প্রথম দিকে মানুষ যখন অনলাইন আয় সম্পর্কে জানলো তখন মানুষের মনে প্রথম প্রশ্ন জাগত যে আসলেই কি অনলাইন আয় করা যায়। অনেকেই ডেসটিনি বা ডোলাঞ্চারের সাথে অনলাইন আয় কে মিলিয়ে ফেলতেন। এর অন্যতম কারন,
এধরনের আরও অনেক কারন আছে যেইগুলা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। তাই এই সম্পর্কে আর বললাম না।
আচ্ছা এখনতো অন্তত ফ্রিলান্স সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা কমেছে। কিন্তু এখন যেই বিষয়টা সবথেকে বেশি নাড়া দেয় সেটা হচ্ছে মানুষ ঠিক কোন কাজটা শিখবে তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগে। অসলফল হওয়ার পেছনে এটাই বড় কারন। কারন, যেই ব্যাপারে নিজের ভাল অভিজ্ঞতা বা আগ্রহ বা পারদর্শিতা আছে সেটাই করা উচিত। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ ভুলটা বেছে নেয়। যার কারন কাজের খেত্র সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকা। তাই আমি আজ আপনাদের জানাবো বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কেরিয়ারের জন্য কি প্রয়োজন, কি শিখতে হয় এবং কোন ধরনের লোকের কি শেখা উচিত।
প্রথমেই আসি অনলাইন মার্কেটিংয়ে। মার্কেটিং শব্দটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। তবে আবার অনেকের ভুল ধারনা ব্যাপক। আমার দেখা অনেক লোক আছে যারা মনে করেন মার্কেটিং মানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা। কিন্তু আসলে বিষয়টা হচ্ছে যেকোনো ভাবেই হোক গ্রাহকের হাতের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া, কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা নয়। অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ঘরে বসে ওয়েবসাইট, ভিডিও, ইমেইল বা সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। সবথেকে জনপ্রিয় মার্কেটিং গুলো হচ্ছে – এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং। আর এই কাজ গুলা শিখে সফল হতে হলে থাকতে হবে প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু শিখার মত মানুশিকতা, মার্কেটিং এর আগ্রহ, এবং অবশ্যই সহিষ্ণু হতে হবে। আর এই সেক্টরে সবথেকে দ্রুত সফল হয় তারা যাদের ভালো কনভিন্স করার ক্ষমতা আছে। আরেকটা বিষয়, অনলাইন মার্কেটিংয়ে ইংলিশ অপরিসীম।
শুধু ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্টই বলেন আর ওয়েব ডেভেলপমেন্টই বলেন স্কিল হতে হবে একি রকম। এই কাজ প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী মানুষদের জন্য। সাথে যা থাকতে হবে তা হল লজিকাল এবং ক্রিয়েটিভ মাইন্ড। এই সকল কাজের স্কিল গুলোর মধ্যে HTML, CSS, JavaScript, Jquery, PHP, MySQL ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এই ধরনের কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – ওয়েব রিসার্স, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব এডমিনিস্টেশন ইত্যাদি। এ ধরনের কাজের জন্য তেমন বেশি কোন স্ক্রিলের প্রয়োজন হয় না। তবে, এই ধরনের কাজে তুলনামুলক প্রতিযোগিতা বেশি। তাই কাজ হাতিয়ে নিতে অনেক সময় লাগে। আবার এই ধরনের কাজে মার্কেটিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের মত রেপিড ক্যারিয়ার গড়া যায় না। শুধু ফ্রিলান্স করা যায়।
গ্রাফিক ডিজাইন বা যেকোনো ধরনের ক্রিয়েটিভ ডিজাইন পেশাটি মোটেই সব ধরনের মানুষের জন্য নয়। আঁকাআকি করা বা যেকোনো ধরনের ক্রিয়েটিভ জোঁক হচ্ছে এই কাজের প্রধান হাতিয়ার। তবে আমি বলছি না যে অন্য কাজের ক্রিয়েটিভিটি নেই। পার্থক্য হচ্ছে এখানে ক্রিয়েটিভিটিটাই প্রধান উপাদান। এর বাইরে এই কাজে কিছু বিশেষ লজিক আছে। যেমন, বিভিন্ন রঙের অর্থ, ব্যবহারের স্থান ইত্যাদি।
ব্লজ্ঞিং এমন একটি সাধারন বিষয় যেটা টেকনিক্যাল, নন-টেকনিকাল সকল ধরনের মানুষ এমনিতেই করে থাকে। অনলাইন এক্টিভিটি আছে কিন্তু কখনো ব্লগিং করেন নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগই লিখেন নন-প্রফেশনালি। কোন আয়ের উদ্দেশে নয় বরং শখের বসেই লেখেন। কিন্তু প্রফেশনাল ব্লগার এবং নন-প্রফেশনাল ব্লগারের মধ্যে পার্থক্য আছে। লেখালেখির হাত ভালো এমন যে কেউ প্রফেশনালি লিখে মাস গেলে বেশ কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এধরনের আরও অনেক পেশা আছে অনলাইনে। তবে নামার আগে সব ধরনের পেশা সম্পর্কে জেনে নিন এবং কোনটা আপনার জন্য উপযোগী তা নির্ধারণ করুন। এবং সবশেষে বলবো, কখনোই অনেকগুলা পেশায় হাত দিতে যাবেন না। তবে একুল ওকূল সবকিছু হারাবেন। কোনটাই ভালো করে শিখতে পারবেন না।
আসা করি আমি আপনাদের অনলাইন আয় সম্পারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এখন আপনার যদি অনলাইন থেকে আয় করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদে ইউটিউব চ্যানেলে টি সাবস্ক্রাইব করে। আমাদের whatsapp group। এ জয়েন করে কাজ শিখতে পারেন আমাদের মাধ্যমে অনেকেই অনলাইন থেকে কাজ শিখেছে এবং এখন কাজ শিখতেছে।
আমি লিমন হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 50 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।