পিসি বা ল্যাপটপ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস সেটা শুধুমাত্র আমরা ইউজাররাই বুঝতে পারি। একটা পিসি বা ল্যাপটপ নষ্ট হলে কতটা ভোগান্তি পোহাতে হয় সেটা আমরা ছাড়া আর কেউই বুঝবেনা। তাই আমরা সব সময় এমনটা চাই যে : -
কোনো দিন ল্যাপটপ বা পিসিটি হ্যাকার দের হাতে না লাগুক।
এমনটা তো সকলেরই চাহিদা। কিন্ত শতকরা কয়জনের ভাগেই বা এমনটা যোটে? তবে আমি আজকে আমার টেক্সট এর 90% গ্যারান্টি দিতে পারি। আপনি আজকে থেকে আমার টিউনে দেওয়া গাইডলাইন মোতাবেক চলতে পারেন। এতে হয়তো উপরের চাহিদা গুলোর বেশীরভাগ চাহিদাই আপনার ক্ষেত্রে পূরণ হতে পারে।
সবার প্রথমেই আমাদের যেই কাজ টি করা উচিৎ নয় সেটি হচ্ছে আপনার পিসির কোনো অংশ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত হয়। বিশেষ করে যেই জায়গা গুলোতে ফ্যান রয়েছে। এবং যেই জায়গা গুলোতে ছোটো ফাঁকা রয়েছে। পিসি বা ল্যাপটপ এর প্রসেসর প্রতিনিয়তই গরম হতেই থাকে। যখন পিসি চালু থাকে তখন।
এমন সময় বাতাস চলাচলের জন্য কিছু পরিমাণ ফাঁকা জায়গার দরকার হয়। সেই কারণে পিসি কিংবা ল্যাপটপ ঢেকে রাখা উচিত নয়। এতে করে বাতাস চলাচল করতে পারেনা। ল্যাপটপ এর যেই অংশ দিয়ে খোলা জায়গা থাকে সেই অংশ সব সময় খোলা রাখা উচিৎ।
এই ভুল টি খুবই কমন একটি ভুল। ৯৮% মানুষই এইখানে ভুল করে থাকে। এবং বেশীরভাগ লোক কেই বলে দেওয়ার পড়েও তারা এই ভুলটি করে বসে। আমি নিজেও কয়কবার এমনটা করেছি। ভুল টি সমাধানের জন্য প্রথমে আপনার পিসি থেকে This PC অথবা Computer মেনু তে ঢুকবেন। Local Disk C নামে একটি ড্রাইভ পাবেন।
এই ড্রাইভ টি হচ্ছে আপনার ল্যাপটপে ওরWindows ব্যবহার এর জ জিইন্য সমস্ত গুরুত্তপূর্ণ ফাইল এইখানে রাখা আছে। এই ড্রাইভের কোনো ফাইল ভুলেও ডিলিট করতে যাবেন না। তাহলে তখনই আপনার পিসির উইন্ডোজ নষ্ট হয়ে যাবে। নতুন করে উইন্ডোজ ইনস্টল করতে হবে। আর যারা নিউ ইউজার তাদের এই ড্রাইভ টি ছোঁয়ার ও দরকার নাই এখানকার কোনো ফাইল আপনার কোনো কাজে আসবেনা।
আমরা অনেকেই আছি যারা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পছন্দ করিনা। অথবা অ্যান্টিভাইরাস কে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ন মনে করি না। আবার অনেকেই আছি যাঁরা অ্যান্টিভাইরাস চিনি ও না। যারা চিনেন না তারা নিচের প্যারা থেকে জেনেনিন।
অ্যান্টিভাইরাস কি?
অ্যান্টিভাইরাস হচ্ছে মূলত একটি অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়ার যা আমাদের পিসির সমস্ত ভাইরাস নষ্ট করে ফেলার চেষ্টায় থাকে নতুন কোনো ভাইরাস ঢুকার চেষ্টা করলে তাকে ঢুকতে বাধা দেয়। কোনো প্রকার ফাইল ওপেন, সফটওয়ার ইন্সটল, ডাউনলোড ও ওয়েব ব্রাউজিং এর সময়ে যেনো কম্পিউটারে কোনো প্রকার ভাইরাস ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে। এবার আপনি বুঝে নীন সফটওয়ার টি কতটা গুরুত্তপূর্ণ।
অনেকেই আছেন যে এন্টিভাইরাস পছন্দ করেন না। অ্যান্টিভাইরাস রাখা উচিৎ। কিছু কিছু ওয়েব সাইট আছে যেগুলোতে ঢুকলেই পিসিতে ভাইরাস ঢুকে পরে। এমন সময়ে অ্যান্টিভাইরাস খুবই গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমরা অনেকেই আছি যে সফটওয়্যার ইনস্টল এর সময়ে যখন সামনে Next বাটন আসে তখন কোনো চিন্তা ভাবনা না করেই হুট করেই বাটনে ক্লিক করে ফেলি। আবার যখন Allow বাটন সামনে আসে তখন জলদি করে ক্লিক করে ফেলি। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হয় আমরা Next এর পর Next ক্লিক করে সফটওয়্যার ইনস্টল করে ফেলি। এমনটা করা সঠিক নয়। এতে অনেকটাই ঝুঁকি আছে।
কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল এর সময়ে যখন সামনে Next অথবা Allow বাটন আসে তখন সেই সফটওয়্যার টি সঠিকভাবে ব্যবহার করার করা কম্পিউটারকে ঠিক যেমন ভাবে সেট করা প্রয়োজন তেমন ভাবে অটোমেটিক সেট হয়ে যাওয়ার একটি নোট তখন আপনার সামনে চলে lolআসে। আপনি Next বা Allow বাটন এ ক্লিক করলে আপনার অজান্তেই সফ্টওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য যেমন ভাবে সেট হাওয়া দরকার তেমন ভাবে সেট হয়ে যায়। এতে আপনার সুবিধা কম। বরং অসুবিধা হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কখনও কখনও একটি সফটওয়্যার ব্যবহার এর জন্য আরো একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন পড়ে। তখন সফটওয়্যার এর Developer রা সফটওয়্যার টিকে এমন ভাবেই তৈরী করে দেয় যে, আপনার সফটওয়্যারটি ইনইনস্টল এর সময় এই Next বা Allow বাটন সামনে আসবে। আপনি সেই Next বা Allow বাটন এ ক্লিক করলে এই সটওয়্যারটি ভালোমত কাজ করার জন্য অন্য যে সমস্ত সফটওয়ার প্রয়োজন সবগুলো ইনস্টল হয়ে যাবে। ইহা হয়ত খুবই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
কারন হচ্ছে যে আপনি যেই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে যাচ্ছেন সেটিতে হয়তো কোনো ভাইরাস নেই। কিন্তু আপনি Next বাটনে ক্লিক করার পরে যেই সহকারী সফটওয়্যার গু ওরলো আপনার অজান্তেই ইনস্টল হয়ে যাবে সেই সফটওয়্যার গুলোতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস পাওয়া যায়। ইহা মূলত আপনার কম্পিউটার কে হ্যাক করারই একটি প্রসেস। যা আপনি বুঝতেই পারবেন না আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে পড়েছে।
আমরা অনেকেই মনিটর পরিষ্কার করার জন্যে ভিজা কাপড় ও যেকোনো পানি জাতীয় ক্লিনার অথবা কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে থাকি। যেটা হয়তো আমাদের একটি ভুল অভ্যাস। কারণ এই মনিটর হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। এবং ইহা কোনো Water Proof ডিভাইস নয়। তাই মনিটর এর স্কিনে পানি ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মনিটর এর স্কিন মনিটরের স্কিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকেনা। মনিটরের গ্লাসে বিভিন্ন অংশে খুবই ছোট ছোট হোল থাকে যা আমরা চোখেই দেখতে পারিনা। সেই ছোট ছোট হোল এর মধ্যে দিয়ে পানি ঢুকার সম্ভাবনা থাকে।
আর গ্লাস মুছার মেডিসিন দিয়ে ভুলেও পরিষ্কার করবেন না। ইহা তো আমি আরো আগে নিষেধ করবো। আয়না দেখার গ্লাস আর মনিটরের গ্লাস এর মধ্য অনেক তফাৎ রয়েছে। আয়না পরিষ্কার করার মেডিসিন মনিটরে ব্যবহার করলে এমন হতে পারে যে সেই মেডিসিন আর গ্লাস থেকে উঠবেনা। এবং আপনার স্কিন ঘোলা হয়ে যেতে পারে।
তাহলে বুঝুন ব্যাপার টা কতটা মারাত্মক। আমি তো বলি মনিটরের স্কিন মোছার জন্য মনিটরে ব্যবহার এর জন্য যেই ক্লিনার পাওয়া যায় অথবা চশমার গ্লাস মোছার জন্য যেই মেডিসিন আছে সেগুলো ব্যবহার করতে। অথবা চশমা মোছার কাপড় খুবই অথবা যেকোন কাপর খুবই হালকা করে ভিজিয়ে গ্লাস পরিষ্কার করা যায়। মনে রাখবেন, কাপড় বেশি ভেজা হলে স্কিন এর ভিতর দিয়ে পানি ঢুকতে পারে।
আমরা অনেকেই আছি যারা পিসির সাথে জোর জবরদস্তি করে থাকি। বিশেষ করে ডিভিডি রমের সাথে। ডিভিডি রম এর বাটন আছে ভাই। সেটায় ক্লিক করে ডিভিডি রম চালু ও বন্ধ করা উচিৎ। ডিভিডি রম জোরে ধাক্কা দিয়ে লাগানোর সময় পুরো পিসিটি ধাক্কা খায়।
এতে পিসির মাদারবোর্ড এর ছোটো ছোট কানেকশন গুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। এবং মাদারবোর্ড এর সাঠে অন্য কোনো হার্ডওয়ার এর কানেকশন নষ্ট হয়ে পিসি অফ হয়ে যেতে পারে।
আশাকরি আমার এই গাইডলাইন গুলো ফলো করলে আপনি আপনার পিসিকে অনেক দিন যাবত ব্যবহার করতে পারবেন। আর আমার টিউন টি যদি আপনার একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমার আমার ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে ভুলবেন না।
আমি টেন আইটি বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।