ভাবুন তো, যদি প্রোগ্রামার নামের মানুষগুলা না থাকত আমরা কোথায় পড়ে থাকতাম !
.
প্রোগ্রামার !!?? o.O
.
আপনি তো জানেন খুব কাজের একটা জিনিস কম্পিউটার। মুদির দোকানের হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে মহাশুন্যে রকেট পাঠিয়ে পাথর নিয়ে আসা-সব কিছুতেই এক্সপার্ট এই চারকোনা জিনিসটা 😀
.
কিন্তু মজার কথা হল, এই বাক্সটা কিন্তু নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না ! ওকে বলে বলে করাতে হয়। আর যেই মানুষগুলা কি কি করতে হবে এইসব বলে দেয়, তাদের প্রোগ্রামার বলে 🙂
.
আপনি কম্পিউটার/মোবাইলের স্ক্রীনে যা কিছু দেখছেন, সবই প্রোগ্রামারদের বানানো। হাতের ফোনটার অপারেটিং সিস্টেম যেমনঃ অ্যান্ড্রয়েড বা ios, পিসির উইন্ডোজ, গান শোনার মিউজিক প্লেয়ার, লিখার জন্য ওয়ার্ডপ্যাড, কিংবা ছবি আঁকার পেইন্ট-সবই কিন্তু প্রোগ্রামারদের বানানো !
.
আবার আপনার নিত্যদিনের ফটোশপ, সেই ক্লাশ অফ ক্ল্যানস গেইমটা - সবই প্রোগ্রামারদের লেখা। আপনি ফোনটা হাতে নিলেন, স্ট্যাটাস আপডেট করতে আপনার ফেসবুকটায় লগিন করলেন, হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকলেন বন্ধুদের সাথে গল্প করতে, আপনার ইন্সটা, গুগল ম্যাপ - পুরা ইন্টারনেট জগত- এক কথায় পুরা পৃথিবীটাই প্রোগ্রামারদের সাজানো 😀
.
শুধু কি এটুকুই ? জীবন বাঁচাতেও প্রোগ্রামাররা অনেক কাজ করে গেছে, করে যাচ্ছে। জীন প্রকৌশল থেকে শুরু করে ডাক্তারির ম্যাক্সিমাম জিনিসপাতিতে রয়েছে কোডিং। চোখ পরীক্ষা করার যন্ত্র, ডায়েবেটিস মেপে দেওয়ার যন্ত্র, ইসিজি ইত্যাদি প্রায় সবকিছুই চলছে সেই কোডিং দিয়েই 🙂 🙂
.
প্রোগ্রামার না থাকলে আসলে চমৎকার যন্ত্র কম্পিউটার একটা খেলনা হয়েই থাকত। আর আমরা থাকতাম আদিম যুগে। ডাক-পিওন মাঝে মধ্যেই বাড়িতে এসে কড়া নাড়ত সপ্তাখানেক আগে লেখা একটা চিঠি দিতে। আপনার প্রিয় মুহূর্তের ছবিগুলা বন্ধুদের দেখাতে তাদের বাসায় দাওয়াত করে হার্ডকপি দেখাতে হতো :p হয়ত মেসি-রোনালদো বিহীন একটা জীবন কাটাতে হতো ! :/ ..
.
আসলে আমি বলে শেষ করতে পারব না এই লিস্টটা, এটা শেষ করার মতো না 🙂 আপনিও কোডিং করা শিখে ফেলে ক্রিয়েটিভিটি দেখিয়ে একজন “Life Controller” হয়ে যেতে পারেন;)
.
Nice post