ডার্করুম থেকে চলে আসুন লাইটরুম এ।
-
আজকাল আমাদের সবারই হাতে একটা ক্যামেরা আছে। Digital SLR, point and shoot অথবা নিদেনপক্ষে একটা মোবাইল ক্যামেরা তো থাকবেই। আর ক্যামেরা থাকলেই শখের বশে চলে ছবি তোলা। কিন্তু অনেকেই এডিটিং না জানার কারনে ছবি এডিট করতে পারেন না। অনেকে আবার সাহস করে Photoshop শেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু নতুনদের কাছ থেকে প্রায়ই যে অভিযোগ শোনা যায় তা হল Photoshop কঠিন লাগছে! এই অভিযোগ যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তাও নয়, কারন Photoshop একটি বিশাল ও জটিল সফটওয়্যার। এটা শিখতে টাইম তো লাগবেই।
তাই আজ আপনাদের যারা জানেন না, তাদের পরিচয় করিয়ে দেব Photoshop এর cousin এর সাথে। তার নাম হল Adobe Lightroom। অ্যানালগ যুগে যেমন ডার্ক রুম এ ফটো ডেভেলপ করা হত তেমনি এই ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল ফটো ডেভেলপ করবেন লাইটরুম এ!
কেন বাবহার করবেন লাইট রুম?
আপনি নিশ্চয়ই জানেন Photoshop ছবি এডিটিং এর জগতে একটি কিংবদন্তী সমতুল্য নাম। তার চেয়ে ভাল কি করে হবে এই লাইটরুম সফটওয়্যারটি? আসলে লাইটরুম তৈরি হয়েছে ফটোগ্রাফারদের কথা মাথায় রেখেই, যেখানে Photoshop মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও পিক্সেল পারফেক্ট ফটো মানিপুলেশন এর জন্য বানানো। যে কারনে এটা স্বাভাবিক ভাবেই Advanced এডিটিং এ ব্যাবহার করা হয় এবং আমাদের মত আমজনতার কাছে তা শেখা একটু সময় সাপেক্ষ হয়ে দেখা দেয়। লাইটরুম এর মুল টার্গেট হল ফটো এডিটিং, এবং একাজে সে বেশ পটু! কিছু ফিচার দেখলেই আরও ভালো একটা ধারনা পাবেন।
এক নজরে কিছু ফিচারঃ
• ইন্টারফেসটা খুবই পরিষ্কার ও ছিমছাম। Photoshop এর তুলনায় অনেক কম এডিট অপশন্স আছে যা আমার মতে একটা প্লাস পয়েন্ট কারন ফটো রিটাচ করতে ঠিক যতটুক ফ্লেক্সিবিলিটি প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই পাবেন। Photoshop এর জটিলতা এতে নেই।
• এডিটিং সহজতর করতে Adobe শুধু স্লাইডার রেখেছে। এতে নতুনেরা অনেক সহজেই প্রতিটি স্লাইডার এর ব্যাবহার বুঝতে পারবেন। স্লাইডার এর পজিশন চেঞ্জ করলে আপনার ছবিও সাথে সাথে চেঞ্জ হবে। মানে live preview দেখবেন আর কি।
• ধরুন আপনি একটি অনুষ্ঠানে ১০-১২টি ছবি তুলেছেন এবং আপনি এগুলো একি ধাঁচে এডিট করতে চান। ফটোশপ এর মত লাইটরুম এ আপনাকে প্রতিটি ছবি আলাদা আলাদা ভাবে এডিট করতে হবে না। একটি ছবি আপনার মন মত এডিট করে বাকি গুলো Sync করা যায়, যা কিনা খুবই সময় সাশ্রয়ী একটি ফিচার।
• নন ডেস্ট্রাক্টিভ এডিটিং- ধরুন আপনি একটি ছবি এডিট করবেন। আপনি ছবির brightness +10 করলেন। Lightroom তখন অ্যাকচুয়াল পিকচার ফাইল টাকে মডিফাই না করে তার নিজস্ব ডাটাব্যাসে লিখে রাখবে ব্রাইটনেস ১০ পয়েন্ট বারানো হয়েছে এবং আপনাকে সেভাবে প্রিভিউ দেখাবে। এর মানে আপনি জতই এডিট করুন না কেন আপনার অরিজিনাল ফটোটি থাকবে সম্পূর্ণ আন্টাচড! সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল আপনি একি ছবির বিভিন্ন ভার্সন এডিট রাখতে পারবেন হার্ড ডিস্ক এর স্পেস অপচয় ছাড়াই, কারন lightroom এর ডাটাব্যেস শুধু আপনার এডিটক্রিত properties এর ভাল্যু স্টোর করে রাখে।
• Lightroom এর আরেকটি অসাধারণ ফিচার হল এর Preset সিস্টেম। Preset ডাউনলোড করে একটা ছবি তে অ্যাপ্লাই করলেই হল। জাস্ট এক ক্লিক এ আপনি এমন সব এডিট পাবেন যে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন আমি নিশ্চিত। কিছু preset ডাউনলোড করার ঠিকানাঃ
http://www.presetsheaven.com
http://www.lightroompresets.com
আমি অর্পন দাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 27 টি টিউন ও 82 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
লাইটরুমের থেকে ফটোশপই ভালো, মনের মত এডিট একমাত্র ফটোশপেই করা যায়।