আসুন নিয়ে নেই DSLR লেন্স এর কিছু প্রাথমিক শিক্ষাঃ
DSLR এর পূর্ণ রূপ Digital Single Lense Reflex Camera, DSLR এর অনেক সুবিধা আছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি সুবিধা হল এটি দিয়ে ছবি তলা যায়, হা হা হা...
কাজের প্রকারভেদ অনুসারে DSLR এর সাথে বিভিন্ন ধরণের লেন্সে লাগিয়ে এর ক্ষমতাকে আরও অনেক বাড়িয়ে নেওয়া যায়। সুতরাং DSLR এর থেকে লেন্স কোন দিক দিয়েই কম নয়, অনেক ক্ষেত্রে DSLR এর থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে লেন্স কিনতে হয়, অনেকটা সাইকেল বিক্রি করে বেল কেনার মত। DSLR এর এর অনেক ধরণের লেন্সে আছে। যেমন ঃ
- প্রাইম লেন্সঃ মানুষের ছবি তুলতে এই লেন্স এর কোন জুরি নেই। প্রাইম লেন্স দিয়েই যত ধরণের হলিউড - বলিউড নায়ক নায়িকাদেরকে সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ বানাবার অসাধ্য কাজটি সাধন করা হয়। প্রাইম লেন্স এর মধ্যে F1.0, F1.2, F1.4, F1.8, F2.0, F2.8 লেন্স অন্যতম। F এর ভ্যালু যত কমবে দাম তত বাড়বে। বলা যায় F এর সাথে দামের সম্পর্ক অনেকটা দা-কুমড়ার সম্পর্কের মত। এই ধরণের লেন্স এর জনপ্রিয়তার সবথেকে বড় কারণ হল “বোকে”। এটা আবার কি জিনিস রে ভাই ? “বোকে” জাপানী শব্দ, যার ইংরেজি হল “Blur”, যার বাংলা দারায় ছবির বিষয়বস্তু ঠিক রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডকে ঝাপসা করে দেওয়া। F এর ভ্যালু যত কমবে ব্যাকগ্রাউন্ড এর ঝাপসা তত বাড়বে। সুতরাং F1.0 লেন্স দিয়ে সবথেকে বেশি ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা করে দিয়ে ছবি তলা সমভব। এই জন্যই এই এক খানা F1.0 মার্কা লেন্স এর দাম কয়েক লক্ষ টাকা। তবে এই প্রাইম লেন্সেরও রয়েছে খারাপ দিক, এত দামি লেন্সের কি খারাপ দিক থাকলে চলবে ? হা, এটি দিয়ে যত ভাল ছবিই তোলা যাকনা ক্যান, কোন জুম করার অপশন প্রাইম লেন্স এ রাখা হয়নি। যেমন 24MM, 35MM, 50MM, 85MM ইত্যাদি, সকগুলাই ফিক্সড লেন্স, যার মানে দাঁড়াল দুরের সুন্দরী কবুতর দেখে এই দামি মালখানা দিয়ে কাছে টেনে এনে ছবি তোলার কোন সিস্টেম এই লেন্স এ নাই। হতাশ হবার কিছু নেই, দুরের সুন্দরী কবুতর তোলার লেন্স এর কোথা নিচে আসছে ...
- ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সঃ এই লেন্স এর বড় সুবিধা হল খুব বেশি জাইগা, অনেক মানুষ, বড় ভাস্কর্য, বিশাল প্রকৃতি প্রভৃতি ছবি তোলা যায়। এগুলার সবথেকে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন সাধারণত ৮ মিমি. থেকে শুরু করে ২৮ মিমি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর অনেক জিনিস একসাথে ছবির মধ্যে থাকে বলে এইগুলার বোকে করার ক্ষমতাও প্রাইম লেন্সের মত থাকে না। তবে দামের দিক থেকে ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সও কিন্তু কম যায় না, যত বেশি ওয়াইড এঙ্গেল তত বেশি দাম। প্রাকৃতিক দৃশ তুলতে এই লেন্স এর সবথেকে বেশি ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
- জুম লেন্সঃ ক্যামেরা মানেই অনেক দুরের ছবি তোলা যাবে, নদীর এপাড় থেকে অন্য পাড়ের ছবি তোলা যাবে, এমনি ধারনা আমাদের সমাজের এক ধরণের আমজনতার। যারা কিনা Canon 1D আর F1.2 লেন্স দেখলে বলে এইটা কোন ক্যামেরা হল ? ছোট একটা লেন্স নিয়ে আসছে ছবি তুলতে। আর 24mm প্যানকেক লেন্স দেখলে তো কোথাই নাই। যাই হোক, জুম লেন্স এর কাজ এর নামের মধ্যেই নিহিত, অনেক দুরের পাখি, মানুষ, বাঘ, সাপ যাই হোক না কেন, জুম লেন্স এর কাছে সবাই ধরা, যত দুর ই হোকনা কেন কাছে এনে খুব পরিষ্কার ভাবে ছবি তোলার কাজটি এই লেন্স দিয়েই করা হয়। বোঝেন এইবার এই লেন্স এর ক্ষমতা। বিশালাকৃতি এই লেন্স এর দাম তুলনামুলকভাবে অন্য লেন্স থেকে কম হয়। ৫৫-২৫০ F4~5.6 মিমি. ৭০-৩০০ মিমি. এর মধ্যে আবার বেশি দামের লেন্স ও রয়েছে। জুম লেন্স এর মধ্যে আবার যেগুলার F ভ্যালু কম, অর্থাৎ জুম লেন্সের মধ্যে যেগুলার বোকে করার ক্ষমতা বেশি, অনেকটা প্রাইম লেন্সের কাছাকাছি বা বেশি, সগুলার দামটি আবার অনেক বেশি হয়ে থাকে। যেমন ৭০-২০০মিমি. লেন্স
- ম্যাক্রো লেন্সঃ খুব ছোট জিনিস খুব বড় করে দেখানোর জন্য এই ধরণের লেন্স ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ বল পয়েন্ট কলমের মাথা, ইঞ্জেকশান এর সূচ, ছোট ছোট প্রাণী, ফুল ইত্যাদি। এই ধরণের লেন্স দিয়ে খুব কাছে থেকে ছবি তোলা যায়। এই লেন্স এর ব্যবহার কিছুটা কম, কারণ অন্য ধরণের অনেক লেন্স দিয়েই একই ধরণের ছবি তোলা যায়, কিংবা ছবি তোলার পরে ফটোশপে জুম করে কেটে নিলেই অনেকটা একইধরনের ছবি পাওয়া যায়।
### টিউনটি আগে আমার নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
### আমার ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট
কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন, কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
thanks a lot..