RAM কী? RAM এর প্রকারভেদ ও RAM কীভাবে কাজ করে?

Level 6
Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর

আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে RAM কি, RAM এর প্রকার ভেদ ও RAM কীভাবে কাজ করে নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। বর্তমানে কম্পিউটারের জটিল বিষয় গুলো নিয়ে আপনাদের জ্ঞান আছে কি না তা আমার জানা নাই। তবে আপনাদের সহজভাবে বুঝানো চেষ্টা করবো, RAM কি, RAM কম্পিউটারের কীভাবে কাজ করে, RAM বলতে কি বুঝায়? তবে কিন্তু কম্পিউটারের কিছু সাধারণ বিষয়গুলোর উপর আপনাদের জ্ঞান রাখা দরকার। বর্তমান যুগ হচ্ছে টেকনোলজির যুগ। আধুনিক যুগে পৃথিবীর সকল ধরনের কাজ কম্পিউটারের হয়ে থাকে।

আর তাই কম্পিউটারের সাধারণ বিষয়ের উপর যদি জ্ঞান আপনাদের মধ্যে না থাকে, তবে ব্যাপারটা আপনার জন্য ফিউচারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমরা আজকে এই আর্টিকেলে কম্পিউটারের একটি অংশ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আর সেই কম্পিউটারের জরুরি বা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল RAM | আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারবো RAM কি, RAM এর কাজ কি, RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি, RAM এর কি কি প্রকারভেদ আছে এবং RAM এর প্রয়োজনীয়তা কম্পিউটারের কত গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা জানতে পারবো।

আমাদের মনে রাখতে হবে, RAM বলতে কেবলমাত্র ডেক্সটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের RAM কে বোঝায় না। RAM যেভাবে আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজন ঠিক আমাদের স্মার্টফোন গুলোতেও RAM এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। কেননা আমাদের স্মার্টফোন গুলো হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটারের ডিভাইস। আমরা ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং মোবাইল কেনার সময় RAM কতটুকু আছে তা আগে জিজ্ঞাসা করি। তাই আমরা ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এর ক্ষেত্রে RAM এর পরিষেবা একই, শুরুতেই আমরা জেনে নিবো RAM কী? তো চলুন তার আগে ভালোভাবেই জেনে আজকের সম্পূর্ণ টিউনে নতুন কী কী থাকছে? আজকের পোস্টটি থেকে জানতে পারবেন,

  1. RAM কী?
  2. কম্পিউটারের র‍্যাম কী কাজ করে?
  3. কম্পিউটারের র‍্যাম কীভাবে কাজ করে?
  4. কম্পিউটার র‍্যামের প্রকারভেদ!
  5. কম্পিউটার, স্মার্টফোন র‍্যামের প্রকারভেদ!
  6. র‍্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য!
  7. আপনাদের কম্পিউটারে কতটুকু র‍্যাম থাকা প্রয়োজন?

RAM কী?

RAM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে 'RANDOM অ্যাক্সেস মেমােরি' 'RANDOM ACCESS MEMORY'। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে RAM কে 'Direct Access Memory' বলা হয়। RAM হচ্ছে কম্পিউটার এর একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হার্ডওয়্যার। তবে হ্যাঁ, RAM পূর্ণরূপ ব্যাপারে জানার পরে হয়তােবা আপনি এই বিষয়ে কোনাে কিছুই বুঝতে পারেন নি। চলুন RAM সম্পর্কে আমরা সামান্য সরল ও সহজভাবে বুঝতে চেষ্টা করি। র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমরি, বা RAM, মাদারবোর্ডের মেমরি স্লটে পাওয়া হার্ডওয়্যার। RAM-এর ভূমিকা হল প্রোগ্রামগুলির দ্বারা তৈরি করা অন-দ্য-ফ্লাই তথ্য অস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা এবং এমনভাবে করা যাতে এই ডেটা অবিলম্বে অ্যাক্সেসযোগ্য হয়। RAM মেমরি প্রয়োজন যে কাজ হতে পারে; গ্রাফিক ডিজাইন, সম্পাদিত ভিডিও বা ফটোগ্রাফের জন্য ছবি রেন্ডার করা, একাধিক অ্যাপ খোলার সাথে মাল্টি-টাস্কিং (উদাহরণস্বরূপ, একটি স্ক্রিনে একটি গেম চালানো এবং অন্যটিতে ডিসকোর্ডের মাধ্যমে চ্যাট করা)।

ডেক্সটপ কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনের র‍্যাম হচ্ছে এমন একটি 'স্টোরেজ মেমােরি ডিভাইস' যা কিছু সময়ের জন্যে যেকোনো 'অ্যাপ্লিকেশান' প্রসেস করার উদ্দেশ্য অ্যাপ্লিকেশানের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন তথ্য এবং ডাটাকে অস্থায়ীভাবে নিজের কাছে জমা রাখে। আপনার কতটা RAM প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনি যে প্রোগ্রামগুলি চালাবেন তার উপর। মাঝারি তীব্রতার গেমিং অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সঞ্চালিত হলে সাধারণত 8GB মেমরি ব্যবহার করে, তবে ভিডিও/গ্রাফিক ডিজাইন 16GB এর উপরে র‍্যাম ব্যবহার করতে পারে। আপনার কম্পিউটারের কত মেমরি প্রয়োজন তা খুঁজে বের করুন।

কম্পিউটারের র‍্যাম কী কাজ করে?

যখন আমরা কম্পিউটারকে কোনো কাজ দেই, সেই কাজের সঙ্গে জড়িত সকল ইনফরমেশন বা ডাটা সংরক্ষণ করে RAM নিজের কাছে রেখে দেয়। তারপর RAM এর সাহায্যে সকল কম্পিউটারের অস্থায়ী ডাটা বা তথ্যগুলোকে, কম্পিউটারের প্রসেসর সহজে সংরক্ষণ করে, কাজগুলো সম্পন্ন করে। এছাড়া RAM প্রসেসরের মধ্যে চলতে থাকা, এই ডাটা ও তথ্য গুলো আদান প্রদানের প্রক্রিয়া অনেক দ্রুততার সাথে চলতে থাকবে। আপনার কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনে থাকা RAM যত বেশি উন্নতমানের ও অধিক ফ্রিকোয়েন্সির থাকবে, তত বেশি দ্রুততার সাথে এই ডাটা প্রসেসিং এর কাজ করে থাকে। আপনার ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনে যদি RAM না থাকে আপনার কম্পিউটার কখনো ওপেন হবে না।

কারণ, কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন চালু করার পরে, অপারেটিং সিস্টেম এর সঙ্গে জড়িত ডাটা ও তথ্য গুলো RAM মেমোরিতে সেভ হয়। RAM এবং প্রসেসর এর মধ্যে চলতে থাকা এই ডাটা ও ইনফরমেশন গুলি আদান প্রদান প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত গতিতে চলতে থাকবে। তারপর ডাটা প্রসেসিং হওয়ার পর আমাদের কম্পিউটার বা মোবাইল বুট হয় বা চালু হয়। এই RAM মেমোরি থেকেই, যে কোনো কাজ সম্পন্ন করে থাকে। র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি, আকার, গঠন, ক্ষমতা, দ্রুততা এবং স্থাপত্য হিসেবে আলাদা আলাদা হতে পারে। RAM নিয়ে এই বিষয় গুলিতে ধ্যান দেওয়াটা অনেক জরুরি, যখন আপনি একটি কম্পিউটার ডিভাইস কেনার অথবা আপগ্রেড করার কথা ভাবছেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি যখন কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনে যেকোনো একটি অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করলেন। ধরুন সেই অ্যাপ্লিকেশনটি হচ্ছে একটি ওয়েব ব্রাউজার। আপনি অ্যাপ্লিকেশনটিতে ক্লিক করার সাথে সাথে সেই ওয়েব ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশানের সাথে জড়িত প্রত্যেকটি ডাটা এবং তথ্য ডিভাইসের র‍্যাম মেমোরিতে সেভ করে থাকে। তারপর কম্পিউটার র‍্যাম থেকেই অ্যাপ্লিকেশনটির ডাটা এবং তথ্যগুলোকে প্রসেসরে মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে।

এইবার প্রসেসর অর্থাৎ সিপিউ দ্বারা ডাটা বা তথ্যগুলোকে প্রসেস হয়ে যাওয়ার পর, আপনার কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনের সেই ওয়েব ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশনটি চালু হয়ে যাবে। এখন আপনি ভাবতে পারেন, আপনি যখন কম্পিউটার ওপেন করেন অ্যাপ্লিকেশনটিতে ক্লিক করার সময় থেকে শুরু করে অ্যাপ্লিকেশান চালু হওয়া পর্যন্ত কতটুকু কাজ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি চিন্তা করুন এই সকল কাজ কেবলমাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পূর্ণ হচ্ছে। তার কারণ র‍্যাম ও প্রসেসরের মধ্যে হওয়া এই প্রক্রিয়া অনেক হাজার গুণ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয়।

কম্পিউটারের র‍্যাম কীভাবে কাজ করে?

অনেকগুলো ট্রানজিস্টার ও ক্যাপাসিটরের সমন্বয়ে তৈরি হয় র‍্যামের মেমোরি সেল। র‍্যামের ক্যাপাসিটরের উদাহরণ হল বালতির মতো তবে তা ফুটো বা লিক। যার কারণে ডাটা নিমেষে খালি হয়ে যেতে পারে। মেমোরি সেল ডাটাকে ০ এবং ১ এই দুই বাইনারি সংখ্যা দ্বারা সংরক্ষণ করে। ডাটা রিচার্জ হলে ১ আর ডিসচার্জ হলে ০ এই কাজ সম্পন্ন হয় মেমোরি কন্ট্রোলারের মাধ্যমে। র‍্যামের কাজ হচ্ছে আপনি যে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান তা হার্ডডিস্ক থেকে এনে নির্দেশ অনুযায়ী রান করবে। তবে আমরা সরাসরি র‍্যামকে নির্দেশ করতে পারি না, সিপিউ দ্বারা র নির্দেশ দিয়ে থাকে।

কম্পিউটার র‍্যামের প্রকারভেদ

আপনারা জানতে পারলেন, র‍্যাম কি এবং র‍্যাম কি কাজ করে। এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো র‍্যামের বিভিন্ন প্রকারভেদগুলোর সম্পর্কে। বর্তমানে প্রায় যেকোনো কম্পিউটিং ক্যাপাবল ডিভাইসগুলোতে র‍্যাম এর দরকার হয়। যেমনঃ- ডেক্সটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ কম্পিউটার, ট্যাবলেটস, এইচডি টিভি ইত্যাদি। আর আপনারা জানেন প্রত্যেক আলাদা আলাদা ডিভাইসগুলোতে ব্যবহার হওয়া র‍্যাম মেমোরি কাজ ও উদ্দেশ্য একই। আমরা সাধারণভাবে দেখতে পারি, কম্পিউটারের র‍্যাম মেমোরি মূলত ৬ টি ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদে দেখা যায়। তবে, প্রত্যেকটি র‍্যাম এর কাজ করার ক্ষমতাও আলাদা আলাদা হতে পারে। কম্পিউটার, স্মার্টফোন র‍্যামের প্রকারভেদঃ

  • SRAM- Static RAM
  • DRAM - Dynamic RAM
  • SDRAM -Synchronous Dynamic RAM
  • SDR SDRAM- Single Data Rate synchronous RAM.
  • DDR SDRAM, DDR2, DDR3, DDR4- Double Data Rate
  • Synchronous Dynamic RAM.
  • GDDR, SDRAM, GDDR2, GDDR3, GDDR4, GDDR5-
  • Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM.

1. Static RAM (SRAM)

আপনারা হয়ত জেনে থাকবেন, SRAMSRAM এই র‍্যাম টা মার্কেটে আনা হয়েছিল ১৯৯০ সালে। আর বর্তমান সময় এসে এই ধরনের র‍্যামগুলোকে ব্যবহার করতেছেন। এটা ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, এলসিডি স্ক্রিন ইত্যাদি ডিভাইসগুলোতে এই স্ট্যাটিক র‍্যামগুলোকে ব্যবহার করা হয়।

2. Dynamic RAM (DRAM)

কম্পিউটারের এই র‍্যামটা প্রায় ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে এই DRAM র‍্যামগুলোর প্রচলন ছিল। বেশিরভাগ দেখা যায় ভিডিও গেমিং কনসোল, নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার এবং এই ধরনের ডিভাইসগুলোতে এই DRAM র‍্যাম গুলো ব্যবহার করা হত।

3. Synchronous Dynamic RAM (SDRAM)

এই র‍্যামটা আপনারা ১৯৯৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই ধরনের SDRAM র‍্যাম ব্যবহার করে আসছি। কম্পিউটার মেমোরি এবং ভিডিও গেমিং কনসোলের ক্ষেত্রে এই র‍্যামগুলোকে ব্যবহার করা হয়।

4. Single Data Rate Synchronous Dynamic RAM(SDRAM)

১৯৯৩ সালের দিকে এই SDR SDRAM গুলো মার্কেটে চলে আসে। বর্তমান সময়েও এই র‍্যাম চলতেছে। আপনারা এই ধরনের র‍্যামগুলো কম্পিউটার মেমোরি এবং ভিডিও গেমিং কনসোলের ব্যবহার করা হয়।

5. Graphics Double Data Rate Synchronous Dynamic RAM (GDDR SDRAM)

২০০৩ সাল এর পর থেকে এই ধরনের র‍্যাম মার্কেটে আসছিলো এবং বর্তমান সময়েও আছে। এইর‍্যামগুলো মূলত ভিডিও গ্রাফিক্স কার্ডগুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে বিশেষ করে এই র‍্যাম তৈরি করা হয়েছে। ভিডিও গ্রাফিক্স কার্ড রেন্ডারিং ও ডেডিকেটেড GPU (গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) এর উদ্দেশ্য এই ধরনের GDDR SDRAM র‍্যাম তৈরি করা হয়েছে। হাই ডেফিনেশন রিয়েলেস্টিক ভিডিও এবং ৭২০ ও ১০৮০ হাই রেজোল্যুশন ডিসপ্লে ভিউ ও গেমিং এর জন্য এই ধরনের GDDR র‍্যাম ব্যবহার করা হয়।

র‍্যাম ও রমের মধ্যে পার্থক্য

সাধারণতভাবে বলতে গেলে, র‍্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি র‍্যাম এবং রিড অনলি মেমোরি হলো রম এই দুটিত মাঝে তেমন বিশেষ কোন পার্থক্য নাই। কেননা এই দুইটি হচ্ছে এমন এক মেমোরি ডিভাইস বা হার্ডওয়্যার সেখানে ডাটা ও তথ্য সেভ করে রাখা হয়। RAM হলো প্রাইমারি স্টোরেজ আর রম হলো সেকেন্ডারি স্টোরেজ। RAM এ সংরক্ষণকৃত ডাটা রেড ও হোয়াইট উভয়ই করা যায় তবে রম এবং সংরক্ষণকৃত ডাটা শুধু রেড করা যায়। RAM মেমোরি ব্যবহৃত হয় টেম্পোরারি স্টোরেজ হিসেবে কিন্তু রম মেমোরি ব্যবহৃত হয় পারমানেন্ট স্টোরেজ হিসেবে।

আপনাদের কম্পিউটারে কতটুকু র‍্যাম থাকা প্রয়োজন?

আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন উত্তর হতে পারে। কেননা, উন্নতমানের ও অধিক ক্ষমতা সম্পূর্ণ থাকা র‍্যাম ব্যবহার করার জন্য আপনার কম্পিউটারে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার। বর্তমান সময়ে DDR3 ও DDR4 মডেলের র‍্যাম ব্যবহার করা হচ্ছে। DDR3 ও DDR4 র‍্যাম আধুনিক ও উন্নতমানের র‍্যাম যেগুলোর কার্যক্ষমতা অনেক ভালো এবং দ্রুত। আপনি যদি ভেবে থাকে একটি নতুন কম্পিউটার ক্রয় করবেন তাহলে আপনি কম্পিউটারে DDR4 এর র‍্যাম ব্যবহার করতে পারেন। আপনার র‍্যামের মেমোরির ফ্রিকুয়েন্সি যত বেশি থাকবে, তত দ্রুততার সাথেও স্মুথভাবে কম্পিউটার কাজ করবে। আপনার র‍্যাম মেমোরির ফ্রিকুয়েন্সি মূলত র‍্যামের দ্রুততার পরিমাণ বোঝায়।

তাই আপনার কম্পিউটারে যত বেশি র‍্যামের ফ্রিকুয়েন্সি থাকবে তত বেশি দ্রুত হবে আপনার র‍্যাম। তাই আমি আপনাদের বোঝানোর জন্য উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, 1600MHz, 2400MHz, 2133MHz, 3200MHZ এছাড়াও আরো অনেক ফ্রিকোয়েন্সির র‍্যাম আছে। এইবার আপনারা এই র‍্যামের মডেল ব্যবহার করার পর তাই এইবার ভাবতে পারেন র‍্যামের সাইজের ব্যাপারে। র‍্যামের সাইজটা র‍্যাম ফ্রিকোয়েন্সির মতই। আপনার কম্পিউটারে যত বেশি র‍্যামের সাইজ থাকবে, তত বেশি স্মুথভাবে কম্পিউটারের সকল কাজ করতে আপনার কোন অসুবিধা হবে না। এতে করে আপনার কম্পিউটারের কাজ করার সময় স্লো হয়ে যাবে না এবং আপনার কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকবে।

আপনার কম্পিউটারে র‍্যামের সাইজ বেশি হওয়া মানেই, আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর দ্বারা কম্পিউটারের সকল কাজ একটি সময়ে অনেক কাজ এক সঙ্গে আপনি করতে পারেন। আমরা মূলত এই কাজকে বলতে পারি মাল্টিটাস্কিং কাজ। আপনার কম্পিউটারের জন্য মার্কেটে আলাদা আলাদা সাইজের র‍্যাম পেয়ে যাবেন। আমরা মার্কেটে র‍্যামের সাইজ দেখতে পারি, ২ জিবি, ৪জিবি, ৮জিবি, ১৬ জিবি, ৩২জিবি এবং ৬৪জিবি। আমার মতে আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার যদি 2400MHZ থেকে 3200MHZ এর ফ্রিকুয়েন্সি থেকে তবে ৮ জিবি র‍্যাম থাকা ভালো।

শেষ কথা

টিউনে আলোচনা করা RAM কি, RAM এর প্রকার ভেদ ও RAM কীভাবে কাজ করে! ইত্যাদি সমস্ত বিষয়গুলো আমি খুব সুন্দর ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশাকরি আজকের পোস্টটি ভালোভাবে পড়লে আপনি কম্পিউটার র‍্যাম সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অনেক বিস্তারিত ধারণা পাবেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে কম্পিউটার বানানোর জন্য এই অভিজ্ঞতা আপনার ব্যাপকভাবে কাজে লাগবে। কারণ আমরা সকলেই জানি র‍্যাম একটি কম্পিউটারের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর আপনি যখন এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জ্ঞান লাভ করবেন তখন আপনার পুরো ডিভাইস খুব সুন্দর ভাবে শক্তিশালী করে সাজাতে পারবেন। এছাড়াও আজকের টিউন নিয়ে যদি আপনার মনে কোনো মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে তা অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা মন্তব্যটি গঠনমূলক হলে অবশ্যই আমি তা আমার টিউনে যুক্ত করে নেব।

তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, RAM কি, RAM এর প্রকার ভেদ ও RAM কীভাবে কাজ করে! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।

Level 6

আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 104 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস