ধরুন, আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টিং বিভাগে চাকরি করছেন। চাইলে অফিস থেকে ফিরে বাড়তি সময়ে এ বিষয়েই অনলাইনে কাজ করতে পারবেন কিংবা যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন, তাহলে লেখালেখি করেই মাসের আয়ের সঙ্গে বাড়তি কয়েকটা সংখ্যা যুক্ত করতে পারেন। এসব কোনো কাজ ভালো লাগে না, ছবি তুলতে বা ভ্রমণ করতে ভালো লাগে? তাহলে ছবি তুলে অনলাইনে বিক্রি করে কিংবা ভ্রমণ বিষয়ে ব্লগ লিখেও আপনি আয় করতে পারেন। অর্থাৎ চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি আয় করা যাবে অনলাইন থেকে।
ডাটা এন্ট্রি
সাধারণত ইংরেজি জানা কেউ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কপি পেস্ট করলেই চলে, বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়তি দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে যেসব ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে ওয়েবসাইটে ফাইল, ছবি ইত্যাদি আপলোড করা, তথ্য এক্সেল ফাইলে সংরক্ষণ করা এবং ওসিআর (ছবি থেকে লেখা টেক্সটে রূপান্তরের প্রযুক্তি) থেকে পাওয়া লেখার ভুল সংশোধন করা ইত্যাদি। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এসব কাজ পাওয়া যায়।
ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কম্পিউটারে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা এক স্থান বা প্রগ্রাম থেকে অন্য আরেকটি স্থান বা প্রগ্রামে প্রতিলিপি তৈরি করা। ডাটাগুলো হতে পারে হাতে লেখা বা কম্পিউটারে টাইপ করা। কাজগুলো একা কিংবা দলগতভাবে করা যায়।
গ্রাফিকস ডিজাইন
অনেকের আঁকাঝোখায় ঝোঁক বেশি! সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর নিয়ে গাছ, পাখি, ফুল, ফল, বাড়ির দৃশ্য বা কারো নাম বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করেন। চাকরির পাশাপাশি গ্রাফিকস ডিজাইন করে বাড়তি আয়ের পথ তাদের জন্য কঠিন নয়। জার্নাল, করপোরেট রিপোর্টস, ব্রোশিউর, ম্যাগাজিন, লোগো, ওয়েবসাইট ডিজাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। আয়ের পরিমাণও খারাপ নয়! মার্কেটপ্লেসে ফরমায়েশ পাওয়া কাজের পাশাপাশি নিজের করা ডিজাইনও কিছু সাইটে আপলোড করা যায়। এগুলো বিক্রি হলে টাকা পাওয়া যায়। প্রথম দিকে কম হলেও ধারাবাহিকভাবে আয় বাড়তে থাকে। এ রকম ডিজাইন বিক্রি করার সাইটগুলোর একটি
ডিজিটাল মার্কেটিং
অনলাইনে পণ্য বা সেবার খবর অন্যদের কাছে প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। এখন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের পণ্য, সেবা বা আয়োজনের প্রচার অনলাইনে করতে চায়। এ জন্য তারা ওয়েবসাইট, ফেইসবুক, গুগলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভর করছে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার অর্থের বিনিময়ে এসব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন বা প্রচারের সুযোগ করে দেন। এখান থেকে ভালো অঙ্কের অর্থ আয় হয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
নিজের ব্লগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পণ্য সুপারিশ করেও (রেফার) আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিষয়টিকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এখান থেকে ভালো আয় করা যায়। তবে হতে হয় কৌশলী। এ ক্ষেত্রে ইংরেজিতে লিখতে পারা বা লেখালিখিতে আগ্রহীরা এগিয়ে আসতে পারেন।
আরো করতে পারেন
ফটোগ্রাফি, ট্রাভেল ব্লগিং, ভিডিও তৈরি, ইমেজ রিটাচিং, হিসাবরক্ষণ, কনসাল্টিং, বিজনেস প্ল্যান তৈরি এবং ব্যবসায়িক কাজের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করেও আয় করতে পারেন। নিজের তোলা ছবির মাধ্যমে আয় করতে চাইলে সেটি ওয়েবসাইটে প্রচার করতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতার বিজ্ঞাপন বসিয়ে আয় করতে পারেন কিংবা আপনার পছন্দের বিষয়ে লেখালেখির জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি ও ভিজিটর আনার মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। আবার নিজে কোনো বিষয়ে দক্ষ হলে আরেকজন কিভাবে তা শিখতে পারে, তার ভিডিও তৈরি করেও সহজেই আয় করা যায়। এমনই ভিডিও তৈরি করে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো ইউটিউব। শুধু টিউটরিয়াল নয়, মজার ভিডিও, দর্শনীয় স্থান কিংবা যেসব ভিডিও অন্যরা দেখতে চায়—এমন ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
যেভাবে কাজ করতে পারেন
প্রথমেই কী ধরনের সেবা অনলাইনে দেবেন, তা ঠিক করে নিতে হবে। আপনার দক্ষতা যদি হয় যোগাযোগ ও বিপণনে, তাহলে আপনি সামাজিক মাধ্যমে বিপণনের কাজ শিখে নিতে পারেন। যদি বাজার গবেষণা করে ব্যবসায় পরিকল্পনা বা বিপণন পরিকল্পনা তৈরির দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে সে কাজগুলোই আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ‘বিজনেস প্ল্যান প্রো’ সফটওয়্যারটি শিখে নিলে কাজে আসবে। পাবেন হিসাবরক্ষণ সম্পর্কিত কাজ পেতে চান, তাহলে ‘কুইক-বুক’ সফটওয়্যারটি শেখা সহজ ও জরুরি। মার্কেটপ্লেসগুলোতে ‘কুইক-বুক’ জানা হিসাবরক্ষকদের বেশ চাহিদা। ডাউনলোড করে নিন
তবে ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে জানলে এগিয়ে থাকা যাবে অনেকটাই। কারণ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিদেশি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ইংরেজি। সে কারণে ভালো কাজ পেতে এবং ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে কাজ বুঝিয়ে দিতে ইংরেজি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।
শুরু করতে চাইলে
অনলাইন মার্কেটপ্লেস অনেক আছে। সাইটগুলোতে বেশি কাজ থাকে।
শুরুতে সাইটে গিয়ে নাম, ছবি, পড়াশোনা ও কাজের অভিজ্ঞতার তথ্য ইত্যাদি দিয়ে একটি ফ্রি প্রফাইল তৈরি করতে হবে। এরপর ওয়েবসাইটটির জব টিউনে দেখতে পাবেন প্রচুর ‘জব লিস্ট’ করা আছে। সেখান থেকেই আপনি যে কাজটি করতে পারবেন, সেটিতে আবেদন করবেন। আবেদন করার আগে অবশ্যই ফরমায়েশ করা কাজের বর্ণনা ভালোমতো পড়ে নেবেন। যদি মনে হয় কাজটি আপনি পারবেন, তবেই আবেদন করবেন। আপনার আবেদন ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে তবেই নির্বাচিত হবেন।
নিজের সুবিধামতো সময়
চাকরি বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরে রাতে কিংবা যেকোনো অবসর সময়েও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং—এ ধরনের কাজে সুবিধামতো সময় দিতে পারেন। মার্কেটপ্লেসের কাজের ক্ষেত্রেও হাতে যথেষ্ট সময় থাকে। তবে ডেলিভারির সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেটলাইন মিস করা যাবে না।
আমি সবুজ আহম্মেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিভৃত প্রতিভার মানুষ, আমাকে দেখতে-https://www.youtube.com/channel/UC5Xfp3LjRQUt1P_3BLrmq3Q?sub_confirmation=1
So Nice post