আসসালামুআলাইকুম, আবারও “ডিজিটাল জোন” এর পাতায় আপনাদের স্বাগতম। কিউবেসিক হল প্রোগ্রামিং ভাষার ব্যাকরণ। এই ব্যাকরণের উপর আমার ধারাবাহিক টিউনের আজ এর তৃতীয় পর্ব। এর আগে আমি কিউবেসিকের উপর দু’টি পর্ব লিখেছিলাম। যারা উক্ত পর্বগুলো অবলোকন করেন নাই তারা ওগুলো দেখতে পারেন।
আপনারা হয়ত বলবেন এটি শিখে কোন লাভ নেই। ভুল, সবই ভুল। ব্যকরণ না জানলে পড়বেন কি করে, লিখবেন কি করে?? লেখা ও পড়ার জন্যই ব্যাকরণ শিখতে হবে। খামোখা বকবক না করে চলুন আজকের টুইটে যাই।
আপনারা নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন আজকের পর্ব কি কি থাকছে! আজকের পর্বে থাকছে ধ্রুবক, চলক, নিয়ে আলোচনা। “ডিজিটাল জোন” চেষ্টা করবে আপনাদের কাছে সুন্দর ও বোধ্যগম্যভাবে লেখা লেখবার।
প্রোগ্রামে কাজ করার সময় যার মান পরিবর্তন হয় না তাকেই ধ্রুবক বলে। কুইকবেসিকে দু’ধরনের ধ্রুবক ব্যবহৃত হয়। যথা-
১. সংখ্যা ধ্রুবকঃ ০ থেকে ৯ পর্যন্ত গঠিক ধ্রুবককেই সংখ্যা ধ্রুবক বলে। এটি ধনাত্মক ও ঋণাত্মক উভয়ই হতে পারে। সংখ্যা ধ্রুবক ৫ প্রকার। যথা-
1. পূর্ণ সংখ্যা ধ্রুবকঃ এই ধ্রুবকে -৩২৭৬৪ এবং +৩২৭৬৭ এর মধ্যে যে কোন পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে। এই ধ্রুবকে দশমিক মান থাকে না। যেমসঃ ১০, -১২৩, ৫৭০০, -৩২০০০ ইত্যাদি।
2. স্থির ধ্রুবকঃ এই ধ্রুবকে ধণাত্মক ও ঋনাত্মক উভয় মান থাকতে পারে। তবে এখানে দশমিক বিন্দু থাকে। যেমনঃ ১২.৮, ৮২৬, -২০৬৪২, ৩০৪৮২.৯ ইত্যাদি।
3. সূচকীয় ধ্রুবকঃ এই ধ্রুবকে ধণাত্মক ও ঋনাত্মক উভয় মান থাকতে পারে। এই রকম সংখ্যা ১০ এর সূচক হিসেবে লেখা হয় এবং E অক্ষর দ্বারা বুঝানো হয়। যেমনঃ 3.427E+6, 3.427*106 =3427000 । এখানে E দিয়ে ১০ এর সাথে যে সুচক সংখ্যাটি থাকে তার মান লেখা হয়। সূচক সংখ্যাটি ধনাত্মক হলে E এর পরে (+) এবং ঋণাত্মক হলে (-) চিহ্ন বসে।
4. অকটাল ধ্রুবকঃ এই ধ্রুবকে অকটাল নাম্বারের পূর্বে &0 এবং & ব্যবহৃত হয়। যেমন- &0347, &1234 ইত্যাদি।
5. হেক্সাডেসিমেল ধ্রুবকঃ এই ধ্রুবকে হেক্সাডেসিমেল নাম্বারের পূর্বে &H ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ &H76, &H32F ইত্যাদি।
একক দৈর্ঘ্য ও দ্বি-দৈর্ঘ্য ধ্রুবকঃ
1. এই ধ্রুবকে সাত বা এর নিচের সংখ্যা ব্যবহৃত হয়।
2. এই ধ্রুবকে E ব্যবহার করা হয়।
3. ধ্রুবকের শেষে (!) ব্যবহার করা হয়।
1. ৭ এর উপরে ও ১৭ এর নিচের সংখ্যা ব্যবহৃত হয়।
2. সূচকের ক্ষেত্রে D ব্যবহৃত হয়।
3. ধ্রুবকের শেষে # চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। উদাহরণঃ ১২৩৪৫৬৭৮৯#
২. অক্ষরমালা বা স্ট্রিং ধ্রুবকঃ অনেকগুলো বর্ণের সমষ্টিকেই অক্ষরমালা বা স্ট্রিং ধ্রুবক বলে। এই ধ্রুবকে ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত অক্ষর বা চিহ্ন থাকা সম্ভব। স্ট্রিং ধ্রুবকের আগে ও পরে কোটেশন (“”) ব্যবহার করতে হয়।
প্রোগ্রামে কাজ করার সময় যার মান পরিবর্তন হয় তাকেই চলক বলে। চলকের একটি নাম দিতে হয় ও নাম ৪০ সর্বোচ্চ অক্ষরের মধ্যে হতে হবে। নামের প্রথম অক্ষর বর্ণ হতে হবে। চলকের একটি মান দিতে হবে। আপনি মান না দিলে প্রোগ্রাম এটির মান শূণ্য ধরে নিতে হবে। কিউবেসিকে তিন ধরনের চলক আছে। যথা-
1. সংখ্যা চলকঃ যে চলকের মান সংখ্যায় হয় তাই সংখ্যা চলক। এই চলকের মান প্রোগ্রামারের দিতে হয় ও না দিলে কম্পিউটার নির্ধারণ করতে পারে। চলকের নামের প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য চলকের নামের শেষে একটি অক্ষর ব্যবহার করতে হয়। এই অক্ষরগুলোকে টাইপ ডিক্লেয়ারেশন অক্ষর বলে।
$ (স্ট্রিং চলক), % (পূর্ণসংখ্যার চলক),! (একক দৈর্ঘ্যের চলক, #(দ্বি-দৈর্ঘ্যের চলক)।
যেমনঃ A, C20, ABCD, CODNO%
প্রোগ্রাম সংক্ষেপের জন্য সংখ্যা চলকের নাম এক অক্ষর বা কোন কোন ক্ষেত্রে দু’অক্ষর দেয়া যাবে। এজন্য ইংরেজি বর্ণমালা ও 0 থেকে 9 পর্যন্ত সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। যেমন- A, 1, A1 ইত্যাদি।
2. অক্ষরমালা বা স্ট্রিং চলকঃ যে চলক শুধু বর্ণ ও শব্দ দিয়ে গঠিত তাকেই স্ট্রিং চলক বলে। কোন কিছুর নামই স্ট্রিং চলক। এক্ষেত্রে চলকের নামের সাথে একটি $ চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন- NAME->N$, ADDRESS -> A$, SEX ->S$ ইত্যাদি। ফিল্ডের নামের অধ্যক্ষর ব্যবহার করাই ভাল তবে এক রকম নাম হলে আরও কয়েকটি অক্ষর ব্যবহার করতে হবে। তবে ফিল্ডের নাম যাই রাখা হোক না কেন বেসিকে ব্যবহৃত শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন- READ, PRINT, INPUT, DIM ইত্যাদি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আশা করি আগামি পর্বে দেখা হবে.........
3. বিন্যাস চলকঃ কতকগুলো চলকের সমষ্টিকেই বিন্যাস চলক বলে। এটি এক মাত্রা বা দ্বি-মাত্রার হতে পারে। যেমন- A(10) এটি এক মাত্রার উদাহরণ, A(1,0) এটি দ্বি-মাত্রার উদাহরণ। এক্ষেত্রে চলকের সাথে যে সাবকস্ক্রীপ্ট ব্যবহৃত হয় সেটি বন্ধনীর ভিতর হতে হবে এবং তা সংখ্যা হতে হবে। সংখ্যাটি ৩২৭৬৭ এর মধ্যে হতে হবে।
আমি দি ডিজিটাল জোন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 148 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
“যে পারে সে নিজে নিজে করে, আর যে পারে না সে শিখায়” “অভিজ্ঞতা তাই শিখায়, যা আমাদের শিখা উচিত”