অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কি? অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কিভাবে ডেভেলপ করব? অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে সম্পূর্ণ টিউটোরিয়াল।

টিউন বিভাগ অ্যান্ড্রয়েড
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। এই টিউনে আমি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা করার আগে বলে নেই এটা নিয়ে আমার লেখার যোগ্যতা কতটুকু। আমি প্রায় ১ বছরের মত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করছি। বেশ কিছু অ্যাপ বানিয়েছি আমি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অ্যাপ প্লেস্টোরে ছাড়া হয়নি। আমি সফটওয়্যার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়েও কাজ করি। অনেক প্রোজেক্ট নিয়ে এক সাথে কাজ করার কারনে প্লেস্টোরে অ্যাপ ছাড়ার মত সময় পাইনি। তবে খুব শীঘ্রই কিছু অ্যাপ প্লেস্টোরে দাওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি একটি সফটওয়্যার কোম্পানী তে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে পার্ট টাইম জব করছি। ফেসবুকে অনেকেই আমার কাছে জানতে চান যে কিভাবে অ্যাপ ডেভেলপ করা যায়। তাই ভাবলাম এটা নিয়ে একটা বিস্তারিত টিউন লিখে ফেলি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কি? মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করা। আগে জেনে নেই অ্যান্ড্রয়েড কি। অ্যান্ড্রয়েড হচ্ছে লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে বানানো একটি অপারেটিং সিস্টেম। এই সিস্টেমের কোড জাভা,সি এবং সি++ দিয়ে লেখা হয়েছে।  Andy Rubin, Rich Miner, Nick Sears, Chris White এই ৪জন মিলে প্রথম ২০০৩ সালে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন। এরপর ২০০৫ সালে গুগল এটি কিনে নেয়। ২০০৮ সাল থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন মার্কেটে আসে।

 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কিভাবে ডেভেলপ করব? অনেকেই আমার কাছে জানতে চান কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সহজে ডেভেলপ করা যায়। আসলে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার তেমন কোন সহজ উপায় নেই। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করা কিছুটা কঠিন। প্রোগ্রামিং নিয়ে কোন ধারনা না থাকলে এবং কোন কষ্ট ছাড়াই অ্যাপ তৈরি করতে চাইলে অনলাইনে কিছু ওয়েবসাইটে অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারেন। https://www.appsgeyser.com https://ibuildapp.com https://www.appypie.com/android-app-builder  এরকম আরো কিছু সাইট আছে। মোবাইলের জন্য কিছু “apk creator” অ্যাপ আছে যা দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারবেন। প্লেস্টোরে “apk creator”  লিখে সার্চ করলেই এমন অ্যাপ পাবেন। তবে ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ দিয়ে ভাল কোন অ্যাপ বানাতে পারবেন না। ছোট এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপ বানাতে পারবেন। ভাল অ্যাপ বানাতে হলে আপনাকে IDE (Integrated Development Environment) এ প্রোগ্রামিং করে বানাতে হবে।

 

প্রোগ্রামিং করে অ্যাপ ডেভেলপ করার বেশ কিছু উপায় আছে। কোন কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারবেন? Java (using Android SDK), Kotlin (using Android SDK), C/C++ (using Android NDK), C# (using Xamarin SDK), Basic (using B4A IDE), LUA (using Corona SDK), HTML/CSS/Javascript (using Phonegap) এসব ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপ করা যায়। প্রোগ্রামিং ব্যাপারে যদি ধারনা না থাকে তাহলে এই কঠিন শব্দগুলো দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এগুলোর যে কোন একটা ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপ করলেই হবে। প্রোগ্রামিং ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য আমার লেখা এই টিউন https://www.techtunes.io/programming/tune-id/486853  দেখতে পারেন। আমি Java এবং C# ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপ করেছি। আমার কাছে জাভা দিয়ে ডেভেলপ করাটাই বেশি ভাল মনে হয়েছে। কারন জাভা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য গুগলের অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ। অর্থাৎ জাভা দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপ করলে আপনি গুগলের অনেক সাপোর্ট পাবেন। এছাড়াও কিছুদিন আগে গুগল Kotlin কে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য Secondary Official Language হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু আমি Kotlin নিয়ে কাজ করিনি। আমি এই টিউনে জাভা দিয়ে কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করা যায় সেটা বিস্তারিত বলব।

 

অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও তে জাভা তে কোড করে এবং Android SDK ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপ করা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। কারন আগেই বলেছি এটি অ্যাপ ডেভেলপ করার অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন হবে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও। অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও অনেক ভারী একটি সফটওয়্যার। অর্থাৎ এটি সাইজে অনেক বড় এবং র‍্যামের প্রচুর জায়গা দখল করে নেয়। প্রথমে https://developer.android.com/studio/index.html এই লিঙ্ক থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড হয়ে গেলে ইন্সটল করুন। ইন্সটল করার প্রোসেস বিস্তারিত বলছি না। কারন তাহলে টিউন অনেক বড় হয়ে যাবে। ইন্সটল করতে না পারলে গুগলে সার্চ করে অথবা ইউটিউবে ভিডিও দেখে ইন্সটল করে নিন। অথবা আমাকে ফেসবুকে নক করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এখানে একটা জিনিস মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হচ্ছে অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও সি ড্রাইভ বাদে অন্য ড্রাইভে ইন্সটল করবেন। আপনার সিস্টেমে যদি একটাই ড্রাইভ অর্থাৎ শুধু সি ড্রাইভ থাকে তাহলে ইন্সটল করুন সমস্যা নেই। কিন্তু সি বাদে আরো ড্রাইভ থাকলে অবশ্যই অন্য ড্রাইভে ইন্সটল করুন। কারন অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও নিজেই অনেক জায়গা নেয়। এরপর এটি Android SDK, Gradle ডাউনলোড করবে যেটা ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ঠিক মতো কাজ করবে না। SDK & Gradle এর সাইজও অনেক বেশি। ফলে এটি ড্রাইভের প্রচুর জায়গা দখল করে নেয়। আপনি সি ড্রাইভে ইন্সটল করলে ড্রাইভের জায়গা অনেক কমে যাবে। আর সি ড্রাইভে কম জায়গা থাকলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। তাই আবারো বলছি সি ড্রাইভ বাদে অন্য ড্রাইভে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ইন্সটল করার চেষ্টা করবেন।

 

অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ফ্রী সফটওয়্যার। এটি ইন্সটল করার পর লাইসেন্স কী অথবা ক্র্যাক করার ঝামেলা নেই। ইন্সটল করার পর অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ওপেন করুন। আপনাকে Android SDK (Standard Development Kit) ডাউনলোড করতে বলবে। Android SDK এর কাজ হচ্ছে আপনি কম্পিউটারে যে কোড লিখবেন সেটা মোবাইলে রান করার উপযোগী করে তোলা। SDK ছাড়া আপনার কোড মোবাইলে চলবে না। তাই এটি ডাউনলোড করতেই হবে। Android SDK এর সাইজ প্রায় ৫ গিগাবাইটের উপরে। তাই এটি ডাউনলোড হতে অনেক সময় লাগবে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। কারন এটা শুধু প্রথমবার ডাউনলোড হবে। এরপর থেকে এই ঝামেলা আর নেই। আপনি যদি C/C++ দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপ করতে চান তাহলে আপনাকে Android NDK (Native Development Kit) ও ডাউনলোড করতে হবে। SDK ডাউনলোড হয়ে গেলে আবার অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ওপেন করুন। এবার আপনাকে একটি নতুন প্রোজেক্ট খুলতে বলবে। আপনার পছন্দ মত একটি নাম দিয়ে প্রোজেক্ট খুলুন। মনে রাখবেন আপনি প্রোজেক্টের যে নাম দিবেন আপনার অ্যাপের নামও সেটাই হবে। এখানে API (Application Program Interface) Level এর একটা ব্যাপার আছে। API Level অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ভার্শন কে বোঝায়। এখানে আপনি যেটা সিলেক্ট করবেন আপনার অ্যাপ তার নিচের ভার্শন গুলো তে সাপোর্ট করবে না। আপনি মনে করতে পারেন API Level 1 দিয়ে কাজ করলেই তো হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে API Level যত কম দিবেন আপনার অ্যাপের ফিচার তত কমতে থাকবে কারন নিচের API ভারসশন গুলো তে অনেক ফিচার সাপোর্ট করে না। তাই আপনার অ্যাপের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি Standard API Level select করুন। আমি সাধারনত API Level 19 এ কাজ করি। প্রোজেক্ট খোলার সময় কোন কিছু না বুঝলে শুধু Next দিয়ে যান এবং Finish এ ক্লিক করুন। এরপর লোডিং হতে থাকবে। এখানেও বেশ কিছু সময় লাগবে। কারন এখন Gradle ডাউনলোড হবে। Gradle এর সাইজ ৩০০ মেগাবাইটের উপরে। তাই ডাউনলোড হতে কিছুটা সময় লাগবে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। কারন এটা শুধু প্রথমবার ডাউনলোড হবে। পরের প্রোজেক্ট গুলো ওপেন করার সময় আর কিছু ডাউনলোড করা লাগবে না। Gradle ডাউনলোড হয়ে গেলে আপনার প্রোজেক্ট ওপেন হবে এবং দেখবেন যে লোডিং হচ্ছে। এখন আর কিছু ডাউনলোড করার দরকার নেই। এই লোডিং Gradle Sync এর কারনে হচ্ছে। প্রোজেক্ট ওপেন করলে সবসময় Gradle Sync হবে। এর মাধ্যমে আপনার প্রোজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় সব ফাইল রেডি হবে এবং আপনি কোড করতে পারবেন। Gradle Sync শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনার প্রোজেক্টে কোন ভুল থাকলে (কোডে ভুল থাকলে অথবা Android SDK/Gradle ঠিক মত ইন্সটল না হলে) আপনাকে Error message দেখাবে। আপনি Error message টি কপি করে গুগলে সার্চ করলেই সমাধান পেয়ে যাবেন। প্রথমবার প্রোজেক্ট সেটাপ করাটা কিছুটা ঝামেলা। কারন অনেক রকম Error এই সময় দেখাতে পারে। ধীরে ধীরে সব সলভ করুন। আর না পারলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। প্রোজেক্ট লোডিং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনার কোড রান করে দেখতে হবে যে সব কিছু ঠিক মত হয়েছে কিনা।

 

এখন রান করবেন কিভাবে? এটা তো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কিন্তু আপনি চালাচ্ছেন কম্পিউটার যেটা হয়ত উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেমে চালিত। আপনার মনে হতে পারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তো জাভা দিয়ে ডেভেলপ করছি আর আমার কম্পিউটারেও জাভা আছে, তাহলে কম্পিউটারে অ্যাপ চলবে না কেন। কারন হচ্ছে কম্পিউটারের জাভা ব্যবহার করে Java Virtual Machine (JVM) কিন্তু Android Operating System এ ব্যবহার করা হয় Dalvik Virtual Machine (DVM) যা JVM অপেক্ষা Highly optimized এবং মোবাইলে ব্যবহার উপযোগী। অর্থাৎ জাভা কম্পিউটার এবং অ্যান্ড্রয়েডে একটু ভিন্ন ভাবে কাজ করে। তাই কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালাতে পারবেন না। Android Studio তে Emulator ব্যবহার করে আপনি কোড রান করতে পারবেন। Android studio তে run button এর কিছুটা পাশে দেখবেন যে “AVD Manager” নামের একটি button আছে। সেখানে ক্লিক করে আপনি নতুন android device create করতে পারবেন। Emulator চালানোর জন্য Intel HAXM ইন্সটল করতে হবে, এটি Android SDK ডাউনলোড করার সময় ইন্সটল হয়ে যাওয়ার কথা।  Emulator একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মত কাজ করবে। অর্থাৎ আপনি কম্পিউটারেই একটি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চালাতে পারবেন। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা আছে। Emulator কম্পিউটার র‍্যামের প্রচুর জায়গা দখল করে। অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও তো আগেই জায়গা দখল করে আছে। ফলে এই ২টি মিলে আপনার র‍্যামের প্রায় সব জায়গা দখল করে নিবে এবং আপনার কম্পিউটার মারাত্মক স্লো হয়ে যাবে। ৪ জিবি বা এর কম র‍্যাম হলে Emulator চালাবেন না। ৮ জিবি র‍্যামের জন্যও Emulator না চালানোর পরামর্শ দিব আমি। এর বেশি র‍্যাম হলে চালাতে পারেন। এখন Emulator ছাড়া কিভাবে অ্যাপ চালাবেন? আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই আপনি কম্পিউটারের কোড সরাসরি রান করতে পারবেন। এই জিনিসটা আমার কাছে খুব মজা লাগে যে কম্পিউটারে লেখা কোড একটা Real Device এ সরাসরি রান হচ্ছে। আপনার ডিভাইসে কোড রান করানোর জন্য “USB Debugging” option টি চালু করতে হবে। এর জন্য এই ধাপগুলো অনুসরন করুনঃ Go to settings-About-Click on “Build Number” 4/5 times-You will see “You are now developer” message-Go back to settings-Developer option-Turn on “USB Debugging”. টিউন অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তাই একটু শর্ট করে লিখলাম। বুঝতে কোন সমস্যা হলে আমার সাথে তো ফেসবুকে যোগাযোগ করতেই পারবেন। USB Debugging on করার পর আপনার কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে। https://adb.clockworkmod.com এই লিঙ্ক থেকে Universal ADB Driver সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। এটি একটি ছোট সফটওয়্যার। ADB মানে Android Debug Bridge যা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এবং কম্পিউটারের মধ্যে ব্রীজের মত কাজ করবে। এবার আপনার ডিভাইসটি ডাটা ক্যাবলের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করুন। আপনার ডিভাইসে “Allow USB Debugging” এরকম একটি মেসেজ আসবে। Always এ মার্ক করে OK করুন। এবার Android Studio তে রান এ ক্লিক করুন। সব কিছু ঠিক মত করলে দেখবেন যে আপনার ডিভাইসের নাম শো করবে। OK তে ক্লিক করুন। কিছুটা সময় লাগবে কোড কম্পাইল হতে। কিছুক্ষন পর দেখবেন যে আপনার ডিভাইসে অ্যাপ রান হয়েছে এবং “Hello World” শো করছে। যদি আপনার ডিভাইসে অ্যাপ রান হয় তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আর যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে গুগল থেকে সাহায্য নিন অথবা আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুন।

 

আপনার কম্পিউটারের র‍্যাম ৪ জিবি অথবা আরো কম হলে এবং আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস না থাকলে কিভাবে অ্যাপ রান করবেন? সেক্ষেত্রে আপনি অন্য Android Emulator Software ব্যবহার করতে পারেন। Bluestacks, Genymotion, Andy এরকম অনেক সফটওয়্যার আছে যাতে আপনি অ্যাপ রান করতে পারবেন। এসব সফটওয়্যারের সাথে Android studio emulator এর পার্থক্য হল এসব সফটওয়্যার কম্পিউটার কে বেশি স্লো করবে না। এগুলোর মধ্যে আমি genymotion/andy ব্যবহার করার পরামর্শ দিব। তবে এগুলোও কম্পিউটার কিছুটা স্লো করে দিবে। সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যদি ভার্চুয়াল হোস্টে (Vmware/Virtualbox) Android Operating System ইন্সটল করেন। তাহলে কোড ভাল ভাবে রান করতে পারবেন। এসব সফটওয়্যারে কোড রান করতে হলে আপনাকে আগে adb connect  করতে হবে। আপনার emulator এর Local IP Address জেনে নিয়ে কম্পিউটারের cmd/terminal এ কমান্ডের মাধ্যমে আপনি adb connect  করতে পারবেন। Local IP Address জানার জন্য “Terminal Emulator” অ্যাপ ইন্সটল করে রান করে “ip addr show” টাইপ করে এন্টার করলেই হবে। এটা হচ্ছে Third party software emulator এ অ্যাপ রান করার পদ্ধতি। আর Android studio emulator ব্যবহার করলে এসব কোন ঝামেলা না করে সরাসরি অ্যাপ রান করলেই হবে।

 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখবেন কিভাবে? অ্যাপ ডেভেলপ করার আগে আপনাকে ভাল মত জাভা পারতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কোড করার জন্য জাভা এবং ডিজাইন করার জন্য XML language ব্যবহার করতে হবে। XML একটি মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং এটি শেখা খুব সোজা। আমি পরামর্শ দিব জাভা এবং XML ভাল মত শিখে তারপর অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শুরু করুন। https://developer.android.com/training/index.html এটি হচ্ছে Android এর official documentation। এখানে আপনি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কিভাবে ডেভেলপ করতে হয়, কোন ক্লাসের কাজ কি সব কিছুর বর্ননা পাবেন। https://www.udacity.com/course/new-android-fundamentals--ud851 এটি হচ্ছে  অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখার Official Video Course এবং এটি ফ্রী। <a [টেকটিউনসে ভিডিও দেখাতে vUne এ গিয়ে আপনার ভিডিওটি আপলোড করে ভিডিও টিউন করুন] এটি Android app developer এর Official Youtube Channel. এই সব কিছুই গুগল তৈরি করেছে। তাই বুঝতেই পারছেন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখার জন্য এগুলোই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ইউটিউবে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে যা দেখে অ্যাপ ডেভেলপ করা শিখতে পারবেন। ইবুক পড়েও শিখতে পারবেন কিন্তু আমি অনলাইনে যে সব ইবুক দেখেছি বেশির ভাগ অনেক আগে লেখা হয়েছে। এসব ইবুকে অ্যান্ড্রয়েডের লেটেস্ট ফিচার গুলোর ব্যাপারে জানতে পারবেন না। কিন্তু ব্যাসিক জিনিস গুলো শিখার জন্য এই ইবুক গুলোও অনেক সাহায্য করবে। https://www.tutorialspoint.com/android/android_tutorial.pdf  এখানে একটি ভাল ইবুক পাবেন।

 

একটি টিউনেই অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের সব কিছু বলার চেষ্টা করেছি। তাই কিছু জিনিস সংক্ষেপে বলতে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সব কিছু যতটা সম্ভব বুঝিয়ে বলার। টিউনে কোন স্ক্রীনশট দেইনি কারন আমি বিস্তারিত সব লিখে দিয়েছি। আমার মনে হয় স্ক্রীনশট ছাড়াও টিউন ফলো করতে সমস্যা হবে না। তবুও সমস্যা হলে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করবেন। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট অথবা প্রোগ্রামিং নিয়ে যে কোন সমস্যা হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অবশ্যই ফ্রী তে। আমি বিশ্বাস করি Knowledge is free, you have to gain it.

 

আমার বানানো একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ “Bookshelf”  http://www.goo.gl/xEuN6S  এখান থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি অনেক বই ফ্রী তে পড়তে পারবেন। https://goo.gl/r4oYkV এখানে অ্যাপের ভিডিও দেখতে পারবেন।

 

আশা করি টিউন টি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমি যা জানি তাই আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম। আমার জানায় ভুলও থাকতে পারে। টিউনে কোন ভুল থাকলে প্লীজ আমাকে জানাবেন। এতো বড় একটি টিউন লিখতে কতটা কষ্ট হয়েছে আশা করি বুঝতে পারছেন। প্লীজ টিউন টি কপি করবেন না। কপি করলে ক্রেডিট হিসেবে আমার নাম লিখে দিবেন আশা করি। আর টিউন টি প্লীজ শেয়ার করবেন। টিউন টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

 

Happy programming, Programming is my second language, Programming is in my blood…

Email: [email protected]

ফেসবুকে আমি

 

Level 0

আমি মুবীন উল আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I live in a dream...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আমার এনড্রয়েড স্টুডিও ইনস্টল করেও যতবার ওপেন করি ততবার ইনস্টল হয়। এখন কী করব?

আপনার দেয়া লিংক গুলো not found আসে।