আপনারা যারা ফাইবার এ নতুন তাদের জন্য এই লিখা, অনেকেই জানতে চান কিভাবে ভাল গিগ বানাতে হবে,গিগ বানাতে গিয়ে কি কি করতে হবে,তাদের জন্য এই লিখাটি লিখলাম। সামনে আর লিখা দিব এই আশা করি আর আশা করি আপনাদের সহযোগিতা পাব।
১. অনুশীলন – আপনি যে কাজটি করতে চান অবশ্যই আপনাকে সেটি ভাল ভাবে জানতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে। ধরুন আপনি গ্রাফিক ডিজাইন করেন এবং প্রায় সব কিছুই করেন, ফটো এডিটিং, লোগো ডিজাইন, প্রিন্ট ডিজাইন এবং আর অনেক কিছু। আপনি যখন ফাইবার এ কাজ করবেন ভেবে ঠিক করেছেন তাহলে এর মধ্যে একটি বিষয় ঠিক করুন এবং সেটি নিয়ে কিছুদিন অনুশীলন করুন। আপনি যদি লোগো ডিজাইন ঠিক করে থাকেন তাহলে কিছু ডেমো লোগো তৈরি করুন যা আপনার পরবর্তীতে লাগবে।
২. আপনি যখন কাজ করার জন্য রেডি তখন আপনি ফাইবার এ গিগ তৈরি করুন। এটা মনে করার দরকার নেই যে গিগ তৈরি করে রাখি কাজ পেতে টো দেরি আছে। গিগ যেদিন তৈরি করবেন সেদিন ও আপনি কাজ পেতে পারেন তাই ভালভাবে তৈরি হয়ে গিগ বানান। গিগ বানাতে গিয়ে যে বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল
– একটু সুন্দর গিগ টাইটাল দিন, আপনি ফাইবার এ যারা কাজ করে তাদের গিগ টাইটাল থেকে ধারনা নিতে পারেন। লোগো ডিজাইন হলে
“I will design professional logo for you”
“I will design creative logo for you”
” I will design eye catching logo for you”
এই ধরনের টাইটাল ব্যবহার করা যেতে পারে। টাইটাল এ কোন দাড়ি, কমা, অথবা এই ধরনের কোন চিহ্ন ব্যবহার করবেন না, ফাইবার এগুলি সাপোর্ট করে না।
৩. আপনি যখন গিগ তৈরি করবেন তখন আপনাকে গিগ এ আপনার গিগ সম্পর্কিত ছবি দিতে হবে। সেই ছবি তৈরি করুন। আপনি যদি ডিজাইনার হন তাহলে নিজেই বানাবেন আর আপনি যদি ফাইবার এ ডিজাইন ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে কাজ করেন তাহলে আমি বলবো কোন ডিজাইনার দিয়ে আপনার গিগ এর ছবি ডিজাইন করে নিন। গুগল থেকে ছবি নিয়ে গিগ এ না দিলেই ভাল। আপনি একটি ছবির মধ্যে আপনার কয়েকটি ছবি ছোট ছোট করে বসিয়ে দিন তাহলে আপনি বায়ারকে আপনার অনেকগুলি কাজ দেখাতে পারবেন কারন আপনি ফাইবার এ তিনটার বেশি ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনি আপনার গিগ এ কি কি সার্ভিস দিবেন সেগুলি ছবিতে লিখে দিতে পারেন তাহলে বায়ার আপনার গিগ এর ছবি দেখেই একটা ভাল আইডিয়া পাবে।
৪. আপনি গিগ কাভার ফটো তৈরি করতে পারেন তবে সেটি তৈরি করতে হবে আপনার নিজের কাজ দিয়ে, এখানে অন্য কারো ছবি দিয়ে কাভার বানান উচিত না। কাভার ফটো এর বক্স এ ফাইবার এর একটা ভিডিও আছে সেখান থেকে নিয়ম দেখে নিতে পারেন
৫. আপনার গিগ ডেসক্রিপশন লিখুন। এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আপনি যারা অনেক দিন ধরে ফাইবার এ কাজ করছেন তাদের গিগ দেখে ধারনা নিতে পারেন কিন্তু কপি করতে যাবেন না। ধারনা নিয়ে নিজের মত করে লিখুন। দরকার হলে ইংলিশ যারা ভাল জানে তাদের একটু দেখিয়ে নিন আপনার লেখা ঠিক আছে কিনা। বানিয়ে বানিয়ে বেশি কিছু লিখতে যাবেন না। আপনি যা পারেন, আপনি জটটুকু দিতে পারবেন ঠিক ততটুকুই লিখুন। মনে রাখবেন আপনাকে কিন্তু কাজ করে প্রমান করতে হবে আপনি কতটুকু পারেন, তাই আপনি লিখলেন অনেক কিছু কিন্তু করতে পারলেন না তাতে আপনার বদনাম ই হবে।
৬। ট্যাগ, কি-ওয়ার্ড আর একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বায়ার যখন ফাইবার এ কাজ এর জন্য আসে সে কিন্তু একটা একটা গিগ দেখে না। সে সার্চ বক্স এ সার্চ করে তারপর সেখান থেকে একজনকে কাজ দেয়। তাই আপনাকে চিন্তা করতে হবে বায়ার কি লিখে সার্চ দিতে পারে, আর বায়ার যেটা লিখে সার্চ দিবে সেটাকেই কি ওয়ার্ড বলা হচ্ছে। আপনি এখানও অভিজ্ঞদের গিগ থেকে ধারনা নিতে পারেন আর চাইলে কপি ও করতে পারেন। তবে সব গিগ এর ট্যাগ কিন্তু একরকম হয় না তাই আমি বলবো কয়েকটা গিগ একসাথে ওপেন করে সেখান থেকে কমন ট্যাগগুলি ব্যবহার করতে পারেন।তবে আপনাকে আপনার গিগ এর বিষয় এর সাথে মিল রেখে ট্যাগ দিতে হবে। মনে রাখবেন একসাথে ৫টার বেশি ট্যাগ দিতে পারবেন না, আর পুরানোগুলো মুছে নতুন ট্যাগ দিতে পারবেন।
৭. আপনি যদি ভিডিও প্রেসেনটিশন বানাতে পারেন তাহলে আপনি গিগ এ ভিডিও দিতে পারেন। ফাইবার ই বলে ভিডিও দিলে আপনার গিগ নরমাল গিগ এর থেকে অনেক বেশি সেল হউয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে ভিডিও এর কোয়ালিটি ভাল হতে হবে, ভিডিও তে অবশ্যই সাউন্ড থাকতে হবে। আপনি যদি ভাল ভিডিও না তৈরি করতে পারেন তাহলে আমি বলবো খারাপ ভিডিও দেয়ার থেকে না দেয়া অনেক ভাল, গিগ এর ছবিগুলি ভাল করে বানান।
৮. আপনাকে গিগ এ ভিসিটর নিয়ে আসতে হবে, আপনি যত ভিসিটর আনবেন তত আপনার গিগ সেল হউয়ার সম্ভবনা থাকবে। গিগ মার্কেটিং নিয়ে আর একটা আলাদা লিখা দেয়ার চেষ্টা করবো।
অনলাইন থেকে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করুন http://bit.ly/1LLIvHP