হ্যলো টেকটিউনস ভিজিটর, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালই আছেন। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। এটা আমার দ্বিতীয় টিউন। আমার প্রথম টিউনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আজকের টিউনটির টাইটেল দেখে বঝুতে পাড়ছেন যে কি ধরনের টিউন। আমি আপনাদেরকে আজ সঠিক এবং কিভাবে তা শিক্ষতে পারবেন তা বিস্তারিত বলতে চেষ্টা করব। আমরা সবাই কমবেশী ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কি তা জানি। তারপরও আমরা যারা না জানি তারা জেনে নেই।
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শব্দের মূল অর্থ হল মুক্ত পেশা। অর্থাৎ মুক্তভাবে কাজ করে আয় করার যে পেশা তকেই আশলে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর একটু সহজ ভাবে বললে, ইন্টারনেটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং বলে। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার।
অনলাইনে আয় করার জন্য খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। নিচের কয়েকটি গুণই যার মধ্যে আছে সেই কেবল অনলাইনে আয় করার জন্য সমর্থ হবেন।
১. বিশ্বাস
২. ধৈর্যশীলতা
৩. সততা
৪. আত্মবিশ্বাস
৫.ইংরেজী ভালো করে জানতে হবে (কাউকে বুঝানের মতো হলে হবে)
৬.যে কাজ করবেন তা ভালো করে জানতে হবে।
উপরোক্ত বিষয় গুলো যদি আপনি মানতে না পারেন তবে আপনার পক্ষে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া কখনোই সম্ভব না।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যত আকাশছোয়ার মত দিন দিন ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে তাদের মাসিক আয় লাখ এর মত। ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সারদের রাজত্ব চলবে তাই এখনই আপনার আমার সময় নিজেকে তৈরি করার জন্য।
ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে বিশাল প্লাটফর্ম থেকে বেচে নিতে হবে কোনটা বর্তমানে বেশী চাহিদা। এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর বড় ধরনের সাইট থেকে জেনে আসা যাক কোন গুলো বেশী চাহিদা।
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও এসইও সংক্রান্ত কাজ এখানে সবচেয়ে বেশি। প্রথমে আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে আপনি কোন কাজটি করবেন এরপর সেটা ভালভাবে শিখে নিন এবং সবশেষে আউটসোর্সিং এ আসুন। আমি আজকে এটাই বুঝাতে চাইব যে কাজ খোজার আগে নিজেকে কাজের জন্য প্রস্তুত করুন। প্রথমেই যে জিনিসটি আপনাকে মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনি বড় ধরণের একটা প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছেন যেখানে আপনার প্রতিযোগী হবে সারা বিশ্ব থেকে আরও অনেক মানুষ। আর এগুলো শিক্ষার জন্য আমাদের দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহু টাকা নিয়ে যাচ্ছে। টাকা নিচ্ছে তাতে দুঃখ নেই তবে ভালো কিছু দিচ্ছে না কেন এটা তাদের কাছে প্রশ্ন? যাক এই প্রসঙ্গ বাদ তবে অনলাইনে প্রচুর পরিমাণ রিসোর্স আছে যেখান থেকে আপনে শিক্ষতে পারবেন। ভালো কিছু শিক্ষতে হলে ইংরিজী ভিডিও টিউটরিয়েল দেখে শিক্ষতে হবে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক অভিজ্ঞ ভাইদের বাংলা টিউটরিয়েল আছে যা দেখে আপনারা ঘড়ে বসে শিক্ষতে পারবেন। তো চলোন আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে দেখে নেই কোথায় থেকে শিখবো এইগুলো…………
অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরের। এদুটি জিনিসে সিদ্ধহস্ত হতে হবে।
গ্রাফিক্সের কাজ করতে সৃজনশীলতা (creativity) বড় একটি দক্ষতা। আপনার সৃজনশীলতা যত গভীর হবে আপনি তত নতুন নতুন আইডিয়া তৈরী করতে পারবেন। এবং আপনার ডিজাইন হবে সবার থেকে আলাদা ফলে আপনার চাহিদাও হবে সবার থেকে বেশি।
শেখা মোটামুটি সহজ, প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা করে পরিশ্রম করলে ৬ মাসেই প্রফেশনাল পর্যায়ের PSD ডিজাইন করা সম্ভব। (মেধার উপর নির্ভরশীল)
এজন্য আপনাকে শিখতে হবে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং মোটামুটি জাভাস্ক্রিপ্ট (বিশেষ করে কোন ফ্রেমওয়ার্ক যেমন জেকোয়েরি)। ফটোশপের মোটামুটি আইডিয়া থাকতে হবে। যেমন পিএসডি থেকে এক্সএইচটিএমএল করতে যতকিছু লাগে ততটুকু। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তথা প্রোগ্রামিং জগতে ঢোকার প্রথম দরজা হল ওয়েব ডিজাইন। ভাল ডিজাইনার না হলে ভাল প্রোগ্রামার হতে পারবেন না। প্রোগ্রামিং এ যদি ক্যারিয়ার নাও করেন শুধু ওয়েব ডিজাইনের চাহিদাও কম নয়।
এটাও শেখা সহজ, শিখতে ৬-৮ মাস লাগতে পারে যদি প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা পরিশ্রম করেন। মেধার উপর ভিত্তি করে এর থেকে সময় কমবেশি লাগতে পারে।
বর্তমানে রেসপনসিভ ডিজাইনের যুগ। এজন্য রেসপনসিভ ডিজাইন করতে পারতে হবে। বিশেষ করে এটার জন্য ব্যবহৃত ফ্রেমওয়ার্কের কাজ ভাল জানতে হবে। যেমন টুইটার বুটস্ট্রাপ। মোবাইল সহ যেকোন ডিভাইসে আপনার ডিজাইন করা পেজ যেন একই রকম দেখায়, আড়াআড়িভাবে স্ক্রলিং করতে না হয়।
প্রয়োজনীয় টুলস যেমন বিভিন্ন IDE, IE tester, IE তে ব্রাউজার মোড বদলানো, ফায়ারবাগ ইত্যাদি শিখতে হবে।
এখানে আপনাকে প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। এটাই মুল জিনিস ডেভেলপমেন্টে। মূলত ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন ASP.NET, PHP, Java বা অন্য কোন ল্যাংগুয়েজ। তবে পিএইচপির কাজ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্টে প্রোগ্রামিং শেখার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রচুর জিনিস শিখতে হবে। তা নাহলে বেশি উপরে উঠতে পারবেন না। যেমন ভালভাবে শেখা দরকার….
১. যেকোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ মুলত পিএইচপি
২. ডেটাবেস ডিজাইন যেমন মাইসিক্যুয়েল দিয়ে কমপক্ষে মধ্যম পর্যায়ের একটা পূর্নাঙ্গ রিলেশনাল ডেটাবেস বানাতে পারতে হবে।
৩. খুব ভাল কোয়েরি শিখতে হবে। SQL দিয়ে জটিল কোয়েরি করতে পারতে হবে।
৪. ফেইসবুক/গুগল/টুইটার/অ্যামাজন ইত্যাদি বিখ্যাত সাইটের ওয়েব সার্ভিস/ API ব্যবহার করা জানা উচিৎ। (এক্সএমএল)
৫. হোস্টিং সমন্ধে স্বচ্ছ ধারনা বিশেষ করে সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারনা থাকা উচিৎ।
৬. সোর্স কন্ট্রোল যেমন git, tortoise svn ইত্যাদি দিয়ে কিভাবে একই প্রজেক্টে একাধিক ডেভেলপার কাজ করা যায় এসব জানতে হবে।
৭. এজাক্স, জেকোয়েরি এবং ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে প্রচুর জানতে হবে। যেমন নেটবিনস (কোড লেখার IDE), HeidiSQL, MySQL WorkBench (ডেটাবেস ডিজাইন টুল) এসব জানতে হবে।
সর্বোপরি ওয়েব ডিজাইনের কাজে সুপার সুপার এক্সপার্ট হতে হবে। অর্থ্যাৎ এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জেকোয়েরি এসবের কাজ বাম হাতেই সেরে ফেলার মত যোগ্যতা থাকতে হবে। একজন ভাল প্রোগ্রামার হতে হলে আগে ভাল ডিজাইনার (বরং সুপার এক্সপার্ট) হতে হবে। শেখা খুব কঠিন। ২-৩ বছর পরিশ্রম করা লাগতে পারে যদি প্রতিদিন ৩/৪ ঘন্টা সময় দেন। মেধার উপর ভিত্তি করে সময় কমবেশি লাগতে পারে। চাহিদা এবং আপনার গুরত্ব হবে আকাশছোয়া।
অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল আছে, wrox, apress পাবলিকেশনের অনেক ভাল ভাল বই আছে এখান থেকে শিখতে পারেন। এই সাইটেও প্রচুর রিসোর্স আছে। (অ্যাডভান্সড পিএইচপি, ডেটাবেস ডিজাইন, ডেটাবেস পিএইচপি, OOPHP, পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক, কোডইগনাইটার, জেন্ড, জুমলা, SEO)
SEO মানে Search Engine Optimization। বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পেতে গুগলে সার্চ করে। গুগল তখন তার সার্চ রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো সাইটের ফলাফল প্রদর্শন করে। কোনটি প্রথমে কোন ওয়েবসাইটের নাম হয়ত প্রদর্শন করে ২নং পেজে। যেটি প্রথমে দেখা যাচ্ছে সেটি প্রথমে দেখাচ্ছে কারন সেটিকে এসইও করা হয়েছে। কোন ওয়েবসাইটকে সার্চের প্রথমে প্রদর্শন করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে। যখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চের প্রথমে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। আর ভিজিটর বৃদ্ধি হলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়।
যে কাজই করতে চান না কেন আগে সেটাতে দক্ষতা অর্জন করুন এরপর ফ্রিল্যান্সিং এ যান। কিছু জানলেন কিংবা ভাসা ভাসা ধারনা এরুপ দক্ষতা নিয়ে ওডেস্ক বা যেকোন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলা হতাশা ছাড়া কিছু দিতে পারবেনা।
এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং এ আসার আগে ভাল সফটওয়্যার ফার্মে ১.৫/২ বছর চাকুরি করে আসা উচিৎ। চাকুরি না করে আউটসোর্সিং আসলে খুব বেশি উপরে ওঠা জটিল। আগে টেকনিকালি এক্সপার্ট হউন। বড় ভাইদের কিছু তথ্য আমি নিয়েছি তাই তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রর্থী। বানান ভুল থাকতে পারে তাই ওইটার দিকে না দেখে কি বুঝাতে চেয়েছি তা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশাবাদী। বানান ভুলের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দু:খিত।আরো তথ্য জানতে হলে আমাকে ফেইজ বুকে মেসেজ করুন। আমি চেষ্টা করবো আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে। আপনারা যদি বলেন তাহলে আমি ধারাবাহিক ভাবে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট নিয়ে টিউন লিখবো।
আমাকে ফেইজ বুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন
আমি তারেক ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Onek joss likhsen vai…!!! Onk onk helpful….!! Sotti onk upokar holo…carry on brother!!