সবাই কেমন আছে.
১. বিজ্ঞাপণ থেকে আয়ঃ
আপনার ওয়েবসাইটে যদি বেশ ভাল ট্রাফিক (ট্রাফিক হচ্ছে ভিজিটর বা মানুষ যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে) থাকে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অন্যান্য কোম্পানীর বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।
যেমন- আমরা প্রায় সময়ই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকলে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপণ দেখে থাকি। এই জাতীয় বিজ্ঞাপণ গুলো ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করানোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে যে কোম্পানির বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করাবেন সেই কোম্পানী আপনাকে একটি নির্দিষ্ট মূল্য পে করবে তাদের বিজ্ঞাপণ আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করানোর জন্য।
তাহলে এবার বলতে পারেন, এই সকল কোম্পানির বিজ্ঞাপণ পাব কোথায়? এই ধরনের বিজ্ঞাপণ পাওয়ার জন্য অনলাইনে অনেক জনপ্রিয় সাইট আছে (যেমন- গুগল অ্যাডসেন্স)। এই সকল সাইট থেকে কিভাবে অ্যাড নিবেন এবং কিভাবে আয় হবে সেটা নিয়ে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে বিস্তারিত আলচনা করা হবে। এখন শুধুওয়েবসাইট থেকে আয় করার কিছু প্রসেস সম্পর্কে জানি।
২. নিজের কোন পন্য বিক্রি করে আয়ঃআপনার ওয়েবসাইট যদি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রতিদিন বেশ ভাল ট্রাফিক থাকে তাহলে আপনি আপনার নিজের তৈরি করা কোন পন্যের বিজ্ঞাপণ সেখানে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনি আপনার পন্যের জন্য বেশ ভাল সেল পেতে পারেন। তবে এটা শুধুমাত্র, যদি আপনার তৈরি করা কোন প্রোডাক্ট থাকে তাহলেই সম্ভব। আপনার যদি বিক্রি করার মত কোন পণ্য না থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনেকটা সেলসম্যান এর মত। এখানে, আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে দিতে হবে এবং প্রতিবার যখন আপনি অন্য কোম্পানির কোন পণ্য আপনার নিজের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন তখন আপনাকে সেই বিক্রয়কৃত অর্থ থেকে কমিশন দেয়া হবে। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে এই জাতীয় মার্কেটিং করতে পারেন। নিজের সাইট বা ব্লগ করে আমাদের দেশে অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন। কাজেই আপনিও এই জাতীয় কাজ করে আয় করতে পারেন।
৪. ইমেইল কালেকশনঃ আমরা সবাই মোটামুটি কম বেশি নেট থেকে বই, গান, ভিডিও ইত্যাদি ডাউনলোড করে থাকি। তবে, মাঝে মাঝে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বই বা মুভি ডাউনলোড করতে গেলে আমরা দেখে থাকি আমাদের ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে বলে। আমরা ইমেইল অ্যাড্রেস দিলে তারপর আমাদেরকে সেটা ডাউনলোড করতে দেয়। কিন্তু কেন এমনটা হয়, কেন ইমেইল এর ঠিকানা চায় ওই ডাউনলোড সাইট গুলো? এটা হচ্ছে এই জন্য যে, আপনি গান ডাউনলোড করার সময় আপনার যে ইমেইল এড্রেসটি দিবেন সেটি ওই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ সংরক্ষন করে রাখবে। এই ভাবে যতজন ওই গানটি ডাউনলোড করতে তত জনের ইমেইল অ্যাড্রেস তার কাছে থাকবে।
এই ভাবে ধরলাম, ১০০০ জনের ইমেইল ওই ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে জমা হল। এবার তিনি ওই ১০০০ ইমেইল অ্যাড্রেস বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটারদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। কারন, অধিকাংশ ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অ্যাক্টিভ ইমেইল অ্যাড্রেস এর তালিকা প্রয়োজন পরে। এই জন্য বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটাররা ইমেইল অ্যাড্রেস কিনে নেয় নিজেদের মার্কেটিং করার জন্য। আর আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং আপনি এইভাবে ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করতে পারেন, তাহলে আপনিও এই ইমেইল অ্যাড্রেস গুলো বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
আপনারা যারা কম খরচে ওয়েবসাইট/ কাস্টম ব্লগ তৈরির কথা ভাবছে। তারা এখান থেকে কিনতে পারেনঃ এখানে ক্লিক করুন
আমি Freelancer Sabbir। Senior Web Developer, Jessore। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 5 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
User experience designer based in Bangladesh. I am Sabbir Hossain from Jessore, Bangladesh offering you a very low cost effective high quality professional custom website