একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কি করবেন।
ফ্রিলান্স বর্তমান সময় একে জনপ্রিয় নাম। দেশে অধিকাংশ বেকার তরুণ বর্তমানে তাদের আর্থিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য ফ্রিল্যান্স কেই বেছে নিচ্ছেন। তাছাড়া অনেক কর্মঠ ব্যক্তি ও চাকরি ছেড়ে ফ্রিলান্স কেই বেছে নিয়েছেন ফুলটাইম কাজ হিসেবে।
ফ্রিল্যান্সিং কি:
অন্যের অধীনে না থেকে মুক্ত ভাবে কাজ করাকে বুঝায় ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা। যারা এধরনের কাজ করেন তারা সাধারণত ফ্রিলান্সার নামে পরিচিত। এ কাজে নির্দিষ্ট কোন পারিশ্রমিক থাকেনা, থাকেনা কোন এই ভাতা যা থাকে তা হল স্বাধীনতা। একাজে আপনাকে আপনার বসের কোন গালমন্দ শুনতে হবে না। অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করতে হবে না। অফিসে দেরি করে গেলে কারো কথা শুনতে হবে না কারন এখন আপনি নিজে আপনার বস। আপনি যেখানে যাবেন সেটাই আপনার অফিস।
আপনি যদি ফ্রিলান্সিং পেশায় আসতে চান তবে কিভাবে সফল হবেন?
দেখুন সফলতা এমন কোন সোনার হরিণ নয় যে আপনি তা অর্জন করতে পারবেন না। আমরা মানুষেরা সব সময় একে কঠিন করে দেখি বিধায় এটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফ্রিল্যান্সিং বা অন্য যে কোন পেশায় যদি আপনি আসতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে। এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে ধৈর্য নামক অস্ত্রকে ধারালো করে তুলতে হবে। মনে রাখবেন আপনার ধৈর্য যত বেশি যেকোনো কাজে আপনার সাফল্যের হার ও ততবেশি। তাই কখনো ধৈর্য হারাবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং এ কি ধৈর্যের কোন বিকল্প আছে?
উত্তর হলো না। আপনি যদি পৃথিবীর বড় বড় ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে কোচিং নিয়ে থাকেন তবে তা আপনার কোন কাজে আসবে না যদি আপনি ধৈর্য হারা হন।
বেশিরভাগ নতুনরা কেন কিছুদিন কাজ করার পরে সেক্টর থেকে চলে যাচ্ছে:
বেশিরভাগ নতুন যারা এই সেক্টরে কাজের আশা আসে তাদের মধ্যে প্রায় 10% মানুষ সফল হয়। আর বাকিরা ছেড়ে চলে যায়। এ কারণ হলো তারা এক থেকে দুই মাস পরে এখান থেকে কোন ফিডব্যাক না পাওয়া। মনে রাখবেন এমন ও মানুষ আছে যারা এ সেক্টরে এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে অর্থের মুখ দেখেন নি কিন্তু একটি সময়ে তারাই পৃথিবী শ্রেষ্ঠ ফ্রিলান্সার হয়েছে।
আমি মনিরুজ্জামান মুন্না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।