বিট কয়েন কি?
বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনেরঅর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলনকরেন। বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে বা মোবাইলে। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে অথবা কোন ওয়েব সাইটের
মাধ্যমে।
বিটকয়েন হচ্ছে ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে লেনদেন হও্যা সাংকেতিক মুদ্রা। একে দেখা বা ছোয়া যায় না, এটি তৈরী হয়অনলাইনেই, এবং সা অনলাইনেই ব্যাবহৃত হয়।
২০০৮ সালে সাতোসি নাকামোতো এই মুদ্রা ব্যাবস্থার প্রচলন করেন।
এবার আসা যাক বিটকয়েন সম্পর্কিত কিছু কিছু এককের ধারণায়-
কিভাবে একাউন্ট তৈরি করবেন:
একাউন্ট তৈরি/ওপেন করা খুব সহজ। প্রথমত আমার এই টিউন ভালভাবে পড়ে নিন। অতপর টিউনের টিউটোরিয়াল অনুসরন করে বাকি কাজকরলেই হবে।
১। প্রথমে এই লিঙ্কে যান > এরপর নিচের মত একটা পেজ আসবে
২। এখানে Name অংশে আপনার নামের ১ম এবং শেষ অংশ দিন> Email এর বক্সে আপনার মেইল অ্যাড্রেস এবং> Password এর বক্সেআপনার পাসওয়ার্ড লিখুন> এবার সবশেষে টিক মার্ক দিয়ে Create Bitcoin Wallet লিঙ্কে ক্লিক করুন।
৩। এরপর আপনাকে ইমেইল অ্যাড্রেস ভেরিফাই করেত বলবে। আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে যান এবং VERIFY MY EMAIL ADDRESS-এক্লিক করুন। নতুন কোন উইন্ডো ওপেন হলে ক্লোজ করে দিন। অতপর এই সাইটে পূনরায় প্রবেশ করে লগইন করুন আপনার ইমেইল ওপাসওয়ার্ড দ্বারা (রেজি: করার সময়ে যাহা ব্যবহার করেছিলেন)। যদি লগইন করতে পারেন তাহলে বুঝবেন সঠিকভাবে একাউন্টটি ক্রিয়েটকরতে পেরেছেন।
৪। এখান থেকে Tools (1) থেকে Bitcoin Addresses এর উপরে ক্লিক করলে নিচের মত একটা পেজ আসবে। এরপর Create New Address (2) করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। নিচে একটা অ্যাড্রেস তৈরি হবে (3)। এটাকে সেভ করে অথবা কপি করে রাখুন নোটপ্যাডে, পরে কাজেলাগবে মূলত বিট কয়েন সাইট হতে আয় এবং প্রতিবার লগ ইন করার জন্য।
অথবা অ্যাকাউন্ট এ গিয়েও আপনার Permanent বিটকয়েন অ্যাড্রেসটি পেতে পারেন, চিত্রে দেখুন
৫। চাইলে একাউন্টটি আপনি ভ্যারিফাইড করে নিতে পারেন মোবাইল নং দ্বারা। এই জন্য একাউন্ট লগইন করে Verify a Phone অপশনে ক্লিককরুন। একটি বার্তা আপনার মোবাইলে যাবে। সেখানের প্রেরিত কোডটি এখানে ইনপুট করে দিলেই হবে। এই ক্ষেত্রে কয়েন-বেজএকাউন্টেরনিরাপত্তা থাকবে। অবশ্য ব্যাংক একাউন্ট ভেরিফাইড কিংবা যুক্ত করার অপশন আসবে, আপাতত এটি করার প্রয়োজন নাই।
১। প্রথমে এই লিঙ্কে যান
Your Bitcoin Address – এ কিছুক্ষণ আগে যে বিটকয়েন অ্যাড্রেস তৈরি করলেন সেটা দিন।
Password For Your Account – এখানে আপনার পাসওয়ার্ড দিন।
Repeat Password – এখানে পুনরায় একই পাসওয়ার্ড দিন।
Your Email – এখানে আপনার ইমেইল দিন।
অতপর বিট কয়েন সাইটে প্রবেশ করুন > Have Account ক্লিক করুন> এখানে কয়েনবেজ একাউন্টের ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেলগইন করুন।
( কয়েনবেজ একাউন্টের ঠিকানা হচ্ছে- আপনি কয়েন বেইজ সাইটে রেজি: করার পর ৩৬ ওয়ার্ডের এলোমেলো যে লিংক পেয়েছিলেন সেটিকেবুঝাচ্ছি)
২। এরপর ও পরের চিত্রে ২নং চিহ্নিত অংশের ঘরগুলো পুরন করুন এবং কেপচা দিয়ে LOGIN বাটনে ক্লিককরুন। এরপর নিচের মত পেজআসবে। এরপর ১নং চিহ্নিত অংশের
কেপচা দেখে ২নংচিহ্নিত বক্স পূরণ করে ROLL!(3) এ-ক্লিক করুন।
৩। এরপর যদি নিচের চিত্রের মত টাইমার(2) উঠা শুরু করে তাহলে আপনি Success।আরযদি Invalid Code লেখা আসে তাহলে আবার TRYকরুন হয়ে যাবে।এভাবে প্রতি ঘণ্টায় আপনি বিটকয়েন আর্ন করতে পারবেন। আবার ১ ঘন্টা পর আসুন এবং কেপচা পূরণ করে ROLL-এক্লিক করুন। দেখবেন একাউন্টে বিট কয়েন যোগ হয়েছে। এভাবে ১ঘণ্টা পরপর ওয়েবসাইটে যান এবং আর্ন করতে থাকুন। নিচের চিত্রে দেখুন৩নংচিহ্নিত অংশে আমার আর্ন দেখাচ্ছে।
৪। আপনি এখানে Multiply BTC খেলে খুব দ্রুত বতচ তৈরি করতে পারেন। এটা খেলে আপনি প্রতিদিন ১ BTC তৈরি করতে পারবেন।
পেমেন্টঃএবার আসি পেমেন্টের কথায়। এটা ১০০% পে করে কারন একাউন্ট করার ১ বছরের মধ্যে প্রায় ১০০ বারের বেশী পেপেয়েছি। তাছাড়া আমার বন্ধুরা অনেকেই এটির সাথে সম্পর্ক তাদের অনেকেই প্রায় ১০-১৫ বারের বেশী পেমেন্ট পেয়েছে। এরা প্রতি সোমবার পে করে। আপনারএকাউন্ট Balance যদি 0.00030000 বিটকয়েনের বেশি হয় তাহলে সেটা অটোমেটিকভাবে সোমবারে আপনার
একাউন্টে চলে যাবে। আপনার কিছু করতে হবে না।যেমন এই টিউনটি করেছি আমি নিজেপরীক্ষা করে। যেহেতু ফ্রিল্যান্স ও ব্লগ করার জন্য আমাকে মাঝেমধ্যে নেটে ১০-১৪ ঘন্টা থাকতে হয়। তাই এই সুযোগটা কাজে লাগাই। তেমন আপনিও লাগাতে পারেন। কেননা-
১। অন্য কোন পিটিসি সাইটের মত সময় নষ্ট হচ্ছে না। কিংবা ক্লিক করতে হচ্ছেনা। ফ্রিল্যান্স করার সাথে
সাথেই উক্ত কাজটি করতে পারবেন। শুধুমাত্র প্রতি ঘন্টাতে ক্যাপচা পূরন করলেই হলো। অনেক ফ্রিল্যান্সার গণ বিট কয়েন হতেও আয় করছেন।
২। কোন কাজ না করলেও একাউন্ট ডিলেট কিংবা নষ্ট হবার ভয় নাই।
৩। যরা অল্প মেগাবাইট ব্যবহার করছেন। তারা প্রতি ঘন্টাতে এই সাইটে প্রবেশ করে কাজ শেষ হবার পর
নেট কানেকশন বন্ধ করে দিন। অতপর পূনরায় একই কাজ করুন। মূল কথা সর্বদা নেট কানেকশন অযথা চালু করার প্রয়োজন নাই।
৪। এখনো যেহেতু ইউজার কম। সেহেতু এই সাইট বোধ হয় ফ্রিভাবে বিট কয়েন দিচ্ছে। পরবর্তীতে হয়ত কি হবে
কে জানে! তাই মনে হয় সময় থাকতে বিট কয়েন অর্জন করতে সমস্যাটা কোথায়?
আমি সানিউল সানিউল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।