জুলকার জলওয়া [পর্ব-০৪] :: ইন্টারনেটে ধনী হওয়ার সিক্রেট সূত্র জেনে নিন

টিউন বিভাগ আউটসোর্সিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

হয়তো উপরের শিরোনামটি পড়ে অবাক লাগতে কেননা ইন্টারনেট হয়তো আপনাকে গুগল, ফেসবুক উপহার দিয়েছে কিন্তু কাউকে তো সরাসরি টাকা দেয়নি তাইনা?
আসুন আজ আমরা ইন্টারনেটে সফল হওয়ার সিক্রেট ফর্মুলা শিখে নিই.

কতো টাকা হলে ধনী হওয়া যায়?
আপনার কাছে ১০০ টাকা থাকলে আপনি তার চেয়ে গরীব যার নিকট ১০১ টাকা রয়েছে; আর পৃথিবীর সবাইকে যদি সকল সম্পদ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়াও হয় তবে অন্তত এমন একজন থাকবে যার নিকট অন্যের চেয়ে কিঞ্চিৎ হলেও সম্পদ বেশী থাকবে সুতরাং ধনী হওয়ার বিষয়টা পুরোটাই আপেক্ষিক এবং একইসাথে অসীম।
"সুতরাং ধনী বলতে আমরা বুঝবো স্বাচ্ছন্দ্য স্বাবলম্বী হওয়া"

কি করবেন- কেন করবেন- কীভাবে করবেন?
আপনি হয়তো ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেটের কল্যাণে এমন কিছু আউটসোর্সিং এর নাম শুনেছেন যারা বিজ্ঞাপণ [এডভারটাইজমেন্ট] দেখার বিনিময়ে আপনাকে সামান্য ২/৪ আনা পয়সা দেয়। এখানে আপনি আপনার সবচেয়ে মূল্যবান সময় + শ্রম [নিখাত চোখের বিরক্তিকর উপদ্রব সহন অর্থে] + মেগাবাইট ফুরিয়ে ইনকাম করছেন মাত্র ৫/১০ টাকা?!
অথচ এই সময়েই হয়তো বিশ্ববাজারে ইন্টারনেট মার্কেটিং দুনিয়াতে লক্ষ ডলারের এসাইনমেন্ট সাইন হয়ে গেল কিংবা কম্পিউটার প্রোগামিং ইতিহাসে তৈরী হয়ে গেল যুগান্তর এক সফটওয়ার, আর আপনি?
সুতরাং আপনি কি কাজ করেন সেটা বড় কথা নয় বরং আপনি সেই কাজ হতে কেমন বেনিফিট লাভ করছেন সেটাই আসল কথা!
যদিও উন্নতির তরে পরিশ্রমের বিকল্প নেই কিন্তু গাধার মতো একটানা খাটুনী করা বোকামী; আপনি যা করবেন তাতে লাভের আশায় বুক না বিধে লাভের হিসাব সরল পাটিগণিতে মাথা খাটান!
উদাহরণস্বরূপ "একজন কম্পিউটার প্রোগামার কতো কষ্ট করে প্রেগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এনালাইসিস করে একটা প্রোগাম তৈরী করেন অথচ হ্যাকার ঐ প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে তার হ্যাকিং লীলা চালায়" এখানে একজন প্রোগামার অবশ্যই জ্ঞানী কিন্তু একজন হ্যাকার অবশ্যই বুদ্ধিমান সুতরাং মনে রাখবেন "মেধায় সফলতার চাবিকাঠি"

ইন্টারনেটে ইনকাম:
ইন্টারনেটে ইনকাম বলতে অনেকে আউটসোর্সিং কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করার চিন্তাতে আগডুম বাগডুম হয়ে ষতঃপর ঘোড়াডুম সেজে ক্লান্ত হয়ে ক্ষান্ত দেন অথচ প্রায়ই তারা চূড়ান্ত সফলতার শীর্ষে পৌছে গিয়েছিলেন বটে, সুতরাং হাল ছেড়ো না বন্ধু।
মাইক্রোসফট এর জনক বিল গেটস আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক অথচ মাইক্রোসফটের মূল ইনভেনশনস হলো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস যেটা নিছক কোডিং - প্রোগামিং এর আবিষ্কার ছাড়া আর কিচ্ছু না।
সুতরাং আপনি যদি প্রোগামিং জানতেন তবে আপনিও হয়তো এমন কিছু তৈরী করে ফেলতে পারতেন!
ফেসবুক একটি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ছাড়া আর কিছুই না যেখানে আছে ডোমেইন-হোস্টিং আর স্রেফ একটা সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সফটওয়ার ; তাহলে আপনি কেন মার্ক জুকারবার্গ নন?
আপনি কি জানেন Open Source Social Network [OSSN] এর জিপ ফাইল হতে আপনি নিজেই বানাতে পারেন ঐ ফেসবুকের মতোন একটা ওয়েবসাইট? আবার সফট্যাকুলাস এর জগতে আপনি স্রেফ এক ক্লিকেই হয়ে যেতে পারেন স্বয়ং ফেসবুকের মালিক। আর ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করলে বলবো "চেষ্টা থাকলে ফ্রিতেও ফ্যান্টাসটিক কিছু করা যায়" যেমন ফ্রি ডোমেইন আর ইনফিনিট ফ্রি হোস্টিং!
ট্রাস্ট মি শুধুমাত্র ফেসবুক নয় চাইলে আপনি নিজেই ইউটিউব কিংবা টুইটার, জিমেইল কিংবা ফোরাম সাইট তৈরী করতে পারেন খুব সহজে আদতে এখানে "আপনার চাওয়াটাই" আসল কথা!
আপনি যদি কোন অফিসে চাকুরী করতেন তবে নিশ্চয়ই প্রতিদিন ফরমাল সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়ে অফিসে যেতে হতো যাতে বসের মন জুগিয়ে চলা যায় আর মাসশেষে সেলারী নিয়ে রিকশা চড়ে বাড়ি ফিরতেন।
ঠিক এইরকমই Google আপনার নিজের বানানো ওয়েবসাইটে এডভারটাইজ [এডসেন্স] এর বিনিময়ে আপনাকে বেশ ভালো মোটা অংকের টাকা সেলারী দিতে পারে, তবে তফাত হইলো আপনি ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন আর তাতে সাদা শার্ট নয় শুধু হাফপ্যান্ট পড়েও আপনি নিজেই নিজের বস হয়ে যেতে পারবেন অর্থাৎ আউটসোর্সিং মানেই মুক্ত পেশা।
ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করাও সম্ভবপর যদি আপনার ভেতর তেমন দক্ষতা থাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ধরা বাধা কোন সীমা নেই তথাপি আপনি ওয়েবসাইট বিল্ডআপ, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ডেভেলপিং ইত্যাদি হতেও প্রচুর ওয়ার্ক অর্ডার পেতে পারেন। আপনি বাংলাদেশের কোন কোম্পানির ওয়েব ডেভেলপিং করলে যেখানে ৫০০০ টাকা ইনকাম করতেন সেই একই কাজ বিদেশী প্রতিষ্ঠানের জন্য করলে ৫০০০০ হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারতেন; আসলে টাকার মান নির্ভর করে আপনার বুদ্ধির ওপর আপনার পরিশ্রমের ওপর নয়।
আবার আপনার যদি ভালো ভাষা দক্ষতা থাকে তবে আপনি ট্রান্সলেট বা অনুবাদ করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। এমন অনেকে আছেন যাদের ব্যক্তিগত থিসিস এনালাইসিস করতে বিভিন্ন বিদেশী ভাষার বই অনুবাদের প্রয়োজন হয়; আপনি অনুবাদক হয়ে উক্ত ব্যক্তির মর্জিমত কাজের বিপরীতে বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি নিজে যদি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তবে ইন্টারনেটে আপনার যারপরনাই কদর আছে; এমন অনেক পাবলিশার আছেন যারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাইটিংস ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকেন।
শুধু লেখালেখিতে ফ্রিল্যান্সিং কেন বরং এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা আপনার লেখনীর বিনিময়ে হাজার হাজার ডলার পে করে থাকেন। শুধুমাত্র লেখনীর ক্ষেত্রে আপনার ভাষা দক্ষতা আর লেখনী প্রতিভা থাকলেই আপনি হয়ে যেতে পারেন সাকসেসফুল সেলিব্রেটি!
এছাড়াও এফিলিয়েট, সোস্যাল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, রিভিউ- রিপোর্ট- কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি শিখেও আপনি একজন আদর্শ ফ্রিল্যান্সার হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

ব্যতিক্রমী কিছু উদ্ভট ভাবনটা যা আপনার লাইফ পাল্টে দিবে:
সবার আগে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে শিখতে হবে তাহলেই আপনি লাইফে সফল হতে পারবেন কেননা "উইথ আউট ড্রিম ইউ উইল বি ড্যামেজ"।
আপনি নিজেই Google এর মতোন একটা সার্চ ইঞ্জিন লাউঞ্চ করবেন কথাটা যতোটা না অসম্ভব তার চাইতে আপনি হাসিটাই বেশী অসহ্যকর কেননা আপনি কি জানেন Google ছাড়াও Bing, DuckDuckGO, Yahoo, AoL, Baidu এর মতোন সার্চ ইঞ্জিন ইন্টানেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে?
সার্চ ইঞ্জিন তৈরী করা খুব একটা কঠিন কাজ এমন নয় কেবলমাত্র আপনার ওয়েবসাইট ইনডেস্কে সংরক্ষিত ডাটা খুঁজে পেতে কিওয়ার্ড বাই সার্চ আউট টেকনিক প্রতিষ্ঠাপন করলেই তৈরী হয়ে যাবে আপনার নিজের সার্চ ইঞ্জিন।
আপনি নিজেই পারেন স্বয়ং ফেসবুকের মতোন একটা সোস্যাল নেটওয়ার্ক তৈরী করতে তাতে সারা বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের মানুষ নিজেদের যোগাযোগ আর সুখ দুঃখের আদানপ্রদানে আপনাকে সময়ের সেরা সেলিব্রেটি জুকারবার্গ বানিয়ে দিতে পারে।
আবার ইন্টারনেটে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে আপনি নিজেই তৈরী করতে পারেন আলিবাবা এর মতোন একটা ওয়েবসাইট তাতে আপনিও হতে পারেন এই যুগের জ্যাক মা!
এছাড়াও আপনি চাইলে উবার এর মতোন ট্যাক্সি এপ বানিয়ে বাংলাদেশে ট্যাক্সি বিজন্যেস শুরু করতে পারেন; এপপাই অটো অ্যাপস বিল্ডার সাইট অনায়েসেই আপনাকে তৈরী করে দিবে এমন অ্যাপস। আবার উবার ক্লোন স্ক্রিপ্ট হতেও আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন নয়া একটা দেশী উবার!
হয়তো এই সকল কথা শুনতে অসম্ভব স্বপ্নের মতোন মনে হতে পারে তবে স্বপ্নকে সত্যি করতে পারলে তবেই তো হবে স্বার্থক সেলিব্রেশন!

শেষকথা: লাইফে সফল হতে হলে ইন্টারনেটের "ই" থেকে "ইয়াহু" বলা শিখতে হবে; সেজন্য প্রয়োজন একান্ত নিষ্ঠা, একাগ্রতা, ধৈর্য্য এবং একটানা প্রচেষ্টা।
হয়তো জীবনে অনেক বাধাবিঘ্নতা আসবে তবুও আপনার মাথাতে এমন সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন যেন সফল না হওয়া পর্যন্ত আপনার প্রোগাম(প্রচেষ্টা) রানিং(চলমান) থাকে; আস্তে আস্তে নিজের লাইফের টার্গেটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকুন, থেমে যাবেন তো হেরে যাবেন।

যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমাকে পেতে পারেন→জুলকার নাইন

Level 0

আমি জুলকার নাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস