ট এবং এই প্রোডাক্ট যথযথভাবে ইউজ করা গেলে দেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা রাতারাতি পাল্টে যেতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এর ব্যাপারে বলতে গেলে এখনো প্রায় কিছুই জানে না। অনেকে হয়ত Sl3 এর নাম জেনেছে, কিন্তু এর গুরুত্ব কি সেটা বুঝতে পারছে না। বরং আর দশটা সাধারণ ব্লগপোস্টের সাথে Sl3 ফ্রেমওয়ার্ককে কে গুলিয়ে ফেলছে। .

আর এ কারণেই এত সুন্দর একটা প্রজেক্ট হওয়া সত্ত্বেও খুব বেশি লোক এটাতে জয়েন করছে না। ফলে না এত ভাল আবিষ্কার করেও স্ট্যাক লার্নার দেশে কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে, আর না বাংলাদেশিরা বাংলা ভাষায় এত সুন্দর রিসোর্স পেয়েও সেটা থেকে উপকৃত হতে পারবে। ফলে যে লাউ সে কদুই থেকে যাবে। কিন্তু আমরা চাই না এসব লাউ কদু দিয়ে দেশটা ভরে যাক, আর বিদেশিরা এ লাউ কদুদের দেখে আমাদের ভালো ভালো ডেভলপারদেরও লাউ কদুই মনে করুক। তাই এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য মার্কেটিং মাস্ট। আর সে মার্কেটিং করতে হবে আপনাকে, আমাকে এবং স্ট্যাক লার্নার ফ্যামিলির প্রত্যেক ঐ সদস্যকে, অদূর ভবিষ্যতে যার লাউ-কদু হিসেবে আখ্যায়িত হবার ইচ্ছা নেই। .

এবার আসা যাক কিভাবে মার্কেটিং করব, কিভাবে মানুষকে Sl3 এর কথা জানাব এবং ফ্যামিলি মেম্বারদের সংখ্যা বাড়াব?নিচের লেখাটা ফলো করুন:.

প্রথমত, আমাদের ঠিক করতে হবে আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্স কারা। আমরা চাইলেই তো সবার কাছে বলতে পারি না যে, Sl3 তে জয়েন কর, এটা খুব ভালো। ব্যাপারটা অড লাগবে। .

যেমন ধরেন, আপনি কোনও মেডিকেলের স্টুডেন্টকে গিয়ে বললেন Sl3 তে জয়েন করতে। কিন্তু এতে কি তার কোনও লাভ হবে?যে মেডিকেলে পড়াশুনা করে তার প্রোগ্রামিং শেখার কি দরকার?

এক্ষেত্রে আপনি শুধুশুধুই তার পেছনে নিজের টাইম প্লাস ইফোর্ট নষ্ট করছেন। তাই আগে আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্সদের খুঁজে বের করতে হবে যে তারা কারা হবে?.

মূলত, তারা হচ্ছে সিএসই বা নন সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডেন্ট, যারা প্রোগ্রামিং করতে আগ্রহী। এছাড়া, যারা ফ্রিল্যান্সিং এ ঢুকতে চান, নিজের স্কিল ডেভলপ করতে চাচ্ছেন অথবা যারা আগে থেকেই প্রোগ্রামিং এ ছিলেন, কিন্তু ভুল গাইডলাইন পেয়ে বা গাইডলাইনের অভাবে নিজেদের সেক্টরে খুব একটা ভালো করতে পারেন নি, এখন আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করতে চান, তারাই হচ্ছেন আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্স। বাস্তবে তারা হচ্ছেন ঐসব লোক, যাদের Stack learner এর গাইডেন্স দরকার। আমাদের কাজ হবে এসব লোকদের Stack learner এর ব্যাপারে জানানো, বিশেষত তাদের Sl3 প্রজেক্ট সম্পর্কে, যেন তারা স্ট্যাক লার্নার ফ্যামিলিতে যুক্ত হয়ে যথাযথ গাইডেন্স পেয়ে উপকৃত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে টেক ওয়ার্ল্ডে ভালো একটা ক্যারিয়ার তৈরীর জন্য নিজেদের তৈরী করে নিতে পারে। .

এখন কথা হচ্ছে আমরা কীভাবে আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্সের কাছে পৌছাব। এক্ষেত্রে দুইটা ওয়ে আছে। অনলাইন আর অফলাইন। .

অফলাইনে যারা তাদের সাথে আমরা পার্সোনালি কথা বলে কনিভিন্স করতে পারি। আশাকরি আমাদের প্রত্যেকেরই পরিচিত কেউ না কেউ আছে যারা আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্সদের মধ্যে পড়েন। .

আর অনলাইনের কথা যদি বলি তবে অনালাইনে আমাদের হিউজ একটা স্কোপ আছে টার্গেটেড অডিয়ান্স খুঁজে বের করার। সেটা হচ্ছে ফেসবুক। বাংলাদেশে আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্স যারা তারা আর কোথাও এক্টিভ থাকুক বা না থাকুক, অন্তত ফেইসবুকে একটিভ থাকেন। বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ বিশেষত প্রোগ্রামিং, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড গ্রুপগুলোতে তাদের সরব পদচারণা আছে। এ গ্রুপগুলোতে আর যাই হোক, কেউ অন্তত সময় নষ্ট করার জন্য এড হয় না, সবাই কোনও না কোনও কাজেই এড হয়। তাই আমরা চাইলেই এ গ্রুপগুলোতে প্রচারের মাধ্যমে স্ট্যাক লার্নারের কথা, তাদের প্রজেক্টের কথা আমাদের টার্গেটেড অডিয়ান্সের কাছে পৌছে দিতে পারি। .

এবার কথা হচ্ছে কিভাবে আমরা তাদেরকে Sl3 তে যুক্ত হতে ইনকর্জ করব?আমরা যদি রেন্ডমলি বিভিন্ন গ্রুপে Sl3 framework এর বিজ্ঞাপণ দিতে থাকি তাহলে অনেকেই সেটাকে আলতু-ফালতু ব্লগপোস্ট মনে করে এড়িয়ে যাবে। কারণ এজাতীয় বিজ্ঞাপণ দেখে বাংলার ফেসবুকবাসী অভ্যস্ত। তাই টিপিক্যাল ওয়েতে মার্কেটিং এর চেষ্টা না করে আমাদের ইউনিক একটা এপ্রোচ ফলো করা উচিৎ। .

আমাদের মাথায় রাখতে হবে, আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ এখনও প্রোগ্রামিং মানে html টাইপ করাকেই মনে করে আর ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশনকে মনে করে ফুল স্ট্যাক ডেভলপমেন্ট। আর আমি অধিকাংশ মানুষ বলতে নন-সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ড স্টুডেন্ট বা নতুন যারা সেটা সিএসই নিয়ে পড়ালেখা করতে আগ্রহী তাদেরকে বুঝিয়েছি। আর যারা সিএসই নিয়ে পড়াশোনা করে তাদের ম্যাক্সিমামই মূলত সি, সি+, জাভার বেসিক জানা ছাড়া প্রোগ্রামিংয়ের ব্যাপারে তেমন কিছু জানে না বা জানার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না, যা পড়ে তা মূলত পরীক্ষায় পাশ করার জন্য পড়ে। এদের কাছেও ডেভলপার হবার উপায় হচ্ছে ছয়মাসের কোর্স করে কোনও একটা ফ্রেমওয়ার্ক শিখে সেটা দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া। এনাদেরকে আপনি Sl3 এর কথা বললে তারা কানেই তুলবে না। .

কারণ, প্রথমত তারা মনে করবে প্রোগ্রামিং স্পেসিফিকভাবে শেখার কোনও বিষয় নয়, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখলেই চলে। এদের আপনি ডেটা স্ট্রাকচার এলগরিদম শেখার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চাইবেন- এরা বুঝবে না। কারণ তাদের কোনও এক বড়ভাই তাদের বলেছেন ডেভলপার হইতে এগুলা লাগে না, তাদের আপনি ম্যাথ শেখার কথা বলবেন, এরা এমনভাবে আতঁকে উঠবে যেন ভুত দেখেছে, এদের আপনি ইংরেজিতে দক্ষ হবার কথা বলবেন, তারা আপনাকে গুগল ট্রান্সলেটরের ক্ষমতা বোঝাবে।

আপনি তাদের প্রবলেম সলভিংয়ের গুরুত্ব বোঝাতে যান, দেখবেন তারা এককথায় বলবে এগুলার কোনও গুরুত্ব নেই। .
আপনি গিয়ে এদের বলে দেখুন ডেভলপমেন্ট ছয়ামাসে শেখার কিছু না, বরং এজন্য বছরের পর বছরও লেগে যায়- তারা হাসবে। .

মোটকথা, তাদের মাইন্ডসেটই এমন তৈরি হয়ে গেছে যে তারা প্রোগ্রামিং মানেই ফ্রেমওয়ার্ক আর ল্যাংগুয়েজ শেখাকে মনে করছে। সেটার যথাযথ প্রয়োগ করে যে একটা স্মার্ট সিস্টেম ডেভলপ করতে হবে, আর সেজন্য যে ভালোভাবে প্রোগ্রামিং কনসেপ্টগুলা জানা দরকার, এ ব্যাপারটা তাদের মাথায়ই নেই। .

তাই তাদেরকে শুরুতেই যদি Sl3 এর কথা বলতে যাই তারা বলবে এটা এমনিই, এর কোনও গুরুত্ব নেই। শুধুই সময় নষ্ট। .
কারণ, তারা প্রোগ্রামিং, প্রবলেম সলভিং, ডেটা স্ট্রাকচার এগুলা শেখার গুরুত্বই বুঝতে পারছেন না। তারা এখনো এটা মনে করে বসে আছেন ওয়েবসাইটগুলো এখনো মান্ধাতা আমলের মত করে বোকা সফটওয়্যার হিসেবেই বানানো হয়, সেগুলার মধ্যে আর কোনও কমপ্লেক্সিটি আসেনি। তারা এখনো ওয়েবসাইট আর ওয়েব অ্যাপ এর মধ্যকার পার্থক্যই ধরতে পারছে না। .

তাই তাদেরকে প্রোগ্রামিং শিখতে বলার আগে এটা বুঝাতে হবে যে কেন প্রোগ্রামিং শেখাটা প্রয়োজনীয়, ভাল ডেভলপার হতে প্রোগ্রামিং এর গুরুত্ব কি। কেন প্রবলেম সলভিং এ দক্ষতা ছাড়া ৪০টা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানলেও লাভ নেই, কেন ডেটা স্ট্রাকচার জানতে হবে, সফটওয়্যার বানাতে এলগরিদমের জ্ঞাণ কিভাবে কাজে আসবে ইত্যাদি। .

আর এটা জানানোর জন্য সবচেয়ে ভালো ওয়ে হচ্ছে stack kotha বইটাকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া, কারণ এ বইটা লেখাই হয়েছে প্রচলিত ধ্যান ধারণাগুলোকে ভেঙে দেয়ার জন্য। তাই প্রোগ্রামিং এর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এর বইটা পড়ার বিকল্প নেই। .

আমার পার্সোনাল অপিনিয়ন হচ্ছে, Stack Kotha বইটার প্রচুর প্রচার ও প্রসার হোক। কেননা, যতদিন পর্যন্ত Stack kotha বইয়ের বক্তব্যের সাথে মানুষ একমত না হতে পারছে ততদিন পর্যন্ত তাদের পক্ষে Sl3 এর গুরুত্ব বোঝা সম্ভব না। আর যতদিন না মানুষ Sl3 এর গুরুত্ব অনুধাবন না করতে পারছে ততদিন পর্যন্ত তারা এর সাথে যুক্ত হবে না, এটাই স্বাভাবিক।

এজন্য এ বইয়ের রিভিউগুলো বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে, বিভিন্ন প্রোগ্রামিং কমিউনিটিতে ছড়িয়ে দেয়া উচিৎ, যেন মানুষ বইটা পড়তে আগ্রহী হয়। এছাড়া সম্ভব হলে বইয়ের সংক্ষিপ্ত মূলবক্তব্য আর্টিকেল আকারে লিখে বিভিন্ন কমিউনিটিতে, হোক সেটা ফেসবুক গ্রুপ, পেইজ কিংবা ব্লগ, পৌছানো উচিৎ। কারণ, অনেকেই আছেন যারা আস্ত বই পড়ার আগ্রহ রাখেন না, তাদের জন্য বইয়ের মূলবক্তব্য জানাটাই যথেষ্ট। .

আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের মধ্যে নিজেদের চিন্তাধারাটা ছড়িয়ে দেয়া, আর এজন্য প্রয়োজন উক্ত চিন্তাধারার উপর প্রচুর লেখালেখি, যেন সেটা আমাদের টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌছে যায়। একবার যখন মানুষ Stack Kotha বইটার মূলবক্তব্যের সাথে একমত হয়ে যেতে শুরু করবে তখন আর আমাদের Sl3 এর ইম্পর্টেন্স নিয়ে আলাদা প্রচারের দরকার হবে না, মানুষ নিজে থেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারবে। তখন তারা নিজেরাও এর সাথে যুক্ত হবে এবং বাকিদের জন্যও সেটা রিকমেন্ড করবে। .

তবে এরমানে এই নয় যে আমরা Sl3 নিয়ে কথা বলব না। বরং Stack Kotha বইটার পাশাপাশি Sl3 নিয়েও আমাদের লেখালেখি করতে হবে বিভিন্ন কমিউনিটিতে। যেন মানুষ এর ব্যাপারে অল্পবিস্তর ধারণা লাভ করতে পারে। কারণ, যখন মানুষ Stack Kotha বইয়ের মূলবক্তব্যের সাথে একমত হবে তখন থেকেই তারা রিসোর্স খুজতে থাকবে প্রোগ্রামিং শেখার। আর তখন যদি তাদের Sl3 এর কথা জানা না থাকে তখন হিউজ সম্ভাবনা আছে তারা কোনও পচা শামুকে পা কাটবে। তাই, Stack Kotha আর Sl3 দুইটারই সমান তালে প্রচারণা চালাতে হবে। .

এতক্ষণ আমি কেবল অন্যান্য কমিউনিটির কথাই বললাম। কারণ, সেখানে প্রচার প্রসার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এগুলা খুব একটা ইম্পর্টেন্ট না। বলতে পারেন এগুলা যাস্ট এডভার্টিসমেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এগুলো আপনার অনুষ্ঠানের এডভার্টিসমেন্ট হিসেবে কাজ করবে ঠিকই কিন্তু এদের মাধ্যমে মানুষ সরাসরি অনুষ্ঠান দেখবে না। বরং অনুষ্ঠান দেখতে হলে মানুষকে আপনার নিজেস্ব চ্যানেলেই সেটা দেখতে হব্র। তাই প্রচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে আপনার চ্যানেল, আপনার নিজেস্ব চ্যানেল। .

আর এক্ষেত্রে আমাদের নিজেস্ব চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে আমাদের নিজেস্ব কমিউনিটি। তাই, এ কমিউনিটি যদি ভালো না হয়, তবে আপনার সমস্ত প্রচার প্রচারণা মাঠে মারা যাবে। .

কারণ দেখা গেল, একজন মানুষ অন্যান্য কমিউনিটিতে আমাদের ব্যাপারে জেনে আমাদের সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে আগ্রহী হল। কিন্তু আমাদের কমিউনিটিতে এসে দেখল তাতে মাছি উড়ছে, কারও তেমন রেসপন্স নেই, কোনও সাজসাজ রব নেই। তাহলে তার রিয়েকশনটা কি হবে?
তাই ভালো একটা কমিউনিটি তৈরি করার বিকল্প নেই। .

আমাদের মাথায় রাখতে হবে, এট দ্য ইন্ড অফ দ্য ডে, এ কমিউনিটিগুলো অন্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, আমাদের নিজের না। অন্যান্য কমিউনিটিগুলোতে আমরা চাইলেও আমাদের চিন্তাধারা ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারব না, চাইলেই সবাইকে Sl3 এর ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারব না। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন হবে নিজেদের একটা কমিউনিটি বিল্ড করা, যেটার উপর আমাদের ফুল কন্ট্রোল থাকবে। অন্যান্য কমিউনিটির সাথে নিজেদের কমিউনিটির পার্থক্য হচ্ছে এটাই, আমাদের নিজেদের কমিউনিটি আমাদের আফিশিয়াল চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে, যেখানে আমাদের সমস্ত চিন্তাগুলো লাইভ সম্প্রচার করা হবে, এখানে আমরা যা ই লেখব, সেটা হবে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের মত, বিস্তারিত। কিন্তু অন্যান্য কমিউনিটিতে আমরা যাই লেখি না কেন, সেগুলা হবে এডভার্টিসমেন্টের মত। আর আশাকরি আমার বলে দিতে হবে না, লাইভ অনুষ্ঠান আর সে অনুষ্ঠানের অডভার্টিসমেন্টের মধ্যে পার্থক্য কি!.

একটা কথা মাথায় রাখবেন, চ্যানেলে যত ভালো ভালো অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে, তত বেশি বেশি লোক সে চ্যানেল দেখতে আগ্রহী হবে। তেমনি, কমিউনিটি যত বেশি রিচ হবে, তত বেশি মানুষ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে আগ্রহী হবে। .

এখন, আমাদের কমিউনিটি বলতে ফেসবুকে একটা পেইজ আছে, আর আছে একটা গ্রুপ।
কিন্তু আমি এক্ষেত্রে পেইজের চেয়ে গ্রুপকে এগিয়ে রাখছি। কারণ ট্রাস্ট বিল্ড করতে মানুষে মানুষে ইন্টারেকশন দরকার। আর পেইজে যত না মানুষে মানুষে ইন্টারেকশন হয়, তারচেয়ে অনেক বেশি হয় গ্রুপে। .

এই মুহুর্তে স্ট্যাক লার্নারের ফেইসবুক গ্রুপে প্রায় ৮ হাজারের মত মেম্বার যুক্ত আছেন, অথচ Sl3 তে যুক্ত আছেন মাত্র হাতেগোণা কয়েকজন। .

অথচ Sl3 যে লেভেলের প্রজেক্ট, হিসাবে সেটাতে অন্তত এ গ্রুপ থেকেই অন্তত ১০০০ জনের যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হয় নি। এর কারণ কি?.

অনেকে এ নিয়ে অনেক কথা বলবেন, কিন্তু আমার মনে হয় Sl3 নিয়ে গ্রুপে যে পরিমাণ ডিসকাশন হওয়ার দরকার ছিল তার সিকিভাগও করা হয় নি। খালি নাঈম ভাই টিউন করেছেন আর বাকিরা টিউনের নিচে টিউমেন্ট করে ডিসকাশনের সমস্ত কাজ শেষ করে ফেলেছেন। কেউ নিজে থেকে গ্রুপে Sl3 নিয়ে টিউন করেছেন, এর ভালো মন্দ, সম্ভাবনা-ব্যর্থতা নিয়ে টিউন করেছেন, ডিসকাস করেছেন- এ উদাহরণ খুব কম। আর তাই Sl3 তে জয়েন করা লোকদের সংখ্যাও এত কম। .
কারণ খোদ গ্রুপের সদস্যদেরই অনেকে হয়তো ব্যাপারটা জানেন না অথবা এর গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। .

আমরা যদি বাদবাকি সমস্ত কমিউনিটি বাদ দিয়ে শুধু এনাদের পিছনেও নিজেদের যথাযথ ইফোর্ট লাগাই, তাহলেও আমরা সবার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রেসপন্স পাব। .

এজন্য আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হল গ্রুপটাকে শুধু একটা টিপিক্যাল ফেসবুক গ্রুপ বানালেই চলবে না, বরং এটাকে ফ্যামিলির সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট অংশে পরিণত করতে হবে। সেটাকে বানাতে হবে আমাদের চিন্তাধারা প্রকাশের মাধ্যম, একটা চ্যানেল। .

এটা শুধু এমন একটা গ্রুপ হলে চলবে না যেটাতে মানুষ কেবল হেল্প টিউন করবে, বরং গ্রুপের কার্যক্রম হতে হবে এরচেয়ে অনেক, অনেক বিস্তৃত। .
মনে করেন কেউ একটা ফেসবুক গ্রুপে ঢুকল, যেটার মধ্যে দিনে চার পাচটা করে টিউন হয়, তার প্রায় বেশিরভাগই হেল্প টিউন- এই গ্রুপটাকি তার ভালো লাগবে?

না এমন একটা গ্রুপ, যে গ্রুপে দিনে অনেকগুলা টিউন হয়, যেগুলার মধ্যে বেশিরভাগই হয় প্রোগ্রামিং, নতুন প্রযুক্তি, বিভিন্ন রিসোর্স শেয়ার, প্রচলিত ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া, রিভিউ - এসব নিয়ে। তাহলে লোকটার কাছে কোন গ্রুপটা বেশি ভালো লাগবে? অবশ্যই দ্বিতীয় গ্রুপ। কারণ ইউজার এক্সপিরিয়ান্সেরও একটা ব্যাপার আছে। .

একটা সোজা কথা বলে রাখি, আপনার ফেসবুক গ্রুপে চাইলে ৫০হাজার লোক থাকতে পারে, কিন্তু গ্রুপটা যদি সচল গ্রুপ না হয়, গ্রুপের সদস্যরা যদি আপনার মত করে চিন্তা না করে, তবে প্রয়োজনের সময় তাদের ৫০ জনের থেকেও রেসপন্স পাবেন নাকি সন্দেহ। .

আন্যদিকে, যদি আপনার গ্রুপটা সচল হয়, যদি সেটার সদস্যরা আপনার চিন্তাধারার সাথে পরিচিত থাকে, আপনি যেভাবে চিন্তা করেন সেভাবেই চিন্তা করে থাকে, তবে আপনার গ্রুপে মাত্র ৫০০ জন মেম্বার থাকলেও কুছ পরোয়া নেহি কারণ, আপনার প্রয়োজনের সময় ৫০০ জনের ৫০০ জনই আপনার জন্য এগিয়ে আসবে। কারণ, এখানে আপনার মেম্বারদের কোয়ান্টিটি না, বরং কোয়ালিটি ম্যাটার করে। আপনার দরকার এমন পটেনশিয়াল মেম্বার, যারা দরকারের সময় এগিয়ে আসবে। এমন নন-পটেনশিয়াল মেম্বার না, যারা নির্জীব হয়ে পড়ে থাকবে। .

তাই আমাদের উচিৎ হবে গ্রুপের মেম্বারদের পটেনশিয়াল মেম্বারে পরিণত করা। আর এজন্য গ্রুপটাকে একটা সচল গ্রুপ, একটা সরব চ্যানেলে রুপান্তরিত করার কোনও বিকল্প নেই। তা এবার আসি, কিভাবে গ্রুপটাকে সচল করব সে বিষয়ে। .
গ্রুপকে সচল করতে হলে এখানে নিয়িমিতভাবে বিভিন্ন লেখা টিউন করতে হবে, বিশেষত এমন লেখাগুলো, যে লেখাগুলো স্ট্যাক লার্নারের মূল চিন্তাধারাকে প্রকাশ করে।

যেসব টপিক নিয়ে লেখা দেয়া যায় এমন কয়েকটা টপিক হচ্ছে: প্রোগ্রামিং, প্রবলেম সলভিং, প্রচলিত বিভিন্ন প্রোগ্রামিং মিথ ও তার গলদ, প্রোগ্রামিং রিলেটেড বিভিন্ন টপিক, বিভিন্ন ধরনের ডেটা স্ট্রাকচার, এলগরিদম, প্রোগ্রামিং এক্সপিরিয়ান্স, বিভিন্ন কনফিউশনের প্রশ্নোত্তর, রিলেটেড বুক রিভিউ, ব্লগপোস্ট এন্ড মাচ মোর। এতে করে লাভের লাভ এটা হবে, গ্রুপের মেম্বাররা প্রচলিত চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসবে, তাদের থেকে এমন একটা প্রজন্ম তৈরি হবে যারা ডলার নয় বরং স্কিলের পেছনে ছুটবে। পাশাপাশি আমাদের গ্রুপটা একটা সচল কমিউনিটিতে পরিণত হবে, যেটা তার মেম্বারদের সঠিক গাইডলাইন দিতে সক্ষম। .

তবে একাজ বলা যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। কারণ একটা ভালো আর্টিকেল লেখতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যায়। এত সময় নিয়ে লেখার ধৈর্য্য কিংবা আগ্রহ খুব কম লোকেরই থাকে। এই যে লেখাটা আমি লেখছি, এটা প্রায় আমার দেড়দিন লেগেছে শেষ করতে, একপর্যায়ে এসে বিরক্তি এত বেড়ে গিয়েছিল যে ইচ্ছা করছিল সব এখনই ডিলিট করে ফেলে দেই। .
বাকিদেরও এমনটা লাগতে পারে। তাই তাদের এমন কোনও রিজন দিতে হবে, যেন তারা লেখাটা লিখতে আগ্রহী হয়। .

সেক্ষেত্রে যেটা করা যেতে পারে, সেটা হচ্ছে উপরোক্ত বিভিন্ন টপিকে লেখালেখির জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে, বিভিন্ন বিষয়ে রিভিউ লেখার আয়োজন করা যেতে পারে। আর যারা লেখা দিবেন, বাকিদের উচিৎ হবে তার ইফোর্টকে, তার লেখাগুলোকে এপ্রিশিয়েট করা। এছাড়া কেন লেখালেখি করা একজন ভালো প্রোগ্রামারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেটা নিয়েও টিউন করা যেতে পারে। .

এতে করে লেখালেখির ব্যাপারটার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করা যাবে। আর তাছাড়া একটা মানুষ যত লেখালেখি করবে, তত সে ঐ ব্যাপারে বেশি জানতে পারবে। ফলে যে লেখবে সেটা তার নিজের জন্যও ভালো হবে। .

এছাড়া, স্ট্যাক লার্নারের বিভিন্ন ব্লগপোস্টের বা বইয়ের অংশবিশেষ নাঈম ভাইয়ের অনুমতি সাপেক্ষে টিউন করা যেতে পারে। এতে করে গ্রুপে লেখার পরিমাণ বাড়বে। তাছাড়া, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নির্দিষ্ট সময় পরপরই রিটিউন করতে হবে, আই রিপিট, একবার দুইবার নয়, বরং নির্দিষ্ট সময় পরপরই, যেন সেগুলোর ব্যাপারে মানুষ ভুলে না যায়। অর্থাৎ মানুষকে রিমাইন্ডার দিতে হবে, যেন গ্রুপের প্রত্যেকটা পুরাতন ও নতুন মেম্বার গ্রুপের চিন্তাধারার সাথে পরিচিত থাকে। .

উদাহরনস্বরুপ বলা যায়, এর আগে Stack Kotha বইটার যে রিভিউগুলো এসেছিল সেগুলো পুনরায় রিটিউন করা যেতে পারে। অবশ্যই এ কাজ এডমিন মডারেটরদেরই করতে হবে। .

আরেকটা কাজ যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে, মাঝেমধ্য নাঈম ভাই বিভিন্ন টাইটেলের টপিক দিয়ে সেটার উপর লেখালেখির প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন। যেমন নাঈম ভাই হয়তো একটা টিউন দিয়ে " প্রোগ্রামিং শেখার জন্য গণিতের গুরুত্ব কি বা কেন ছয়মাসে ওয়েব ডেভলপার হওয়া সম্ভব না"- এই টপিকে সবাইকে লেখা দিতে বললেন, যারা ভালো লেখবে তাদের লেখা স্ট্যাক লার্নারের ফেসবুক পেইজে ক্রেডিটসহ আপলোড হবে। .

এভাবে ভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একদিকে যেমন অনেক লেখা জমা হতে থাকবে, তেমনি মেম্বারদের লেখালেখির প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে, লেখালেখির ব্যাপারে জড়তা কেটে যাবে। ফলে Stack learner ফেসবুক গ্রুপটি একটি সচল কমিউনিটিতে পরিণত হবে প্লাস এর মেম্বাররাও একেকজন পটেনিশিয়াল মেম্বারে পরিণত হবে। .

আরেকটা কাজ করতে হবে, গ্রুপে একটা পিন টিউন রাখতে হবে, যাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলোর লিঙ্ক থাকবে, যাতে কেউ কোনও গুরুত্বপূর্ণ লেখা হারিয়ে ফেললে সেটা পরে খুঁজে নিতে পারে। সে পিন টিউন প্রতিনিয়ত আপডেট হবে, যেখানে মেম্বারদের প্রায়ই নতুন নতুন লেখার লিংক যুক্ত হবে। বলতে পারেন, এটা স্কুলের বাৎসরিক ম্যাগাজিনের মত কাজ করবে। এখন অনেকে হয়ত বলবেন পিন টিউন না করে ব্লগে আপলোড করলেই হয়। কিন্তু আমি বলব ব্লগের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের ফেসবুকেই আগ্রহ বেশি। তাই আমাদের এখানেই জোড় দেয়া উচিৎ। অবশ্য চাইলে ব্লগ ফেসবুক দুই জায়গাতেই টিউন দেয়া যেতে পারে। .

মোটকথা, আমি আবারও বলছি, আমাদের এ গ্রুপটাকে সচল, তথ্যবহুল একটা কমিউনিটিতে রুপান্তর করতে হবে, যার মাধ্যমে Stack learner এর কাজগুলো অন্যান্য কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়বে, ভালো প্রচার হবার জন্য এর কোনও বিকল্প নেই। আর আমি আশা করছি, এ টিউনে যে কাজগুলোর ব্যাপারে বলা হয়েছে, ঠিকঠাক কাজগুলো করতে পারলে খুব সহজেই আমরা আমাদের কাজে সফল হতে পারব। .

Level 0

আমি মো সজিব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস