প্রথমেই ক্ষমা চাইব টিউনারদের কাছে অনিয়মিত হয়ে পড়ার জন্যে। সময়ের আসলে অনেক বড় অভাব হয়ে দাড়িয়েছে তারপর আবার ফটোগ্রাফির নেশা মাথায় উঠার কারণে অবসরটুকুও চলে যাচ্ছে সেখানে। তবে আজ এমন একটা দিন যে টিউন না করলেই নয়। সবাই ভালো করেই জানেন বোধহয় যে আমার প্রাণের মিত্র, Father of TT এর আজ শুভ জন্মদিন। সুতরাং আজকের এই টিউন তাকেই উৎসর্গ করে করা।
যাই হোক, যারা এই কম্পোজিশনের প্রথম পর্বটি এখনও পড়ে নি, তাদের বলব এখান থেকে পড়ে নেয়ার জন্যে।
আসুন তাহলে কম্পোজিশানের বাকী ইলিমেন্টসগুলো দেখে নেয়া যাক –
ফ্রেমিং কথাটা শুনলে প্রথমেই আমাদের মাথায় যে জিনিসটা আসে তা হল চারপাশে সুন্দর ডিজাইনের বাউন্ডারি দিয়ে বাধিয়ে আমাদের ড্রয়িং রুমে ঝুলিয়ে দেয়া। তবে আমরা যদি ছবি তোলার সময়ই আমাদের সাবজেক্টকে কোন না কোন ন্যাচারাল ফ্রেমে নিয়ে আসতে পারি তাহলে কিন্তু ছবির চেহারাটাই চেজ্ঞ হয়ে যেতে পারে।
এটা নিয়ে আসলে অনেক বলার থাকলেও আসলে কিছুই বলার নাই। পার্সপেক্টিভ বলতে ফটোগ্রাফারের দৃষ্টিভঙ্গিকেই বোঝানো হচ্ছে। সুতরাং একটা সাবজেক্টকে আপনি কোন এ্যাঙ্গেলে দেখবেন সেটা সম্পূর্ন আপনার ক্রিয়েটিভিটি। এখানে শিখিয়ে দেয়া মত কিছু নেই। কোন জিনিসকে উপর থেকে শট করলে তা ছোট আবার নিচ থেকে সেই জিনিসের শট নিলে তাকে বড় দেখাতে পারে। তবে এ্যাঙ্গেল অব ভিউ সাবজেক্টের হাইটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়াটাই বেটার। যেমন – বাচ্চাদের ছবি নিতে গেলে সাধারনত তাদের হাইটে একটু ঝুকে পোট্রট নিলে ভালো লাগে।
ছবিতে সবাই বলে যথা সম্ভব ফ্রেমকে ফিল আপ করা। একথা যেমন সত্য, তেমনি সত্য যে আপনাকে আপনার ছবিতে সাবজেক্টের জন্যে যথাযথ স্পেস ছাড়তে হবে। উপরের ছবিতে ধুমায়মান ম্যাচ কাঠিটি সাবজেক্ট। এখানে বোঝা যাচ্ছে যে ধোঁয়া কিভাবে ফ্রেমের উপর দিয়ে ফ্লো হচ্ছে। তবে এখন যদি কাঠিকে ফ্রেমের বড্ড উপরে তুলে ধরা হয় তখন আপনার ফ্রমে ধোঁয়ার উপস্থিতি বোঝা দায় হবে এবং ছবি এ্যাপিল হারাবে। তেমনি আপনি যদি নদীতে চলমান নৌকার ছবি তুলেন তাহলে নৌকার সামনের দিকে স্পেস দেয়াটা হবে বিচক্ষনতার কাজ।
ছবিতে ব্যালান্সিং অনেক দরকারী টপিক। ছবিতে পয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট সব একই জায়গায় জমা হলে অন্য দিক খালি হয়ে জেতে পারে। তাই আমরা চাইলে সহজেই ছবিতে ব্যালান্সিং করে পুরো ছবিটাকে আকর্ষনীয় করে তুলতে পারি। এতে ছবিতে দর্শকের পয়েন্ট অব ইন্টারেষ্ট ইউনিক থাকবে। যেমন উপরের ছবিটি।
রঙই হচ্ছে ছবির প্রাণ। আপনাকে ছবির রঙ পছন্দের ব্যাপারে ক্রিয়েটিভ হতে হবে। কোন রঙ কি ধরনের এ্যাপিল সৃষ্টি করে সেটা জানা থাকলে আরো ভালো হয়।
যেমন – সাধারণত উজ্জল রঙ ছবি ভাইব্রেশান, এনার্জি এবং আকর্ষন সৃষ্টি করে থাকে। সবুজ এবং নীল রঙ দর্শকের মনে প্রশান্তির সৃষ্টি করে থাকে। তবে পছন্দ এবং ক্রিয়েটিভিটি সম্পূর্ন আপনার।
অনেক নিয়ম কানুনই আমরা ফটোগ্রাফিতে মেনে চলি তবে মজার আরেকটা নিয়ম হল আমরা যে কোন সময়েই নিয়মে ব্রেক আনতে পারি। সেটা সম্পূর্ণ ফটোগ্রাফারের মনের খুশি।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
এত সুন্দর টিউনে কি যে মন্তব্য করবো বুঝতে পারছিনা । খুব ভাল লেগেছে অসাধারন !
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।