পেইপ্যাল সেবায় আসছে বাংলাদেশ শিগ্রি

বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে অনলাইন আউটসোর্সিং খাতের জনপ্রিয় অনলাইন মার্চেন্ট পেইপ্যাল। চলতি বছরের মধ্যেই এই সেবা বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ‍জুনাইদ আহমেদ পলক, যার প্রত্যাশায় রয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের

উদ্যোক্তারা।

তিনি বুধবার বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে পেইপ্যাল সেবার পুরোপুরি না এলেও এই পেমেন্ট সিস্টেমের বেশিরভাই সুবিধা বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে।”

পেইপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে সহায়তা দিয়ে থাকে। অননলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে পেইপ্যালের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, তাদের তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্তির তালিকায় নিয়ে আসতে কৌশলগত দিক নিয়ে কথা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ, নীতিমালা, অবকাঠামো সুবিধা ও ফ্রিল্যান্সারদের কাজকর্ম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের।

পেইপ্যাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পেইপ্যালের একটি প্রতিষ্ঠান জুম এ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ কাজ শুরু করবে বলে আশা করি। এর মাধ্যমে পেইপ্যাল যে সেবা দেয়, তার ৮০ ভাগ পাওয়া যাবে।”

জুম বাংলাদেশ কাজ শুরুর পর পেইপ্যালের পুরোপুরি সুবিধা চালু করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পলক। বর্তমানে প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারী ২৬টি মুদ্রায় পেইপ্যালের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকে।

একটি পেইপ্যাল একাউন্ট খোলার জন্য কোনো ব্যাংক একাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। পেইপ্যালের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রহীতা পেইপ্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে চেকের জন্য আবেদন করতে পারে, অথবা নিজের পেইপ্যাল একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতে পারে অথবা তার পেইপ্যাল একাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক একাউন্টে অর্থ জমা করতে পারে।

বিশ্বের ৩৭টি দেশে প্রায় ১৩ লাখ গ্রাহককে অনলাইন অর্থ লেনদেন সেবা দিচ্ছে জুম। অনলাইন অর্থ লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জুমকে এ বছরের মধ্যেই কিনে নিচ্ছে পেইপ্যাল।

মেক্সিকো, ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশে সেবার পরিধি বাড়াতেই পেইপ্যাল জুম কিনছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ।

ঈদের ছুটির আগে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। জুম সেবা দেশে শুরুর বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর এবং তারপর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। বিষয়টি মন্ত্রিসভা বৈঠকেও জানাবেন বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

২০১১ সালে থেকে বাংলাদেশ পেইপ্যাল এর সেবা শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে পেইপ্যাল চালুর আশ্বাসও দিয়েছিলেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে পেজা, স্ক্রিল ও পেওনিয়ার সেবা দিচ্ছে।

 

ফেসবুক

ফেসবুক লিঙ্ক

Level 0

আমি হৃদয় আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

পেপাল আসবে বলে মনে হয় না। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাংক টু ব্যাংক মানি ট্রান্সফার পদ্ধতিই অনেক দুর্বল সেখানে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে টাকা ট্রান্সফার অনেক দূরের ব্যাপার। এল সি ছাড়া বিদেশে টাকা ট্রান্সফারের কোনও অফিসিয়াল সুযোগ এখনও বাংলাদেশে নেই। আমাদের মান্ধাতার আমলের ব্যাংকিং পলিসির কারণে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়েগুলো এখানে আসতে চায় না। আমাদের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের জ্ঞান এবং দক্ষতা দুটোই বাড়াতে হবে। তার আগ পর্যন্ত পেপাল আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এটাই বাস্তবতা।

thik

পেপাল আসার কোন সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশে

asbe but somoy nibe amer mone hoye