অন্দরে এখন এলইডি বাতির ব্যবহার তো আছেই, সঙ্গে সঙ্গে ঘরের বাইরের বাতিরও কদর বাড়ছে। বাড়ির সামনের লন, বসতবাড়ির বাগান, রাস্তাঘাট বা সড়কে কিংবা কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে আউটডোর এলইডি লাইট। এসব বাতির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। আউটডোর এলইডি বাতি তৈরি করে বা আমদানি করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এমন এলইডি আউটডোর লাইটের এখন চাহিদা অনেক।
রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাড়িতে দেখা গেল এমন আউটডোর এলইডি লাইটের ব্যবহার। বাড়ির উঠানে তিনি ব্যবহার করেছেন এই বাতি। কারণ জানতে চাইলেই বললেন, উঠানে এক পাশে ব্যাডমিন্টন খেলা হয়। এক পাশে আড্ডা হয়। এ ছাড়া এপাশে পশুপাখির বসবাস। সব এলাকায় ভালোভাবে আলো নিশ্চিত করতে তিনি এই আউটডোর এলইডি লাইট নিয়েছেন। এগুলো আগের চেয়ে অনেক আধুনিক বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসিন্দা মাজেদুল হক তাঁর ছাদের বাগানে লাগিয়েছেন আউটডোর এলইডি বাতি। তিনি বলেন, ‘দিনের বেলা অফিসে থাকার কারণে গাছের যত্ন নিতে পারি না। তাই রাতকে বেছে নিয়েছি। প্রতিটি গাছের অবস্থা ভালোভাবে দেখার জন্য ভালো আউটডোর এলইডি বাতি লাগিয়েছি। এতে গাছ দেখতে সুবিধা হয় আর পানি দেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য অবস্থা জানতে সহজ হয়। তাই ব্যবহার করেছি এই বাতি। ’
সুপারস্টার গ্রুপ বিক্রি করে তিন ধরনের এলইডি বাতি। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড নির্বাহী ইমরান কায়সার বলেন, সুপার স্টারের তিন ধরনের এলইডি আউটডোর বাতি রয়েছে। এসব হচ্ছে, ফ্ল্যাট লাইট, স্ট্রিট লাইট ও হাইবে লাইট।
ফ্ল্যাট লাইট
ফ্ল্যাট লাইট
ইমরান কায়সার জানান, এই বাতি মূলত বাগানে, বাড়ির লনে; এ ছাড়া রাতের বেলায় নির্মাণকাজ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। মানুষ এসব কাজে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। এসব লাইটের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, আলো একেবারে স্বচ্ছ। লাইটের দাম নির্ভর করে ওয়াটের ওপর। ওয়ার্ড যত বেশি, দামও তত বেশি। এই লাইট শুরু হয় ৫০ ওয়ার্ড থেকে। পাওয়া যায় ৩০০ ওয়াট পর্যন্ত। আর দাম শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ থেকে। আর ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়াটের লাইট পাওয়া যায়।
স্ট্রিট লাইট
স্ট্রিট লাইট
নাম শুনেই বোঝা যায়, এই স্ট্রিট এলইডি লাইট রাস্তায় ব্যবহার করা হয়। এখন রাতের বেলায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আলো জ্বালাতে এসব লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এসব লাইট বেশি ব্যবহার করছে। তবে বিভিন্ন হাউজিংয়ের আলোর সুবিধা নিশ্চিত করতে এসব লাইটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই লাইট শুরু হয় সাত হাজার টাকা থেকে। আর এর ওয়াট যত বেশি, দামও দিতে হবে ততই বেশি।
হাইবে
হাইবে
সুপার স্টারের এই লাইট অনেক বড় জায়গায় কাজ হচ্ছে, তখন ব্যবহৃত হয়। দেশে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় ধরনের কলকারখানা বাড়ছে। বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ দেশে যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করছে বড় পরিসরে। পাশাপাশি দেশি প্রতিষ্ঠান তো আছেই। অনেক কর্মী এক জায়গায় কাজ করেছে এমন স্থানে বা কলকারখানায় এই লাইট ব্যবহার করা হয়। দাম ছয় হাজার থেকে শুরু হয়।
সুপার স্টারের পাশাপাশি ফ্ল্যাট লাইট, স্ট্রিট লাইট ও হাইবে লাইট বাংলাদেশে বাজারজাত করে এনার্জিপ্যাক। প্রতিষ্ঠানটির বিপণন কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, এখন বাজারে আউটডোর এলইডি বাতির চাহিদা তৈরি হয়েছে। মানুষ বেশি আলো পেতে এসব লাইটের সাহায্য নিচ্ছে। এ জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের এসব লাইটের বিক্রিও বেড়েছে।
আমি ফয়সাল আহমেদ জুবায়ের। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।