শুধু মেগাপিক্সেল আর জুমিং ক্ষমতা দেখেই ডিজিটাল ক্যামেরা কিনবেন না নিশ্চয়? সাথে অন্য কিছু জিনিসও দেখার আছে। আজকে সেইসব নিয়েই আলোচনা। প্রথমেই আসি ভিউফাইন্ডারের কথায়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, কারন এর মাধ্যমেই আমরা দেখি ক্যামেরা কি দেখছে! আমরা যে দৃশ্যের ছবি তুলবো সেটা ফ্রেমের মধ্যে কেমন দেখাচ্ছে তা না দেখেই ছবি তুলতে পারে শুধুমাত্র অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রফেশনাল চিত্রগ্রাহকরাই। সুতরাং ভিউফাইন্ডার আমাদের খুব জরুরী একটি চোখ বলা ভালো। ফটোগ্রাফি হচ্ছে আলো দিয়ে লেখার শিল্প, তাই ক্যামেরায় স্থিত আমাদের এই চোখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ।
অজকাল ক্যামেরায় দুই রকমের ভিউফাইন্ডার হয়। একটি প্রচলিত যুগ যুগ ধরে চলে আসা ছোট্ট optical viewfinder এবং অন্যটিকে আমরা LCD Display নামেই বেশি জানি, সেটি হচ্ছে ডিজিটাল ভিউফাইন্ডার। কিছু নির্মাতা তাদের ক্যামেরায় দুটোই দেন, আবার কিছু ক্যামেরায় শুধুমাত্র LCD Display থাকে। এর কিছু কিছু ব্যবহারিক সুবিধা অসুবিধা জেনে রাখা ভালো। যেসব ক্যামেরায় দুই ধরনের ভিউফাইন্ডার থাকে, সেগুলিতে সাধারনত ডিজিটাল ভিউফাইন্ডার বা LCD display screen অফ্ করে দেওয়ার একটি অপশানও দেওয়া থাকে - এই অপশানটি মূল্যবান power saver হিসেবে কাজ করে।
মনে রাখবেন, মেমোরী কার্ডে প্রচুর ছবি ধরে রাখা গেলেও একবার চার্জ দিয়ে ব্যাটারী কিন্তু ততোগুলি ছবি তোলার অবস্থায় থাকবেনা, তাই পাওয়ার সেভিং বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে। আপনার পছন্দের ক্যামেরায় দুটি ধরনের ভিউফাইন্ডার পেলে চেষ্টা করবেন ভ্রমণের সময়ে যতোখানি সম্ভব ডিজিটাল ভিউফাইন্ডারটি অফ্ করে রাখা। যারা এই অপশানটি পাচ্ছেন না, অর্থাৎ শুধুই ডিজিটাল ভিউফাইন্ডার আছে যাদের, তাদের করনীয় একটিই, একটি ছবি তুলেই পাওয়ার অফ্ করে দেওয়া। হাতের সামনে চার্জিং পয়েন্ট না থাকলে এইসব দিকে একটু নজর দেবেন।
তুলনামূলক ভাবে অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডারের থেকে ডিজিটাল ভিউফাইন্ডার অর্থাৎ আপনার ক্যামেরার LCD Display আপনাকে বেশি accuracy দেবে ছবির ফ্রেম ও অন্যান্য এফেক্ট প্রিভিউ করার সময়ে। যেমন ধরুন ছবি তোলার সময়েই অনেকে কিছু এফেক্ট দিতে চান যেমন সিপিয়া, নেগেটিভ, সাদা/কালো কিম্বা ধরুন ভিভিড কালার ইত্যাদি এইসব ছবি তোলার আগেই ডিজিটাল ভিউফাইন্ডারে প্রিভিউ পাবেন। কিন্তু অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডারে এইসব প্রিভিউ পাবেন না। অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার আপনাকে বাস্তবটুকুই দেখাবে, এফেক্টগুলি দেখাবেনা।
আচ্ছা, তাহলে ডিজিটাল ভিউফাইন্ডারই ভালো? না, এর অসুবিধার দিকগুলিও জেনে নিন। সরাসরি তীব্র সূর্যালোকে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময়ে কিন্তু এই ডিজিটাল ভিউফাইন্ডার দেখা প্রায় ভীষণ কঠিন ব্যাপার হয়ে যাবে। এবং, বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হবে অত্যন্ত কম আলোয় রাতের ছবি তোলার সময়ে - ভিউফাইন্ডারে প্রায় কিছুই দেখতে পাবেন না। এইসব সময়ে অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার আপনাকে অনেকটা সাহায্য করতে পারবেন। তাহলে দেখছেন, দুটির কোনোটিই পারফেক্ট নয়, তাই পারলে দুই ধরনের ভিউফাইন্ডার বিশিষ্ট একটি ক্যামেরা নেওয়াই ভালো হবে।
আমি রিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 362 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জীবনের সব ভুল, যদি ফুল হয়ে যায়... জীবনের সব কালো, যদি আলো হয়ে যায়...
হুম